মার্কিন আধিপত্যের শেষের শুরু: ঐতিহাসিক ৯/১১ আক্রমণ

ত্বহা আলী আদনান

6
1706

১৯৮০-এর দশকে কতজন মানুষ ভেবেছিল যে সোভিয়েত ইউনিয়ন এত দ্রুত ও কম রক্তপাতেই ভেঙে যাবে! ২০০১ সালে কতজন লোকই আশা করেছিল যে, আল-কায়েদার মতো একটি গেরিলা প্রতিরোধ আন্দোলনের নেতা ও তাঁর কয়েকজন যোদ্ধা ১১ সেপ্টেম্বরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের হৃদয়ে আঘাত করতে পারবেন! যে আক্রমণ কিনা গণতান্ত্রিক পুঁজিবাদের গুটিগুলো উল্টে দিয়েছিল।

৯/১১ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের হৃদয়ে এমন আঘাত ছিলো, যা বিশ্বমঞ্চে পরিবর্তন এবং নতুন এক যুগের সূচনার পথ প্রশস্ত করেছিল।

আজ থেকে ২৩ বছর আগের এদিনে (০৯/১১/২০০১) মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৪৩ তম রাষ্ট্রপতি একটি স্কুলের ক্লাসরুমে চেয়ারে বসে আছে, শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে কিছু বলছে। অপরদিকে তার অবস্থান থেকে প্রায় ৭১ কিলোমিটার দূরে ইতিহাস নতুন করে লেখা শুরু করেছেন ১৯ জন যুবকের একটি দল। এদিন ম্যানহাটনে ভোরবেলায় লোকেরা যথারীতি কাজ করতে যাচ্ছিল, সবকিছুই স্বাভাবিক ছিল। কিন্তু হঠাৎ আকাশে ৪টি প্লেন দেখা গেলে, যার এক একটি আঘাতে সবকিছু বদলে গেল। হোয়াইট হাউসের নিরাপত্তা প্রধান অ্যান্ড্রু কার্ড রাষ্ট্রপতির কানের দিকে ঝুঁকে বলল, “মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আক্রমণ হচ্ছে।”

মার্কিন আধিপত্যের সমাপ্তির সূচনা

৯/১১ তথা অপারেশন ম্যানহাটনের পর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ঘোষণা করলো “সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ”। সিদ্ধান্ত হলো আল-কায়েদা নেতা ওসামা বিন লাদেনকে বন্দী এবং ইমারাতে ইসলামিয়া আফগানিস্তান প্রশাসনকে ধ্বংস করার। এই ঘোষণার পর ওয়াশিংটন এর পেছনে একত্রিত হলো প্রায় পুরো বিশ্ব। এমনকি রাশিয়া, যাকে শীতল যুদ্ধের সময় এক নম্বর শত্রু হিসাবে বিবেচনা করা হয়েছিল, তারা দ্রুত আমেরিকার পাশে এসে দাঁড়ালো। প্রথম নেতা যিনি বুশকে ফোন করেছিলেন এবং বলেছিলেন “শীঘ্রই সুস্থ হয়ে উঠুন”, তিনি ছিলেন ক্রেমলিনের ভ্লাদিমির পুতিন।

সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ৭ অক্টোবর, ২০০১ তারিখে আমেরিকান এবং ব্রিটিশ যুদ্ধবিমান থেকে একে একে আফগানিস্তানে বোমা পড়তে শুরু করলো। লক্ষ্য, ওসামা বিন লাদেনকে বন্দী করা (যাকে ১১ সেপ্টেম্বরের হামলার স্থপতি ঘোষণা করা হয়েছিল), ইসলামি প্রতিরোধ বাহিনী আল- কায়েদাকে ধ্বংস করা। সেই সাথে আফগানিস্তানে তালিবান শাসনকে ধ্বংস করা, যে শাসন ওসামাকে আশ্রয় দিয়েছিল বলে মনে করা হয়েছিল।

এক মাসের মধ্যে আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুল দখল করা হলো, তোরা-বোরায় তখনও আল-কায়েদার সাথে তীব্র যুদ্ধ চলছে। অবশেষে প্রতিরোধ যোদ্ধারা নতুন রণকৌশলে ফিরতে কিছু সময়ের জন্য পিছু হটলেন। বিশ্ব ধরে নিলো আল-কায়েদা আর তালিবানের দিন শেষ, ফলে একে একে পাঁচ বছর ধরে সবাই ভাবতে থাকলো আফগান ভূমিতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আধিপত্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।

কিন্তু ২০০৬ সাল থেকে উদ্ভূত পরিস্থিতির শিকার হতে শুরু করলো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও এর নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট এবং তাদের দ্বারা প্রতিস্থাপিত কারজাই সরকার। কেননা পাকিস্তানের উপজাতি অঞ্চল ও আফগানিস্তানের সীমান্ত অঞ্চল থেকে শুরু করে দেশের প্রত্যন্ত পাহাড়ি অঞ্চলে শুরু হলো তালিবান ও আল-কায়েদার নতুন গেরিলা আক্রমণ। ফলে মার্কিন জোট বাহিনী অপ্রত্যাশিত প্রতিরোধের মুখোমুখি হতে শুরু করলো।

ইতিমধ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইরাকেও আগ্রাসন চালিয়ে বসে। ধীরে ধীরে এই যুদ্ধ ছড়িয়ে পড়ে সোমালিয়া, ইয়েমেন, মালি ও সিরিয়াতে। আল-কায়েদার জালে আটকা পড়ে বিশাল মার্কিন সামরিক জোট বিক্ষিপ্ত হয়ে পড়ে। আর পৃথিবীর প্রতিটি প্রান্তে এই সুযোগককেই কাজে লাগায় আল-কায়েদা ও তার মিত্র স্থানীয় প্রতিরোধ যোদ্ধারা। বিভিন্ন জায়গা থেকে এবার আঘাত করতে শুরু করা হলো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের “সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ” ও এর ফলাফল

১ সেপ্টেম্বর বুধবার ২০২১ সাল, ব্রাউন ইউনিভার্সিটির কাস্টস অফ ওয়ার প্রজেক্ট থেকে প্রকাশিত হয় বড় একটি রিপোর্ট। এতে ৯/১১ পরবর্তী ইরাক, সিরিয়া, আফগানিস্তান, পাকিস্তান, সোমালিয়া, ইয়েমেন এবং অন্যান্য অঞ্চলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ঘোষিত সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে কথিত যুদ্ধের ২০ বছরের ফলাফল নিয়ে আলোচনা করা হয়।

প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, কথিত “সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ” শুরুর পর, ইসলামি প্রতিরোধ যোদ্ধাদের হাতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং এর নেতৃত্বাধীন জোটের ৩০ হাজারেরও বেশি সৈন্য নিহত হয়েছে। অপরদিকে এই যুদ্ধে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সমর্থিত সরকারগুলোর ৩ লাখ ৫০ হাজারেরও বেশি সৈন্য নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে আরও কয়েক লক্ষ্য সৈন্য। আর হতাহতের এই সংখ্যাতে শুধু সরাসরি যুদ্ধে নিহত সৈন্যদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে যে, ২০০২ সালের সেপ্টেম্বরে তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশের প্রধান অর্থনৈতিক উপদেষ্টা লরেন্স লিন্ডসে বলেছিল যে, “সান্ত্রাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধে” মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের খরচ অবশ্যই ২০০ বিলিয়ন ডলারের বেশি হবে না। যাইহোক মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কেউ এটি কল্পনাও করতে পারেনি যে, ইরাক ও আফগান থেকে শুরু হওয়া এই যুদ্ধ এতো দীর্ঘ ও ব্যয়বহুল হবে। ফলে ২০ বছরেও যখন যুদ্ধ শেষ হয়নি, তখন দেখা গেলো এই যুদ্ধে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ব্যয় দাড়িয়েছে ৮ ট্রিলিয়ন ডলারেরও বেশি।

কস্টস অফ ওয়ার প্রজেক্টের সহ-পরিচালক স্টেফানি স্যাভেল বলেছিল “এখন থেকে বিশ বছর পর যখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এই যুদ্ধে থেকে সরে আসবে, তখন থেকে ২০৫০ সাল পর্যন্ত আমাদেরকে আফগানিস্তান এবং ইরাক যুদ্ধের উচ্চ ব্যয়ের ভার গণনা করতে হবে।” এই যুদ্ধে যেসব সৈন্য পঙ্গু বা অক্ষম হয়েছে, তাদের চিকিৎসা সেবা প্রদানের ব্যয়ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে বহন করতে হবে।

৯/১১ আক্রমণে মার্কিন অর্থনীতির পতন

২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বরের আগে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ১৯৯১ থেকে ২০০১ এর মধ্যে তার স্বর্ণযুগ অনুভব করছিল। কেননা দেশটি নিশ্চিতভাবে ১৯৯১ সালে শীতল যুদ্ধে বিজয়ী হয়েছিল, একই বছরে উপসাগরীয় যুদ্ধে দুর্দান্ত সাফল্য অর্জন করেছিল এবং এই যুদ্ধের খরচ আরব শাসকদের উপর চাপিয়ে দিয়েছিল।

১৯৯১-২০০১ সময়কালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ছিল সামরিক এবং রাজনৈতিক দিক থেকে বিশ্বের একমাত্র মেরু। সেইসাথে তার অর্থনৈতিক শক্তির সাথে একটি অনন্য এবং অপ্রতিদ্বন্দ্বী অবস্থান। কিন্তু ২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বরের আক্রমণের পর থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এই অবস্থানে ব্যাপক ধাক্কা লাগে।

২০০১ সালে মার্কিন ফেডারেল পাবলিক বাজেট ঘাটতি ছিল ১২৮ বিলিয়ন ডলার। বার্ষিক আয়ের সাথে দেশের বাজেট ঘাটতির অনুপাত ছিল ১.২%। অপরদিকে ২০২০ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ফেডারেল পাবলিক বাজেটের ঘাটতি এসে দাঁড়ায় ৩.৪ ট্রিলিয়ন ডলারে, যা বার্ষিক আয়ের সাথে এই ঘাটতির অনুপাত ছিল ১৫.৬%। এমনিভাবে ২০২১ সালের ১লা জানুয়ারি পর্যন্ত দেশটির ঋণ ২৭.৭৪৮ ট্রিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে, ঋণের এই হার ২০২১ সালের পরবর্তী মাসগুলোতে আরও দ্রুততার সাথে বৃদ্ধি পায়।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং অন্যান্য দেশের বিশেষজ্ঞরা বিশ্বাস করেন যে, এই নাটকীয় পরিবর্তনের কারণ হল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ২০০১ সালে শুরু হওয়া যুদ্ধ এবং তার জাতি-রাষ্ট্র নির্মাণ নীতি।

কয়েক লক্ষ সেনার জীবন আর ট্রিলিয়ন ডলার ব্যয়ের এই যুদ্ধে জয়ী কে?

৯/১১-এর পর আফগানিস্তান, ইরাক, ইয়েমেন, সোমালিয়া সহ মধ্যপ্রাচ্যে যেসব যুদ্ধে অ্যামেরিকা জড়িয়েছে, তার কোনটিতেই এখন পর্যন্ত বিজয় নিয়ে ফিরতে পারেনি তারা। বরং এসব অঞ্চলকে অস্থিতিশীল করে তোলার সময় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যে ট্রিলিয়ন ট্রিলিয়ন ডলার খরচ করেছে এবং গৌণ সংঘাতের জন্ম দিয়েছে, এখন তার ভার ক্রমাগত টানতে হচ্ছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে। ফলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ব্যয় এবং জীবনহানি আরও বাড়ছেই। আর বর্তমানে বিশ্ব পরিস্থিতি প্রায় মার্কিন নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে।

আল-কায়েদা ৯/১১ আক্রমণের মাধ্যমে মূলত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল এবং সামরিকভাবে এর শক্তিকে বিক্ষিপ্ত করে দিয়েছে। এই দুই অবস্থার ফলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নতুন করে কোনো রাষ্ট্রে আগ্রসন চালানোর সাহস করছে না, এমনকি তার মিত্ররাও আগের মতো দ্রুত পাশে এসে দাঁড়াচ্ছে না। রাশিয়া যখন ইউক্রেনে আগ্রাসন চালাচ্ছে, তখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও এর মিত্ররা ইউক্রেনের সহায়তায় সরাসরি মাঠে নামারও সহস করছে না। একইভাবে পশ্চিম আফ্রিকার দেশগুলো থেকে যখন ফ্রান্স একে একে বিতাড়িত হচ্ছে, সেখানেও মিত্র দেশটির সহায়তায় কোন ভূমিকাই রাখতে পারছে না মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, বরং নিজেরাও পশ্চিম আফ্রিকার দেশগুলো থেকে সৈন্য প্রত্যাহার করছে।

অপরদিকে যে আল-কায়েদা ও তালিবানকে ধ্বংস করতে এই যুদ্ধের সূচনা করেছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, সেই তালিবানরাই এখন আগের চাইতে আরও শক্তিশালী হয়ে আফগানিস্তান শাসন করছে।
এমনিভাবে আল-কায়েদা পূর্ব আফ্রিকান শাখা হারাকাতুশ শাবাব সোমালিয়ার কেন্দ্রীয় এবং দক্ষিণাঞ্চলের প্রায় ৯০% এলাকা নিয়ন্ত্রণ করছে। সেই সাথে কেনিয়ার সীমান্তবর্তী ৪টি রাজ্যের প্রায় ৬০% এলাকা নিয়ন্ত্রণ করছে; নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করছে ইথিওপিয়াতেও। অনুমান করা হয় যে, দলটি পূর্ব আফ্রিকার ৩টি দেশের প্রায় ৪ লক্ষ্য বর্গকিলোমিটার এলাকার উপর কর্তৃত্ব করছে। সীমান্ত পেড়িয়ে তারা এখন ইয়েমেনের যুদ্ধেও একিউএপিকে সহায়তা করছে বলে শোনা যায়।
এমনিভাবে পশ্চিম আফ্রিকার দেশ মালির ৮০% এবং বুর্কিনা ফাসোর প্রায় ৭০% এলাকা সহ এর আশপাশের আরও ৫টি দেশের সীমান্তবর্তী বিস্তীর্ণ অঞ্চলের উপর নিয়ন্ত্রণ রয়েছে দলটির। যা থেকে অনুমান করা হয় যে, এই দেশগুলোর প্রায় ১৪ লক্ষ বর্গকিলোমিটার এলাকার প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ নিয়ন্ত্রণ আল-কায়েদার হাতে।
ইয়েমেনের ৪টি রাজ্যের অনেক এলাকার উপর নিয়ন্ত্রণ রয়েছে দলটির।

সবমিলিয়ে বিশ্বব্যাপী আল-কায়েদা এখন পূর্বের চাইতে অর্থনৈতিক, সামরিক ও ভূমি নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে কয়েকগুণ বেশি শক্তিশালী। ৯/১১ এর আগে যে দলটি ছিলো একটি ছোট গেরিলা ইউনিট, আফগানিস্তান ব্যতীত যার নিরাপদ কোন ঘাঁটি ছিলো না, সেটিই এখন সময়ের পালাক্রমে বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলের বিস্তীর্ণ ভূমির উপর রাজত্ব করছে। এসব অঞ্চলে তাঁরা প্রতিষ্ঠা করেছেন শক্তিশালী প্রশাসনিক অবকাঠামো।

বিশ্বজুড়ে জায়নবাদী ক্রুসেডার অ্যামেরিকা নেতৃত্বাধীন পশ্চিমা জোট বাহিনীকে খাদের কিনারায় এনে দাঁড় করিয়েছে আল-কায়েদা, যার শুরুটা হয়েছিল ৯/১১ তথা অপারেশন ম্যানহাটনের মাধ্যমে। এই আক্রমনেই স্থাপিত হয়েছে মার্কিন নেতৃত্বাধীন আগ্রাসি সাম্রাজ্যবাদীদের সমাপ্তির সূচনা। হয়তো আরও কিছু ঘটনাপরিক্রমার পর এর গুরুত্ব অনুধাবন করবে বিশ্ববাসি। ইতিহাসের বাক পরিবর্তনকারী ঘটনাগুলোর প্রকৃতি তো এমনি হয়ে থাকে, দীর্ঘকাল থেকে যায় আড়ালে।



 

তথ্যসূত্র:

1. Over Two Decades, U.S.’s Global War on Terror Has Taken Nearly 1 Million Lives and Cost $8 Trillion
https://tinyurl.com/s6uvcae4
2. Shock, insecurity and endless war: How 9/11 changed America and the world.
https://tinyurl.com/retb45s8
3.
Timeline: How September 11, 2001 led to US’s longest war
https://tinyurl.com/29vfd3sp

6 মন্তব্যসমূহ

  1. আল্লাহ্ মাফ করুন, আপনাদের কারণেই সম্ভবত মুজাহিদদের বদনাম হবে মনে হচ্ছে, যদি আপনার কাছে তথ্য প্রমাণ থেকে থাকে যে ৯/১১ আল-কায়দা করেছে বা এটা আদোও (বিমান হামলা) ছিল তাহলে Secret Reviled কে খন্ডন করুন প্রমাণ করুন যে সে যা বলছে বা সত্যতা দেখাচ্ছে এগুলো সব মিথ্যা তবেই আপনাদের দাবী বিশ্বাসের যোগ্য নতুবা আপনারদের কেও একসময় আমেরিকার দালাল হিসেবে গন্য করা হবে আস্তাগফিরুল্লাহ্। আপনাদের এক ভিডিও দেখিয়ে আপনাদের কে জাহেল এবং পুনরায় ইস্কুলে ভর্তি হওয়া উচিত বলে হেয়ো করা হয়েছে যেটা আমার কাছে অন্তত খারাপ লাগছে। আপনাদের অছিলায় আল্লাহ্ আমাকে হেদায়েত দিয়েছেন,আপনাদের প্রতি কথাই বাস্তব এবং কোরআন ও হাদিস ভিত্তিক হয়ে থাকে। আমার বুঝে আসেনা যে আপনারা শুধু এই ৯/১১ কে কেনো অন্ধ বিশ্বাস করেন❗এর ধারা সাধারণ মানুষ আপনাদের প্রত্যেক কথাই অবিশ্বাস করবে এবং আপনাদের কে ঘৃণা করতে শুরু করবে শুধু একটি মিথ্যার কারণে। এর ধারা উম্মতের ফায়দার চেয়ে খতির কারণ হয়ে দাড়াবেন আপনারা আশাকরি,কথা গুলো একটু ভেবে দেখবেন ইনশা-আল্লাহ।

    • আসসালামু আলাইকুম। ইউটিউবে এই বিষয়ের পক্ষে বিপক্ষে অসংখ্য ভিডিও আছে মুহতারাম। অনেক ষড়যন্ত্র তত্ত্ব আছে ৯/১১ ঘিরে। আপনি ইউটিউবে সার্চ করুন, secret revealed এর দাবির সম্পূর্ণ বিপরীত দাবিও অসংখ্য পেয়ে যাবেন। এরকম ভিডিও-ও পাবেন, যেখানে বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণ করা হয়েছে কীভাবে বিমান হামলাগুলো টুইন টাওয়ারকে এভাবে ধ্বসিয়ে দিয়েছে। আশা করি আপনার প্রশ্নের উত্তর পেয়ে যাবেন ইনশাআল্লাহ।

    • “৯/১১” সম্পর্ক্ত স্টাডির সংকীর্ণতা কমাতে আহবান করছি, পাশাপাশি ফাসিক্বের খবর বা গবেষণাকে সাথে সাথে মুসাল্লাম করে নেয়া, অপরদিকে মুসলিন উম্মাতের শ্রেষ্ট সন্তান মুজিহদদের খবরকে বিশ্বাসের পাতাতে জাগা দিতে খটকা লাগাটা কোরান বিরোধি নও কি?

      يا ايها الذين آمنوا إن جاءكم فاسق بنبإ فتبينو…….

  2. ভাইদের কাছ থেকে এই বিষয়ে বিস্তারিত সংশয় নিরসন মুলক ভিডিও আশা করতেছি।Secret revealed যে ডকুমেন্ট বানিয়ে, তা দেখে আমি নিজেও অনেক সংশয়ে পরে গেছি।
    তাই এর সকল প্রমান এর বিপরীতে ইমারা থেকে ভালো ডকুমেন্ট আশা করতেছি

মন্তব্য করুন

দয়া করে আপনার মন্তব্য করুন!
দয়া করে এখানে আপনার নাম লিখুন

পূর্ববর্তী নিবন্ধটিটিপির পৃথক অভিযানে ২৯ পাক-সেনা হতাহত
পরবর্তী নিবন্ধইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর আগমন নবীপ্রেমিক মুসলিমদের জন্য অবমাননাকর