ইসলামের তারকাগণ || পর্ব-২৬ || শামিল বাসায়েভ রাহিমাহুল্লাহ; আগ্রাসী রাশিয়ার ঘুম কেড়ে নেওয়া এক চেচেন বীর || (তৃতীয় কিস্তি)

লিখেছেন: মুফতি আব্দুল্লাহ মুনতাসির

4
840

❝আমার মুসলিম ভাইদের উদ্দেশ্যে বলছি: আল্লাহর অনুগ্রহে অচিরেই ইসলাম বিজয়ী হবে, এ বিজয়ে প্রত্যেক মুসলিম অংশগ্রহণ করতে পারবে, এজন্যে সবাইকে চেচনিয়া আসতে হবে না। প্রত্যেকেই আপন আপন জায়গা থেকে ইসলামের মাহাত্ম্যকে উঁচিয়ে ধরুন।
জিহাদের এই দুর্গম পথে যারা আমাদের সাহায্য করছেন, আল্লাহ তা’আলা আপনাদের সর্বোত্তম প্রতিদান দান করেন৷ বিশ্বের সকল অসহায় মুসলিমের সার্বিক সহযোগিতার উপলব্ধি আমাদের আছে পূর্ণমাত্রায়। আমরা এটা নিশ্চিতভাবেই বলতে পারি যে, নির্যাতিত নিপীড়িত মুসলিমদের দোয়ার বদৌলতে আমরা অবশ্যই বিজয়ী হব-ইনশাআল্লাহ। আমাদের ভাইয়েরা আমাদের জন্য দোয়া করবেন, তাদের থেকে এটাই আমাদের প্রত্যাশা।❞ — শামিল বাসায়েভ।

রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে অংশগ্রহণ:

শামিল বাসায়েভ ভেবেছিলেন, রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা গ্রহণ করতে পারলে রাশিয়ার বিরুদ্ধে চলমান যুদ্ধকে গতিশীল করা যাবে। ফলে ১৯৯৬ সালের ২৭ জানুয়ারী অনুষ্ঠিত চেচেন রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে শামিল বাসায়েভ আসলান মাসখাদভের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন। উক্ত নির্বাচনে তিনি বিজয়ী হতে না পারলেও সর্বাধিক ভোটপ্রাপ্ত প্রার্থী হিসাবে দ্বিতীয় স্থান অর্জন করেছিলেন। তাই এই নির্বাচনে বিজয়ী চেচেন রাষ্ট্রপতি মাসখাদভ তাকে উপ-প্রধানমন্ত্রী হিসাবে নিযুক্ত করেছিলেন এবং দুই বছর পর তিনি চেচেন প্রজাতন্ত্রের প্রধানমন্ত্রী হিসাবে কাজ করার জন্য পদোন্নতি লাভ করেছিলেন।

শামিল বাসায়েভ ক্ষমতার লোভে প্রধানমন্ত্রীর পদ গ্রহণ করেননি, বরং রাশিয়ার শোষণ-পীড়ন থেকে চেচনিয়ার আপামর জনসাধারণকে মুক্ত করার লক্ষ্যে ক্ষমতায় এসেছিলেন। বিপরীতে, আসলান মাসখাদভ ক্ষমতার লোভেই ক্ষমতায় এসেছিলেন। তাই কর্মক্ষেত্রে এসে একজন অপরজনের কাজে সন্তুষ্ট হতে পারেননি। রাশিয়ার প্রতি আসলান মাসখাদভের ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি এবং রাশিয়া ইস্যুতে মাসখাদভের অমার্জনীয় শৈথিল্য উভয়ের মাঝে একটা দীর্ঘ বিভাজন রেখা টেনে দেয়। ক্ষমতায় থেকে চেচনিয়ার জনগণের পক্ষে কাজ করা শামিল বাসায়েভের জন্যে ক্রমশ কঠিন থেকে কঠিনতর হতে থাকে। এছাড়াও মাসখাদভের কর্মকাণ্ডে শামিল বাসায়েভের আশঙ্কা হলো যে, মাসখাদভ চেচনিয়াকে পুনরায় রাশিয়ান ফেডারেশনের অন্তর্ভুক্ত করতে যাচ্ছে। এসকল দিক বিবেচনা করে শামিল বাসায়েভ পদত্যাগ পত্র জমা দিয়ে পুনরায় জিহাদের ময়দানে ফিরে আসেন। এসময় তিনি “মুজাহিদীন” নামক অতি গুরুত্বপূর্ণ গ্রন্থটি রচনা করেন।

চেচনিয়ার ক্ষমতা থেকে স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করে তিনি চেচনিয়া ছেড়ে ককেশাসের অন্য একটি অঞ্চলে চলে যান। সেখানকার মুসলমানদেরকে রাশিয়ার আধিপত্য থেকে মুক্ত করতে তিনি আবারও জড়িয়ে পড়েন রাশিয়া বিরোধী সশস্ত্র জিহাদে। বাস্তবতা হলো, জিহাদী জীবনের স্বাদ যারা একবার আস্বাদন করেছেন তারা দুনিয়ার সবকিছু বিসর্জন দিয়েও চায় জিহাদী জীবনের মাঝে বেঁচে থাকতে। একমাত্র শাহাদাতই তাদেরকে জিহাদী জীবন থেকে আলাদা করতে পারে। শামিল বাসায়েভের ক্ষেত্রেও এর বিপরীত হয়নি।

১৯৯৮ সালের ২৬ এপ্রিল শামিল বাসায়েভ ককেশাসের জনগণের জাতীয় কাউন্সিলের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। সেখানে তিনি ককেশাসের মুসলিম জনগণকে রাশিয়ান আধিপত্য থেকে মুক্ত করার লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য ঘোষণা করেছিলেন। পরবর্তিতে ১৯৯৯ সালের আগস্টে তিনি ককেশাসে মুজাহিদিন শুরা কাউন্সিল বাহিনীর কমান্ডার হিসাবে নির্বাচিত হন। এভাবেই চলতে থাকে তাঁর বর্ণাঢ্য সংগ্রামী জীবন, যে জীবনের প্রতিটি অধ্যায় সাহসিকতায় ভরপুর।

“ইন্টারন্যাশনাল ইসলামিক ব্রিগেড”-এর প্রতিষ্ঠা:

ইন্টারন্যাশনাল ইসলামিক পিসকিপিং ব্রিগেড (IIPB) “ইসলামিক পিসকিপিং আর্মি” নামেও পরিচিত। এটি একটি আন্তর্জাতিক মুসলিম মুজাহিদিন সংগঠন, যা ১৯৯৮ সালে শামিল বাসায়েভ ও আমীর আল-খাত্তাবের হাত ধরে প্রতিষ্ঠা লাভ করে। মূলত রাশিয়ার বিরুদ্ধে চেচেনদের বিক্ষিপ্ত যুদ্ধকে এক প্লাটফর্মে নিয়ে আসা এবং একটি ইসলামী ইমারাত প্রতিষ্ঠার সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা নিয়ে সংগঠনটি অস্তিত্ব লাভ করে। আমীর আল-খাত্তাব ছিলেন সংগঠনটির সামরিক কমাণ্ডার আর শামিল বাসায়েভ ছিলেন কমাণ্ডার-ইন-চিফ।

আন্তর্জাতিক এ সংগঠনটিতে দাগিস্তান, চেচেন, আরব, তুর্কি প্রভৃতি দেশের মুজাহিদগণ সক্রিয়ভাবে জিহাদের ফারিজাহ আদায় করেছেন। আমীর আল-খাত্তাব ছিলেন তাদের আরব আমীর, আর শামিল বাসায়েভ ছিলেন চেচেন আমীর। সংগঠনটি দাগিস্তানে ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্য রাশিয়া ও আঞ্চলিক শক্তিগুলোর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছে। এরপর দ্বিতীয় চেচেন যুদ্ধেও সংগঠনটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। ২০০২ সাল পর্যন্ত সংগঠনটি সক্রিয় ছিল। এরপর আমীর আল-খাত্তাবের শাহাদাত বরণসহ বেশকিছু কারণে সংগঠনটির অগ্রযাত্রা ব্যাপকভাবে বাধাগ্রস্ত হয়ে পড়ে। পরবর্তীতে ২০০৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আইআইপিবিকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসাবে ঘোষণা করেছিল।

আইআইপিবির সাংগঠনিক পতাকা।

দাগিস্তানে একটি স্বাধীন ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার প্রচেষ্টা:

১৯৯৯ সালের মাঝামাঝিতে শামিল বাসায়েভ ও সৌদী বংশদ্ভূত আমীর আল-খাত্তাবের নেতৃত্বে পুরো ককেশাস থেকে রাশিয়ান বাহিনীকে বিতাড়িত করে দাগিস্তানে একটি ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার সশস্ত্র আন্দোলন শুরু হয়। এ আন্দোলনে দাগিস্তান ও চেচনিয়ার ছোট ছোট জিহাদী দলগুলো তাদের সাথে একাত্মতা ঘোষণা করে এবং তাদের প্রতি সহযোগিতার হাত প্রসারিত করে। শুরু হয় একটি ইমারাতে ইসলামিয়া প্রতিষ্ঠার জোরালো আন্দোলন। সেখানে নেতৃত্বের গুরুদায়িত্ব পালন করেছেন বাসায়েভ ও আমির আল-খাত্তাব। স্বাধীন ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্য খোদ দাগিস্তানের সহায়তা নিয়ে শামিল বাসায়েভ অন্তত দুই হাজারের একটি মুজাহিদ বাহিনীর নেতৃত্ব দিয়েছেন। এর ফলে চেচনিয়া এবং দাগিস্তানের মুসলিমদের মধ্যে ইসলামী ঐক্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল।

এ যুদ্ধে আমীর আল-খাত্তাব “অপারেশনের সামরিক কমান্ডার” এবং শামিল বাসায়েভ “যুদ্ধক্ষেত্রে কমান্ডার-ইন-চিফ” হয়ে দায়িত্ব পালন করেন। তাদের দক্ষ নেতৃত্বে দাগিস্তান থেকে রাশিয়ান বাহিনী পিছু হটতে থাকে। সুমাদি প্রদেশের ইশিদা, জাকো, কুডি, কাভানাডা, গাদিরে, গিগাটেল এবং বুটলিখ প্রদেশের গোডোবিরি, মিরাসো, শোদরুদা, আনসালতা, রাখাতা এবং ইনখলো গ্রামগুলি তারা রুশ বাহিনীর অবৈধ দখল থেকে মুক্ত করতে সক্ষম হয়েছিলেন। ১৯৯৯ সালের ১০ আগস্ট, তারা “দাগিস্তান স্বাধীন ইসলামিক স্টেট” এর জন্ম ঘোষণা করেন এবং “বিশ্বাসঘাতক দাগিস্তানি সরকার” এবং “দখলদার রাশিয়ান ইউনিট” এর বিরুদ্ধে সর্বাত্মক যুদ্ধ ঘোষণা করেন।

দ্বিতীয় চেচেন যুদ্ধ:

দাগিস্তানে একটি স্বাধীন ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে শামিল বাসায়েভ ও আমীর আল-খাত্তাবের নেতৃত্বে একের পর এক রাশিয়ান ঘাঁটিতে আক্রমণের ঘটনা ঘটতে থাকে। ডজন ডজন রুশ সেনা মুজাহিদদের হাতে নিহত হতে থাকে।
এরই ধারাবাহিকতায় ১৯৯৯ সালের শেষের দিকে, রাশিয়ান অ্যাপার্টমেন্ট বিল্ডিংগুলিতে ধারাবাহিক বোমা হামলায় ২৯৩ জন রাশিয়ান নিহত হয়। রাশিয়া এটিকে চেচেনদের দ্বারা পরিচালিত সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড হিসাবে ঘোষণা করেছিল, যার প্রধান সন্দেহভাজন হিসাবে শামিল বাসায়েভ, খাত্তাব এবং আচেমিজ গুশিয়েভের নাম প্রকাশ করা হয়েছিল।

রাশিয়ান গোয়েন্দা সংস্থা এফএসবি (১) শামিল বাসায়েভ এবং খাত্তাবকে এসকল হামলার মাস্টারমাইন্ড হিসেবে আখ্যায়িত করে। যদিও বাসায়েভ এবং খাত্তাব রাশিয়ান অ্যাপার্টমেন্টে বোমা হামলার দায় কৌশলগত কারণে অস্বীকার করেছিলেন এবং চেচেনিয়ার প্রেসিডেন্ট আসলান মাসখাদভও এই হামলায় চেচেনের জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করেছিলেন। কিন্তু তাদের দাবি গ্রহণ না করে ঐ বোমা হামলার জের ধরে, রাশিয়ার তৎকালীন নবনির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী ভ্লাদিমির পুতিন (২) চেচেনদের বিরুদ্ধে কঠোর অভিযান শুরু করার প্রতিশ্রুতি দেয়।

এভাবেই ১৯৯৯ সালের আগস্টের শেষের দিকে দ্বিতীয় চেচেন যুদ্ধের সূচনা হয়, যা ২০০৯ সালের এপ্রিল পর্যন্ত স্থায়ী হয়েছিল। এ যুদ্ধে ককেশাসীয় মুসলমানরা ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির শিকার হয়েছিলেন। এত দীর্ঘমেয়াদী যুদ্ধটি মূলত দাগিস্তানে একটি স্বাধীন ইসলামী রাষ্ট্র গঠনের প্রয়াসকে নির্মূল করার লক্ষ্যেই সূচিত হয়েছিল। বিশ্ব মোড়লরা এটা কখনোই চায় না যে, মুসলমানদের স্বতন্ত্র কোনো রাষ্ট্র থাকুক। আমেরিকা, চীন, রাশিয়া, ইউরোপ — পারস্পরিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে তারা শতধা বিভক্ত হলেও মুসলিমদের স্বতন্ত্র রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার বিরুদ্ধে তারা এক ও অভিন্ন।

১৯৯৯ সালের পহেলা অক্টোবর রাশিয়ান বাহিনী চেচনিয়াতে প্রবেশ করে গ্রোজনি অবরোধ করে এবং রাশিয়ানরা অত্যাধুনিক অস্ত্রবল ও প্রচুর জনবলের ফলে অবরোধটি সফল করতে সক্ষম হয়। এক পর্যায়ে চেচেন যোদ্ধারা গ্রোজনি ছেড়ে যেতে বাধ্য হন। ২০০০ সালের জানুয়ারিতে গ্রোজনি ছেড়ে যাওয়ার সময় শামিল বাসায়েভ ল্যান্ডমাইনে পা রেখে নিজের একটি পা হারান। তবে আল্লাহর রহমতে তিনি অন্য মুজাহিদদের সঙ্গে বন ও পাহাড়ে আত্মগোপন করতে সক্ষম হয়েছিলেন। বাসায়েভ তখন আফগানিস্তান এবং অন্যান্য মুসলিম দেশ থেকে স্বেচ্ছাসেবী বিদেশী মুজাহিদদের স্বাগত জানান এবং তাদের চেচেন আন্দোলনে যোগ দিতে উৎসাহিত করেন। এসময় বিভিন্ন মুসলিম দেশ থেকে দলে দলে মুসলিমরা চেচনিয়া আসতে শুরু করেন এবং রুশ বিরোধী জিহাদে জীবন বাজি রেখে লড়তে থাকেন।

চলবে ইনশাআল্লাহ…


টিকা:

(১) এফএসবি: রাশিয়ার প্রধান নিরাপত্তা সংস্থা এবং সোভিয়েত ইউনিয়নের কেজিবির প্রধান উত্তরসূরি সংস্থা।
(২) ভ্লাদিমির পুতিন ৯ আগস্ট ১৯৯৯ থেকে ১৬ আগস্ট ১৯৯৯ পর্যন্ত রাশিয়ার ভারপ্রাপ্ত প্রধানমন্ত্রী এবং ১৬ আগস্ট ১৯৯৯ থেকে ৭ মে ২০০০ সাল পর্যন্ত রাশিয়ার ৩৪ তম প্রধানমন্ত্রী হিসেবে কাজ করে। অতঃপর ৭ মে ২০১২ সালে দ্বিতীয় দফায় রাশিয়ার ৪র্থ তম রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হয়ে বর্তমান পর্যন্ত আছে।


তথ্যসূত্র:

(১) https://tinyurl.com/3hp747yz
(২) https://tinyurl.com/yckv8tpv
(৩) https://tinyurl.com/mr4j74he
(৫) https://tinyurl.com/38ujabb9
(৬) https://tinyurl.com/3batw8we
(৭) https://tinyurl.com/yc5936rw


আগের পর্বগুলো পড়ুন-

ইসলামের তারকাগণ || পর্ব-২৪ || শামিল বাসায়েভ রাহিমাহুল্লাহ; আগ্রাসী রাশিয়ার ঘুম কেড়ে নেওয়া এক চেচেন বীর। (প্রথম কিস্তি)

ইসলামের তারকাগণ || পর্ব-২৫ || শামিল বাসায়েভ রাহিমাহুল্লাহ; আগ্রাসী রাশিয়ার ঘুম কেড়ে নেওয়া এক চেচেন বীর || (দ্বিতীয় কিস্তি)

4 মন্তব্যসমূহ

  1. আপনাদের মধ্যমে গাজওয়া.নেট এর অনুবাদ টিম ভাইদের দৃস্টি আর্কষন করছি,
    ভাইয়ের র্উদুভাষা সহ বরেন্য ব্যাক্তিদের ভিডিও অনুবাদে মূল ভয়েস ঠিক রেখে যদি বাংলা বাংলা সাবটাইটেল যোগ করে দিত,
    তবে উত্তম হতো!

  2. প্রিয় মিডিয়ার ভায়ের!আল্লাহ তায়ালা আপনাদের কুরবানি কবুল করুন এবং আপনাদের নিরাপত্তার চাদরে আবৃত রাখুন! আপনাদের কাছে আমার একটা আবদার থাকবে সভিয়েত
    ইউনিয়ানের উত্তান থেকে পতন একটি কিতাব প্রকাশ করা। যেখানে মুসলিম বিশ্বে তাঁর কাল চেহারা স্পষ্ট হয়ে যাবে। বুখারা থেকে চেচেনিয়া, আফগান থেকে বসনিয়া। রব্বে কারিম আপনাদের কবুল করুন।আমিন!

মন্তব্য করুন

দয়া করে আপনার মন্তব্য করুন!
দয়া করে এখানে আপনার নাম লিখুন

পূর্ববর্তী নিবন্ধফটো রিপোর্ট || মাসাগাওয়ে শহর বিজয়ে শাবাব কর্তৃক অস্ত্রের বিশাল বড় মজুদ উদ্ধার
পরবর্তী নিবন্ধআল-ফিরদাউস সংবাদ সমগ্র || মে, ২০২৩ঈসায়ী ||