ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় দখলদার ইসরায়েলের চালানো বিমান হামলায় শত শত ভবন ধ্বসে পড়েছে। এসব ভবনের ধ্বংসস্তূপের নিচে পড়ে পচছে প্রায় ১০ হাজার মরদেহ। প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম না থাকায় ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে এসব মরদেহ উদ্ধার করা যাচ্ছে না। ফলে এগুলো সেখানে থেকেই পচছে।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় গত মঙ্গলবার জানিয়েছে, গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহতের সংখ্যা ৩৪ হাজার ৫৩৫ জনে পৌঁছেছে। ধ্বংসস্তূপের নিচে পচা এসব মরদেহের কারণে এখন রোগ বালাই ছড়াচ্ছে বলেও জানিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। তারা মাইক্রো ব্লগিং সাইট এক্সে এক পোস্টে বলেছেন, “ধ্বংসস্তূপের নিচে অব্যাহতভাবে জমা হওয়া কয়েক হাজার মরদেহ রোগবালাই ছড়ানো শুরু করেছে। বিশেষ করে গ্রীষ্মের গরমের তীব্রতা বাড়ার কারণে মরদেহগুলো দ্রুত গতিতে পচছে।”
গত বছরের ৭ অক্টোবর গাজা ভূখণ্ডে ইসরায়েলি আগ্রাসন শুরু হলে, যুদ্ধের প্রথমে ইসরায়েল বলেছিল যা- দ্রুত সময়ের মধ্যে গাজা থেকে হামাসকে নির্মূল করবে তারা। তবে যুদ্ধ ছয় মাস পেরিয়ে সাত মাসে পৌঁছালেও গাজার নিয়ন্ত্রণ এখনো হামাসের কাছেই রয়েছে। এছাড়া যুদ্ধের শুরুতে ইসরায়েল বলেছিল তারা সামরিক চাপ প্রয়োগ করে হামাসের কাছ থেকে সব জিম্মিকে ছাড়িয়ে আনবে। তবে হামাসের কাছে এখনো ১৩৪ জিম্মি আটক রয়েছে। যাদের অনেকে আবার ইসরায়েলি হামলায় প্রাণ হারিয়েছে।
এদিকে,যুদ্ধবিরতি এবং জিম্মি মুক্তির চুক্তিতে পৌঁছানো সম্ভব হোক বা না হোক, দক্ষিণ গাজার রাফা শহরে অভিযান চলবে বলে জানিয়েছে ইসরায়েল। মঙ্গলবার দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু এই কথা বলেছে। ইসরায়েলি হামলা থেকে প্রাণে বাঁচতে যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজা থেকে নিরাপদ স্থানে যাওয়ার জন্য ক্রাউডফান্ডিং শুরু করেছেন ফিলিস্তিনিরা। যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজা থেকে নিজেদের পরিবারকে বের করে দিতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন তাঁরা।
তথ্যসূত্র:
1. Hamas warns of environmental crisis as 1,000 bodies still under Gaza rubble
– https://tinyurl.com/5n6c4bke