ঠাকুরগাঁও সরকারি কলেজের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের স্নাতক প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী লিটনের মাথায় ১৫টি এবং পুরো শরীরে আরও পাচঁ শতাধিক ছররা গুলি রয়েছে।
গত ৪ আগস্ট ঠাকুরগাঁও শহরের কোর্ট চত্বর এলাকায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মসূচিতে গিয়ে গুলিবিদ্ধ হয় লিটন। প্রাথমিক চিকিৎসা নিলেও গুলি বের করতে উন্নত চিকিৎসা প্রয়োজন। তবে এখন পর্যন্ত কোনো উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা নেয়া হয়নি।
এদিকে বৃদ্ধ বাবার পক্ষে কোনো রকমে প্রাথমিক চিকিৎসাগুলো করানো সম্ভব হলেও উন্নত চিকিৎসার অর্থ জোগাড়ে অপারগ তিনি। নিজেকে এখন অসহায় ছাড়া কিছুই ভাবতে পারছে না লিটন (১৯)। পৌর শহরের দক্ষিণ সালান্দর পাড়ার মিলননগর মহল্লায় লিটনের বাড়ি। তিন ভাইয়ের মধ্যে সে সবার ছোট।
ঠাকুরগাঁও জেনারেল হাসপাতালের সার্জারি বিশেষজ্ঞ শিহাব মাহমুদ শাহরিয়ার লিটনের চিকিৎসা করেছে। ডাক্তার জানায়, ‘প্রতিটি গুলি খুঁজে বের করা খুব ক্রিটিক্যাল এবং রোগী-ডাক্তার দুজনের জন্যই কষ্টকর। তবে কোনো গুলির কারণে শরীরে ইনফেকশন বা পুঁজ বের হয়, তখন সেটা আমরা বের করে চিকিৎসা দিই। তবে এত বেশিসংখ্যক গুলি বের করা একেবারে প্রায় অসম্ভব।’
গণমাধ্যম কর্মীরা লিটনের বাড়িতে গিয়ে দেখতে পায়, বিছানায় শুয়ে-বসে কাতরাচ্ছে লিটন। তার পাশে হতাশা নিয়ে বসে আছেন মা-বাবা। সন্তান সুস্থ হতে পারবে কি না, এ নিয়ে চিন্তিত তারা। মা লিলি বেগমের কপালে চিন্তার ভাঁজ আর চোখে পানি।
তথ্যসূত্রঃ
১.শিক্ষার্থী লিটনের শরীরে ৫০০ গুলি, উন্নত চিকিৎসার দায়িত্ব নেয়নি কেউ
– https://tinyurl.com/muahbym7