সমগ্র আফগানিস্তানকে আনুগত্যশীল বানানো শারীরিক শক্তির উন্নতিকে নয়, বরং আধ্যাত্মিক শক্তির উন্নতিকে প্রকাশ করে বলে মন্তব্য করেছেন ইমারতে ইসলামিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মাওলানা সিরাজউদ্দীন হাক্কানি। কাবুল প্রদেশের কর্তৃপক্ষের সাথে অনুষ্ঠিত এক সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, সরকার জনগণের সমর্থন ছাড়া টিকতে পারবে না। আফগানিস্তানের ৩৪টি প্রদেশের বিপ্লবী জনগণকে বল প্রয়োগ করে নিশ্চুপ রাখা হয়নি, সরকারের প্রতি আনুগত্যশীল রাখা হয়নি।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মাওলানা সিরাজউদ্দীন হাক্কানি আরো বলেন, “যদি আমরা সত্যিই আল্লাহর কাছে আত্মসমর্পণ করি, লোকজন সরকারকে মান্য করবে; যদি আমরা ভেতরে খারাপ থেকে উপরে ভালো দেখাই, তবে আল্লাহ আমাদের লজ্জিত করবেন এবং জনগণ আমাদের সহ্য করবে না। আমরা আল্লাহকে না মানলে, জনগণ আমাদের উৎখাত করবে।”
এবিষয়ে কাবুলের গভর্নর মুহাম্মাদ কাসিম খালিদ বলেন, “আগে দখলদারিত্বের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চলছিল। ইমারতে ইসলামিয়ার সেনারা সেই সংগ্রাম করেছেন এবং সেটি ছিল একটি জিহাদ। এখন আমরা আরেক স্তরের জিহাদে আছি। আর সেটা হলো ইসলামি সরকারকে সুদৃঢ় এবং স্থিতিশীল রাখার জিহাদ।”
কাবুলের গোয়েন্দা বিভাগের প্রধান মুহাম্মাদ আরিফ ইসলামি সরকারের জন্য মাঠ প্রশস্তকরণের ক্ষেত্রে ইসলামি ইমারতের নেতৃবৃন্দের আদেশগুলো সঠিকভাবে বাস্তবায়নের উপর জোর দিয়েছেন। তিনি বলেন, “আমিরুল মুমিনিনের আদেশসহ নেতাদের জারি করা প্রতিটি আদেশকে আমাদের উচিত শ্রদ্ধার সাথে গ্রহণ করা এবং বাস্তবায়নের পদক্ষেপ নেওয়া।”
অন্যদিকে, ইমারতে ইসলামিয়ার ডেপুটি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী মুহাম্মাদ নাবী ওমারি সৈনিকদেরকে মানুষের সাথে ভালো আচরণের আহ্বান জানান। তিনি বলেন, “কিছু মানুষ অভিযোগ জানিয়েছেন যে, আমরা যখন গভর্নর বা কমান্ডারের কাছে যাই, তখন আমাদের উপেক্ষা করা হয়। ভাইয়েরা আমার, এই বিষয়গুলোতে আমাদের মনোযোগ দেওয়া প্রয়োজন।”
ইমারতে ইসলামিয়া আফগানিস্তান ক্ষমতায় আসার দুই বছর অতিবাহিত হয়েছে। যুদ্ধবিধ্বস্ত আফগানিস্তানে নানা সমস্যার মোকাবেলা করে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি অর্জনের চেষ্টা করছেন ইমারতে ইসলামিয়া সরকার। তবে সবচেয়ে বড় বিষয় হলো, ইমারতে ইসলামিয়া সরকারের প্রতি মুসলিম আফগান জাতির নিরুঙ্কুশ সমর্থন এই সরকারকে দেশী-বিদেশী নানা ষড়যন্ত্র সত্ত্বেও টিকে থাকতে সাহায্য করেছে।
তথ্যসূত্র:
1. Govt Will Not Endure Without People’s Support: Haqqani
– https://tinyurl.com/6f9xwu9k