আফগানিস্তানের সারেপুল প্রদেশে ১টি জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র, ১টি উন্নত মানের হাসপাতাল ও সড়ক নির্মাণের ঘোষণা দিয়েছে ইমারতে ইসলামিয়ার পেট্রোলিয়াম ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়। জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রটির নাম সুলতান ইব্রাহিম বাঁধ জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র। মূলত কাশকারি তেল খনিক্ষেত্রের আওতায় উপার্জিত রাজস্বের অর্থায়নে প্রকল্পসমূহ বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
উক্ত খনি থেকে তেল উত্তোলনের পরিমাণ দৈনিক ১৩৫০ টন থেকে ৩০০০ টনে উন্নীত হবে বলে প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছেন মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র হুমায়ুন আফগানি। ফলে এটির আওতায় রাজস্ব উপার্জন ইনশাআল্লাহ আরও বৃদ্ধি পাবে।
দেশের নির্মাণ ও উন্নয়নমূলক খাতে দেশীয় রাজস্ব হতে বিনিয়োগ অধিক কার্যকর হয়ে থাকে বলে মন্তব্য করেছেন আফগানিস্তান শিল্প সমিতির প্রধান আবদুল জাবার সাফি হাফিযাহুল্লাহ। এর মাধ্যমে দেশে নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে। ফলে জীবিকার খোঁজে জনগণ আর ভিনদেশে ভিড় করবে না।
এছাড়া, হেরাতের মার্বেল খনিক্ষেত্র থেকে মার্বেল উত্তোলনের জন্য খনিটি একটি বেসরকারি সংস্থার নিকট ইজারা দেয়া হয়েছে। যেখানে ৫ হাজার লোকের কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হয়েছে। এটিতে ১২ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করেছে সংস্থাটি।
উত্তোলিত মার্বেল পরবর্তীতে হেরাত শিল্প নগরীতে প্রক্রিয়াজাত করা হয়। অতঃপর এগুলো তুর্কমেনিস্তান, ইরান, চীন, উজবেকিস্তান, জার্মানি, ওমান, কুয়েত ও ভারতে রপ্তানির পরিকল্পনা রয়েছে।
ইমারতে ইসলামিয়ার পেট্রোলিয়াম ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের তথ্যানুযায়ী, ১৫০টি ছোট খনির কার্যক্রম পরিচালনায় দেশীয় বিভিন্ন সংস্থার সাথে চুক্তি করেছে সরকার। আর ৩০ টি বৃহৎ খনির ক্ষেত্রে বিদেশী বিভিন্ন সংস্থার সাথে চুক্তি করেছে সরকারের এই মন্ত্রণালয়টি।
তথ্যসূত্র:
1. Qashqari Oil Revenue to Fund Construction Projects in Sar-e Pol
– https://tinyurl.com/bdfjd7zj