
গত ২ই মার্চ কাবুলে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে বিগত মাসের সম্পাদিত কার্যক্রম তুলে ধরেছেন ইমারতে ইসলামিয়ার সৎ কাজে আদেশ ও অসৎ কাজে নিষেধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সাইফুল ইসলাম খাইবার হাফিযাহুল্লাহ। তিনি নারী অধিকার ও সামগ্রিক সামাজিক সমস্যা মোকাবেলায় মন্ত্রণালয়ের ভূমিকা তুলে ধরেছেন। তিনি জানান, কেবল গত মাসেই সারাদেশে নারী অধিকার সম্পর্কিত ৩০টি আইনি মামলা পরিচালনা করেছেন মন্ত্রণালয়ের পরিদর্শকগণ।
তিনি আরও জানান, মন্ত্রণালয়ের প্রচেষ্টায় বিগত মাসে ৯ জন নারীকে তাদের ন্যায্য উত্তরাধিকার ফিরিয়ে দেয়া হয়েছে, ১০ জন নারীর জোরপূর্বক বিবাহ প্রতিরোধ করা হয়েছে, পারিবারিক সহিংসতা থেকে ৭ জন নারীকে উদ্ধার করা হয়েছে এবং বেআইনিভাবে গৃহবন্দি থাকা ২ জন নারীকে মুক্ত করা হয়েছে।
এছাড়া কুসংস্কার, অনৈসলামিক চর্চা ও দুর্নীতিতে জড়িত থাকার অভিযোগে ১২ জন অপরাধীকে আটক করা হয়েছে। তাদেরকে পরবর্তী বিচার প্রক্রিয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, বাজারদর নিয়ন্ত্রণ ও মজুতদারি, সুদ, জালিয়াতি ও অনৈতিক বাণিজ্য রোধে ব্যবসায়ীদের সাথে ৭০টি সংস্কারমূলক বৈঠক করেছে উক্ত মন্ত্রণালয়। এছাড়া ইসলামী মূল্যবোধের প্রসার এবং সামাজিক কুপ্রথা নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে সরকারী কর্মকর্তা, উপজাতীয় প্রবীণ, যুবক ও আলেমদের সমন্বয়ে ১,৬৪০ টি সচেতনতামূলক অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়েছিল।
বিগত মাসে মন্ত্রণালয়ে ১,১৮৫টি অভিযোগ নিবন্ধিত হয়েছিল বলে জানান মুখপাত্র খাইবার হাফিযাহুল্লাহ। এর মধ্যে ৮৫০টি অভিযোগ সফলভাবে সমাধান করা হয়েছে।
বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক সংস্থার মিথ্যা প্রতিবেদন দৃঢ়ভাবে প্রত্যাখ্যান করেছেন মুখপাত্র সাইফুল ইসলাম খাইবার হাফিযাহুল্লাহ। যেখানে দাবি করা হচ্ছে, আফগান মহিলা ও সংখ্যালঘু সম্প্রদায় উক্ত মন্ত্রণালয় দ্বারা কঠোর বিধিনিষেধের শিকার করা হচ্ছে। তিনি জোর দিয়ে বলেন, ইসলামী নীতির আলোকে সকল নাগরিকের অধিকার সমুন্নত রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ইমারতে ইসলামিয়া। কারও মৌলিক অধিকার যেন খর্ব না হয় তা নিশ্চিত করে যাচ্ছে ইমারতে ইসলামিয়া সরকার।
উল্লেখ্য যে, বিগত সাড়ে ৩ বছরে ৬ হাজারেরও অধিক জোরপূর্বক বিবাহ প্রতিরোধ করেছে তালিবান সৎ কাজে আদেশ ও অসৎ কাজে বিষয়ক মন্ত্রণালয়। এছাড়া সংশ্লিষ্ট অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের সহযোগিতায় বাজারদর নিয়ন্ত্রণ, অর্থনৈতিক শোষণ মোকাবেলা ও ব্যবসায় ন্যায়নীতির চর্চা নিশ্চিত করতে সক্রিয়ভাবে কাজ করছে উক্ত মন্ত্রণালয়।
তথ্যসূত্র:
1. Over 6,000 Forced Marriages Prevented in 3.5 Years
– https://tinyurl.com/2vy7x74u
আমরা জানি প্রত্যেকটা দেশ ট্যাক্স এর মাধ্যমে চলে
কিন্তু তো ইসলামে তো ট্যাক্স হারাম, আমরা জানি আফগানিস্তানে ট্যাক্স নেওয়া হয় না,
ট্যাক্স না নেওয়া সত্বেও আফগানিস্তান কিভাবে অর্থনৈতিক দিক দিয়ে দিনে দিনে উন্নত হচ্ছে,
একটু বিস্তারিত জানতে খুব ইচ্ছে করতেছে।
তাগুত সরকারকে ট্যাক্স দেয়া যাবে না। তবে ইসলামী সরকার চাইলে বিশেষ কর/ট্যাক্সের ব্যবস্থা করতে পারে, নানা প্রয়োজনে। বর্তমানে আফগানিস্তান তাদের খনিজ সম্পদকে ব্যবহার করছেন সুষ্ঠুভাবে আলহামদুলিল্লাহ্। এই সম্পদ ব্যবহার করে তারা তাদের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ঘটাচ্ছেন আলহামদুলিল্লাহ্।