

বাংলাদেশ সংলগ্ন উত্তর-পূর্ব ভারতের খ্রিস্টান অধ্যুষিত মিজোরামের অধিবাসীদের একটি অংশকে ইসরায়েলি রাবাইরা বনী ইসরায়েলের হারিয়ে যাওয়া গোত্র বনী মনেসা হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। গুঞ্জন আছে যে, খ্রিস্টান মিজো জনগোষ্ঠী ধীরে ধীরে ইহুদি ধর্মে ধর্মান্তরিত হচ্ছে। আর সেই মিজো ইহুদিদের মধ্যে থেকে অন্তত দুই শতাধিক ইহুদি ইসরায়েলের হয়ে ফিলিস্তিনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে গিয়েছে।
জানা যায়, ৭ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া ফিলিস্তিন-ইসরায়েল যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে ইসরায়েলে অভিবাসন (তাদের ভাষায় আলিয়া) করেছে ইহুদি এই ইহুদিরা। মূলত এই যুদ্ধের প্রেক্ষিতেই তাদেরকে ডেকে নেওয়া হয়েছে; কেউ সেখানে গিয়েছেন সরাসরি যুদ্ধ শরীক হতে, আবার কাউকে ডাকা হয়েছে রিজার্ভ সৈনিক হিসেবে।
এই সদ্য অভিবাসী মিজো ইহুদিদের মধ্যে প্রায় ৭৫ জনকে সরাসরি যুদ্ধক্ষেত্রে নামানো হয়েছে, আর বাকি ১৭৫ জনকে ইসরায়েলি রিজার্ভ ফোর্স হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। জেরুজালেম ভিত্তিক একটি অলাভজনক প্রতিষ্ঠান শাভেই ইসরায়েল গত ৬ নভেম্বর সোমবার এই তথ্য জানিয়েছে। এই শাভেই ইসরায়েল নামের সংস্থাটি সারা দুনিয়ায় ছড়িয়ে থাকা ইসরায়েলি অভিবাসী এবং ইসরায়েল রাষ্ট্রের মধ্যে সংযোগ প্রতিষ্ঠা ও শক্তিশালী করার কাজ করে। তদের মাধ্যমেই মূলত এযাবৎ অন্তত ৫ হাজার মিজো ইহুদি ইসরায়েলে অভিবাসন করছে। আর তাদের প্রচেষ্টার ফলেই এই মিজো ইহুদিদেরকে বনী ইসরায়েলের হারিয়ে যাওয়া গোত্র বনী মনেসার বংশধর হিসেবে স্বীকৃতি দেয় ইসরায়েলের প্রধান রাবাই।
তাছাড়া ইসরায়েলে অভিবাসিত নাতানেল তৌথেং নামের ২৬ বছর বয়সি এক মিজো ইহুদি ইতিমধ্যে ইসরায়েলের হয়ে ফিলিস্তিনি মুসলিমদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে গিয়ে আহত হয়েছে।
আর পূর্ব-ভারতীয় ইহুদিরা ছাড়াও অনেক ভারতীয় হিন্দুই ইসরায়েলের হয়ে ফিলিস্তিনি মুসলিমদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে যেতে প্রস্তুত রয়েছে বলে মত প্রকাশ করেছে ভারতের অনেক হিন্দুত্ববাদী নেতা এবং উগ্রবাদী হিন্দু যুবকেরা। কেননা ইসলামের প্রতি আজন্ম বিদ্বেষের ক্ষেত্রে এই হিন্দু ও ইহুদিদের মধ্যে অনেক মিল রয়েছে। আবার ভারত ও ইসরায়েল এই দুই দেশের মধ্যকার রাজনৈতিক ও সামরিক সম্পর্কও এতটাই উন্নত হয়েছে যে, ভারত ইতিমধ্যে ইসরায়েলি অস্ত্রের প্রধান ক্রেতা হয়ে উঠেছে।