ফের ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনী বিএসএফ-এর গুলিতে নিহত হয়েছেন এক বাংলাদেশি কৃষক। ২২ বছর বয়সী নিহত যুবকের নাম মো. মঞ্জুরুল ইসলাম বলে জানা গিয়েছে।
গত ১৬ মে রাতে দিনাজপুরের চিরিরবন্দর সীমান্তের কামারপাড়ার বাংলাদেশ সীমান্তের ভেতরে এ ঘটনা ঘটে। মধ্যরাতে এলাকাবাসী সীমান্ত এলাকায় গুলির আওয়াজ শুনতে পায়। পরে খোঁজ নিয়ে দেখা যায় একজন বাংলাদেশির লাশ পড়ে আছে সীমান্তের বাংলাদেশ অভ্যন্তরে। এ সময় লাশের গায়ে অন্তত ৪টি গুলি চিহ্ন দেখতে পান স্থানীয়রা।
বাংলাদেশে ঢুকে সাধারণ মুসলিমদের লক্ষ্য করে ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর নির্যাতন ও হামলাকে রুটিন ওয়ার্কে পরিণত করেছে হিন্দুত্ববাদী ভারতীয় সিমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ।
চলতি মাসেই কুমিল্লায় সীমান্তে ঘাস কাটতে গিয়ে বিএসএফের গুলিতে গুরুতর আহত হয় এক নিরীহ কৃষক। অন্যদিকে, রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার সীমান্ত এলাকায় প্রায় প্রতিদিনই বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ঢুকে কৃষক ও রাখালদের ওপর নির্যাতন চালাচ্ছে ভারতীয় বাহিনী। ফলে এক রকম আতংকের মধ্যে দিন যাপন করছে স্থনীয়রা কৃষক ও রাখালরা। সম্প্রতি সেখানে বাংলাদেশের ৫০০ মিটার অভ্যন্তরে অনুপ্রবেশ করে তিন রাখালকে নির্যাতন শুরু করে ভারতীয় বাহিনী। এ ঘটনায় স্থানীয়রা একত্রিত হয়ে ভারতীয় বাহিনীকে ধাওয়া করলে অস্ত্র ফেলে রেখেই পালিয়ে যায় বিএসএফ।
এ ঘটনায় বাংলাদেশ সরকারের ভারতকে কড়া জবাব দেয়ার সুযোগ ছিল, তা সত্ত্বেও কোন পদক্ষেপ নেয়নি কথিত এই গণতান্ত্রিক সরকার। উল্টো ফেলে রাখা অস্ত্র ফেরত দেয়ার জন্য মরিয়া হয়ে পতাকা বৈঠকের আহ্বান করে বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী(বিজিবি); এবং বিএসএফের কাছে অস্ত্র ফেরত দেয় তারা। বাংলাদেশ সরকারের নতজানু পররাষ্ট্রনীতির কারণে কোন কারণ বা প্রকার উস্কানি ছাড়াই হরহামেশা গুলি চালিয়ে বাংলাদেশি মুসলিমদের হত্যা করছে বিএসএফ।
তথ্যসূত্র:
১। দিনাজপুর সীমান্তে বিএসএফ’র গুলিতে বাংলাদেশি নিহত
– https://tinyurl.com/2c8hme7k
২। রাজশাহীর খরচাকা সীমান্তে কৃষক-বিএসএফ উত্তেজনা!
– https://tinyurl.com/yckjxtzf