আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি এখনো মেলেনি, তা সত্ত্বেও অভিজ্ঞ উমারাগণের সফল কূটনৈতিক প্রচেষ্টায় বেশ কিছু প্রতিবেশী দেশের সাথে ইমারতে ইসলামিয়া আফগানিস্তানের উষ্ণ সম্পর্ক গড়ে উঠেছে। ফলে এসকল দেশের সাথে এখন নিয়মিত বাণিজ্যিক কার্যক্রম চলমান রয়েছে। ইমারতে ইসলামিয়া আফগানিস্তান যেমন এ দেশগুলো থেকে প্রয়োজনীয় পণ্য রপ্তানি করছে, তেমনি এ দেশগুলো থেকে আমদানিও করছে বিভিন্ন পণ্যদ্রব্য।
ইমারতে ইসলামিয়া আফগানিস্তান প্রশাসন জানিয়েছে, চলতি ১৪০২ সৌর হিজরি অর্থ বছরের (আফগানিস্তানে ব্যবহৃত সরকারি বর্ষপঞ্জিকা) প্রথম ৯ মাসে আমদানি-রপ্তানি লেনদেনের রেকর্ড হয়েছে ৭.৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। এর মধ্যে মোট রপ্তানি আয় ১.৩৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং মোট আমদানি ব্যয় হয়েছে ৬.২২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
গত ১৯শে ফেব্রুয়ারি দেশটির জাতীয় পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ (এনএসআইএ) এ তথ্য প্রদান করেছে। এর আগে গত ১৪০১ সৌর হিজরি বছরে ১.৩৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে রপ্তানি আয় এবং ৫.১২ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে আমদানি ব্যয় রেকর্ড হয়েছিলো। সেবছর সর্বমোট আমদানি-রফতানি লেনদেন হয়েছিলো ৬.৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
এনএসআইএ এর দেয়া তথ্যানুযায়ী, চলতি অর্থবছরে দেশটি সবচেয়ে বেশি রপ্তানি করেছে পাকিস্তানে। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রপ্তানি করেছে ভারতে, আর তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাত। উক্ত দেশসমূহ থেকে আফগানিস্তান রপ্তানি আয় হিসেবে যথাক্রমে ৬৮৯.৯ মিলিয়ন, ৪৬৩ মিলিয়ন ও ৩২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার উপার্জন করেছে।
চলতি অর্থবছরে সবচেয়ে বেশি রপ্তানি হওয়া পণ্যদ্রব্যের মধ্যে ছিলো শুকনো ফল। এছাড়াও রপ্তানি পণ্যের মধ্যে ছিল ঔষধি গাছপালা, খনিজ সম্পদ এবং তাজা ফলমূল।
অন্যদিকে, চলতি বছর দেশটিতে সবচেয়ে বেশি আমদানি করা হয়েছে প্রতিবেশী দেশ ইরান থেকে। এর পরবর্তী অবস্থানে রয়েছে যথাক্রমে পাকিস্তান ও চীন। আমদানিকৃত পণ্যের মধ্যে শীর্ষ অবস্থানে রয়েছে গ্যাস, পেট্রোলিয়াম ও অন্যান্য জ্বালানি। পরবর্তী অবস্থানে রয়েছে টেক্সটাইল শিল্প, ধাতু ও ধাতব উপকরণ, যানবাহন ও খুচরা যন্ত্রাংশ।
তথ্যসূত্র:
1. Import, export volumes total $7.5 billion in 1st nine months of this solar year
– http://tinyurl.com/43bpwert