গাজার জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরের একটি পানি সংরক্ষণের ট্যাংক এ হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। হামলায় পানির ট্যাংকটি পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে যায়। এর ফলে এলাকাটির আশপাশের অন্তত ১,২০,০০০ জন মানুষ এখন নিরাপদ পানি থেকে বঞ্চিত হবে।
যুদ্ধ শুরুর পর থেকেই গাজায় পানি, খাবার, ও বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। তখন থেকেই এই পানির ট্যাংকটির ওপর নির্ভরশীল ছিল এর আশপাশের বাসিন্দারা। পানির ট্যাংকটি ধ্বংস করাকে যুদ্ধাপরাধ হিসেবে উল্লেখ্য করছেন ফিলিস্তিনিরা।
চলমান ইসরায়েলি আগ্রাসনের ২৪ তম দিনে (৪ নভেম্বর) এ বর্বরতা চালায় ইসরায়েলি বাহিনী। ঐ দিন আরও বেশ কিছু বেসামরিক স্থাপনা লক্ষ্য করে হামলা চালায় তারা। এসবের মধ্যে গাজার আল শিফা হাসপাতালে বিদ্যুৎ সরবরাহকারী জেনারেটর, গাজা শহরে সৌর বিদ্যুৎ সরবরাহকারী সৌর প্যানেল, পানির ট্যাংক এবং মিসরীয় হাসপাতালের এম্বুল্যান্স ছিল ইসরায়েলি বাহিনীর প্রধান লক্ষ্যবস্তুগুলোর মধ্যে অন্যতম।
গাজায় বেসামরিক মানুষের জীবন উপকরণকে টার্গেট করে হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েল। হাসপাতাল, মসজিদ, স্কুল, গির্জা এমনকি জাতিসংঘ পরিচালিত শরণার্থী শিবির কোন কিছুই বাদ যায়নি তাদের হামলা থেকে।
জাতিসংঘের যুদ্ধ সংশ্লিষ্ট কথিত জেনেভা কনভেনশন আইন অনুযায়ী বেসামরিক মানুষকে টার্গেট করা স্পষ্টতই যুদ্ধাপরাধ। জেনেভা কনভেনশন অনুযায়ী যে সব অপরাধ করলে যুদ্ধাপরাধ সাব্যস্ত হয় এর সবগুলোই গাজায় সংঘটিত করে যাচ্ছে ইসরায়েল। কিন্তু জাতিসংঘ এখন পর্যন্ত ইসরায়েলের বিরুদ্ধে কোন পদক্ষেপ নিতে পারেনি। এমনকি গাজায় যুদ্ধ বন্ধে কয়েকবার যুদ্ধ বিরতি প্রস্তাব পাশ করা হলেও ইসরায়েলকে এবং তার প্রধান মদদদাতা আমেরিকাকে যুদ্ধবিরতিতে রাজি করাতে পারেনি সংস্থাটি। উল্টো জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের পদত্যাগ চেয়েছে ইসরায়েল।
তথ্যসূত্র:
1. On the 28th day of the Israeli aggression on Gaza, generators, water tanks hit as the massacres continue
– https://tinyurl.com/4evudr75