পাকিস্তানের উত্তর ওয়াজিরিস্তানে দেশটির সেনাবাহিনীর গাড়িবহর লক্ষ্য করে ইস্তেশহাদী অপারেশন চালানো হয়েছে। এতে দেশটির অন্তত ৩০ সৈন্য হতাহত হয়েছে। গুল বাহাদুর নামক সশস্ত্র একটি ইসলামি প্রতিরোধ বাহিনী এই অভিযানের দায় স্বীকার করেছে।
বিবরণ অনুযায়ী, গত ২১ জুন বুধবার পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখওয়া উপজাতীয় অঞ্চল উত্তর ওয়াজিরিস্তানের মীর আলী সীমান্তে এই অভিযানের ঘটনা ঘটেছে।
সূত্রমতে, ইস্তেশহাদী অপারেশন পরিচালনাকারী একজন যোদ্ধা শক্তিশালী বিস্ফোরক ভর্তি একটি গাড়ি নিয়ে প্রথম থেকেই রাস্তার ধারে অপেক্ষা করছিলেন। যখনই পাকিস্তান সেনা কনভয়টি উক্ত স্থান অতিক্রম করতে থাকে, ঠিক তখনই বিস্ফোরক বোঝাই গাড়িটি সেনা কনভয়কে অনুসরণ করে এর ভিতরে ঢুকে পড়ে। এরপর পজিশন ঠিক করে গাড়ি বোমাটির বিস্ফোরণ ঘটান ঐ যোদ্ধা।
ফলশ্রুতিতে পাকি সেনাবাহিনীর বেশ কয়েকটি সাঁজোয়া যান এবং গাড়ি ধ্বংস হয়ে যায়। এছাড়াও বিস্ফোরণে সামরিক বাহিনীর অন্তত ৩০ সৈন্য নিহত ও আহত হয়। পরে তাদেরকে নিকটবর্তী হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়।
মিরানশাহ হাসপাতাল প্রশাসন জানিয়েছে যে, এখন পর্যন্ত ৩০ জন মৃত ও আহত সেনাকে আনা হয়েছে, হাসপাতালে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে। হাসপাতাল প্রশাসনের মতে, আহতদের বেশিরভাগের অবস্থাই আশঙ্কাজনক, যার কারণে তাদেরকে পেশোয়ারে স্থানান্তর করা হচ্ছে।
হাফিজ গুল বাহাদুর গ্রুপ দায় স্বীকার করে বলেছে যে, গাড়ি বোমা বিস্ফোরণে প্রায় ৩০০ কেজি বিস্ফোরক ব্যবহার করা হয়েছিল, যার ভিডিও ফুটেজ শীঘ্রই প্রচার করা হবে।
উল্লেখ্য যে, টিটিপির পর দেশটিতে সবচাইতে সক্রিয় অবস্থানে আছে হাফিজ গুল বাহাদুর গ্রুপ। দলটি এখন পর্যন্ত আন্তর্জাতিক কোনো প্রতিরোধ বাহিনীর সাথে নিজেদের সম্পর্কের কথা নিশ্চিত করে নি। তবে পাকিস্তান গণমাধ্যমগুলি দাবি করে থাকে যে, এই দলটি বৈশ্বিক ইসলামি প্রতিরোধ বাহিনী আল-কায়েদার সাথে সম্পর্ক রেখে কাজ করছে।
দলটি সম্পর্কে আরও জানা যায় যে, তেহরিক-ই-তালিবান পাকিস্তানের সাথে দলটির কিছু বিষয়ে মতানৈক্য থাকলেও সম্প্রতি উভয় বাহিনীকে কয়েকটি যৌথ সামরিক অভিযানে অংশ নিতে দেখা গেছে, যা দল দুটি থেকে অফিসিয়ালি নিশ্চিতও করা হয়েছে।