
দখলদার ইসরায়েলি সেনাদের যুদ্ধ শেষ হওয়ার পরও গাজার তথাকথিত বিভিন্ন নিরাপত্তা অঞ্চলে রাখার ঘোষণা দিয়েছে ইহুদিবাদী সন্ত্রাসীদের অবৈধ দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কার্তজ। ১৬ এপ্রিল, বুধবার ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কার্তজ বলেছে, যুদ্ধ বন্ধে শেষ পর্যন্ত কোনো সমঝোতা হলেও তাদের বাহিনী গাজায় নিজেদের বানানো বাফার জোন ছাড়বে না। লেবানন ও সিরিয়াতেও নতুন করে তৈরি করা বাফার জোনে দেশটির সেনার অনির্দিষ্টকালের জন্য অবস্থান করবে। বুধবার ইসরায়েল কার্তজ এসব কথা জানিয়েছ।
মার্কিন সংবাদ সংস্থা রয়টার্স তাদের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দখলদার ইসরায়েলি বাহিনী গত মাসে গাজায় নতুন করে অভিযান শুরু করে। তারা ‘নিরাপত্তা অঞ্চলের’ নামে গাজার ভেতরে ঢুকে বিস্তৃত এলাকা নিজেদের দখলে নিয়েছে। সেইসঙ্গে ২০ লাখেরও বেশি ফিলিস্তিনিকে ভূখণ্ডটির দক্ষিণ ও উপকূলরেখা বরাবর ক্রমেই ছোট হয়ে আসা এলাকাগুলোতে ঠেসে দিচ্ছে।
বুধবার কার্তজ সামরিক কমান্ডারদের সঙ্গে বৈঠক শেষে বলেছে, অতীতের মতো হবে না, যেসব এলাকা সন্ত্রাসীমুক্ত ও জব্দ করা হয়েছে আইডিএফ (ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী) সেখান থেকে সরবে না।
সে আরও বলেছে, লেবানন ও সিরিয়ার মতোই, গাজার স্থায়ী বা অস্থায়ী যেকোনো পরিস্থিতিতে আইডিএফ শত্রু ও (ইসরায়েলি) বসতিগুলোর মাঝে বাফার হিসেবে থাকবে।
আল জাজিরার সাংবাদিক বলছেন, ইসরায়েলি মন্ত্রী এই মন্তব্যের মাধ্যমে গাজা দখলের পরিকল্পনা নিশ্চিত করল। সে আরও নিশ্চিত করেছেন যে ‘দখল’ ইসরায়েলের সামরিক কৌশলের অংশ। এবং এই দখল লেবানন ও সিরিয়াতেও হবে।
ইসরায়েলের ‘দ্য হোস্টেজ অ্যান্ড মিসিং ফ্যামিলিজ ফোরাম’ কার্তজের পরিকল্পনাকে ‘উদ্ভট কল্পনা’ বলে মন্তব্য করেছে। গাজায় আটক ইসরায়েলি নাগরিকদের আত্মীয়-স্বজনদের এই সংগঠন বলেছে, ‘তারা [সরকার] প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল সবকিছুর আগে জিম্মিদের ফিরিয়ে আনা হবে। কিন্তু বাস্তবতা হলো, তারা জিম্মিদের ফিরিয়ে আনার চেয়ে ভূখণ্ড দখলের দিকে বেশি মনোযোগী।’
তথ্যসূত্র :
1. Israel will keep Gaza buffer zone, minister says, as truce bid stalls
– https://tinyurl.com/2cetwkyb
2. Israel plans longer-term presence in Gaza, Lebanon and Syria
– https://tinyurl.com/2s4k687n