জাতিসংঘের আফগানিস্তান বিষয়ক মানবাধিকার কমিশনের বিশেষ প্রতিবেদক রিচার্ড বেনেট সাম্প্রতিক একটি রিপোর্টে ইমারতে ইসলামিয়্যা আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে প্রোপাগান্ডা চালিয়েছে। ইমারতে ইসলামিয়্যা কর্তৃপক্ষ এই রিপোর্টকে দৃঢ়ভাবে প্রত্যাখ্যান করেছেন এবং একে ভিত্তিহীন প্রোপাগান্ডা বলে আখ্যায়িত করেছেন।
২০২৩ সালের জুন মাসে রিচার্ড বেনেট আফগানিস্তানে নারীদের নিয়ে প্রকাশিত তার প্রোপাগান্ডামূলক রিপোর্টে ইসলামি ইমারতের ইসলামি আইন অনুযায়ী নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপকে নেতিবাচকভাবে উপস্থাপন করেছেন। নারীদের সুইমিং পুল, জিমে যাওয়া বন্ধ করার ব্যাপারটিকে দেখিয়েছে মানবাধিকারের লঙ্ঘন হিসেবে।
এ বিষয়ে ইসলামি ইমারতের মুখপাত্র জাবিহুল্লাহ মুজাহিদ বলেন, “ইমারতে ইসলামিয়্যার বিরুদ্ধে ব্যাপক প্রোপাগান্ডা চলছে। জাতিসংঘ ও অন্যান্য পশ্চিমা দেশগুলো এই প্রোপাগান্ডা চালাচ্ছে।”
মুজাহিদ বলেন, রিচার্ড বেনেট আফগানিস্তানের পরিস্থিতি নিয়ে যে রিপোর্ট প্রকাশ করেছে, সেটিও এই প্রোপাগান্ডার অংশ। তার এই রিপোর্ট বাস্তবতা বিবর্জিত।
তিনি আরও বলেন, আফগানিস্তানে ইসলামি আইন বাস্তবায়িত হবে। আর এই আইনের প্রতি আপত্তি ইসলামের অবাধ্য হওয়ার নামান্তর।
আফগানিস্তানে ইসলামি আইনের বাস্তবায়ন ও শান্তি-শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ইমারতে ইসলামিয়্যা ইসলামি আইন অনুযায়ী নারী-পুরুষের জন্য পৃথক সময়ের ভিত্তিতে বিনোদনের ব্যবস্থা করেছিল। কিন্তু সেটা যথাযথভাবে না মানায় পরবর্তী সময়ে আরও কিছু বিধি-নিষেধ আরোপ করা হয়। ইসলাম পর্দা ও অন্যান্য আইনের মাধ্যমে নারীর সুরক্ষা নিশ্চিত করে। ইমারতে ইসলামিয়্যাও নারীর সুরক্ষা নিশ্চিতকরণে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন।
কিন্তু পশ্চিমাগোষ্ঠী এটিকে নারীর বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘন হিসেবে দেখছে।
অথচ তাদের নিজেদের দেশগুলোতে নারীরা সবচেয়ে বেশি নিরাপত্তাহীনতায় দিন কাটাচ্ছে। বিভিন্ন নির্ভরযোগ্য পরিসংখ্যানে পশ্চিমা সংস্থাগুলোই দেখিয়েছে যে, সবচেয়ে বেশি ধর্ষণ ও নির্যাতনের ঘটনা ঘটছে পশ্চিমা দেশগুলোতেই। আর মুসলিম নারীদেরকেও পর্দাহীনভাবে চলতে বাধ্য করছে তারা। হিজাব পরিধানের কারণে হয়রানি, জরিমানা ও নানা ধরনের নির্যাতন করা হচ্ছে।
তথ্যসূত্র:
1. Widespread Propaganda Runs Against IE by UN and Some World Countries: Mujahid
– https://tinyurl.com/2a89f8a8
2. Watch live: UN unveils report into situation for women and girls in Taliban-led Afghanistan
– https://tinyurl.com/428za8px
পশ্চিমাদেশের বর্তমান অবস্থা লেখার চেষ্টা করলে কালি ফুরিয়ে আসে।
সেখানে বেশের ভাগ মানুষ জারজ সন্তান, মানে পিতার খবর নেই।
মহিলা একরাত কাটায় এ পুরুষের সাথে, আরেক রাত কাটায় ঐ পুরুষের সাথে।
শয়তানটা ওদের মাথা বসে আছে।
ও বুদ্ধি দেয়, ইসলামী ইমারাহ আফগানিস্তান প্রতিষ্ঠা লাভ করেছে, আবার সোমালিয়ায় প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পথে।
এখন তাদের বিজয়ের পথে অন্তরায় হয়ে দাঁড়ানো বহুত কঠিন।
যদি তাদের মধ্যে জারজ সন্তানের সংখ্যাধিক্য করা যায়, তাহলে হয়তো কিছুটা সহজ হবে।
এ কারনেই এ প্রপাকাণ্ডা সম্প্রচার করা হচ্ছে।
” ইসলামের আইনের প্রতি আপত্তি ইসলামের অবাধ্য হওয়ার নামান্তর। “