
দীর্ঘদিন ধরে চলমান গাজা সংকট নতুন এক ভয়াবহ মোড়ে পৌঁছেছে। অব্যাহত হামলা, মানবিক সহায়তার ঘাটতি এবং শিশুরা পর্যন্ত ক্ষুধায় কাতর—এই চিত্রেই এখন গাজা উপত্যকার জীবন আটকে আছে। এই পরিস্থিতিতে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তাব উত্থাপন করা হয়েছিল, যাতে গাজায় তাৎক্ষণিক নিঃশর্ত ও স্থায়ী যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানানো হয়। কিন্তু আবারও ভেটো দিয়ে সেই প্রস্তাব আটকে দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এ নিয়ে দেশটি পাঁচবার ইসরায়েল সম্পর্কিত প্রস্তাবের বিরুদ্ধে তার ভেটো ক্ষমতা ব্যবহার করেছে।
৪ জুন, বুধবার নিরাপত্তা পরিষদের ১৫ সদস্য দেশের মধ্যে ১৪টি দেশ যুদ্ধবিরতির পক্ষে ভোট দিলেও যুক্তরাষ্ট্র একমাত্র দেশ হিসেবে প্রস্তাবটির বিপক্ষে ভোট দেয়। এর ফলে প্রস্তাবটি বাতিল হয়ে যায়। গতবারও দখলদার ইসরায়েলের প্রধান মিত্র সন্ত্রাসী যুক্তরাষ্ট্র একটি যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব আটকে দেয়।
এই ভেটোর পরিপ্রেক্ষিতে চীনের রাষ্ট্রদূত ফু কং সন্ত্রাসী যুক্তরাষ্ট্রের তীব্র সমালোচনা করে বলেছে, দখলদার ইসরায়েল ‘আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনের প্রতিটি সীমা অতিক্রম করেছে’ এবং জাতিসংঘের প্রস্তাব লঙ্ঘন করছে। একটি দেশের সুরক্ষা থাকার কারণেই এইসব লঙ্ঘন থামানো যাচ্ছে না বা জবাবদিহির আওতায় আনা যাচ্ছে না।
আল জাজিরার জ্যেষ্ঠ রাজনৈতিক বিশ্লেষক মারওয়ান বিশারা বলেন, এই ভেটোর মাধ্যমে ‘যুক্তরাষ্ট্র পুরোপুরি একঘরে হয়ে গেছে।’ তিনি বলেন, ‘একটি বৈশ্বিক স্রোত তৈরি হচ্ছে, যা ইসরায়েল ও গাজায় তার কার্যক্রমের বিরুদ্ধে। শুধু যুক্তরাষ্ট্রই এখনো ইসরায়েলকে রক্ষা করতে গিয়ে এই প্রবাহ আটকে রাখার চেষ্টা করছে। এটি আত্মরক্ষা নয়, বরং গাজায় দখল ও অবরোধকে টিকিয়ে রাখার চেষ্টাই করছে ইসরায়েল।’
যুক্তরাষ্ট্র ১৯৭০ সালে সন্ত্রাসী ইসরায়েলকে বাঁচাতে তার ভেটো ক্ষমতার ব্যবহার শুরু করে। এরপর থেকে ইসরায়েল সম্পর্কিত নিরাপত্তা পরিষদের খসড়া প্রস্তাবের বিরুদ্ধে আরও পাঁচবার তার ভেটো ক্ষমতা ব্যবহার করেছে।
এদিকে গাজায় বরর্বর ইসরায়েলি হামলা আরও ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে। আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেইর আল-বালাহ ও মধ্য গাজা জুড়ে চলছে বোমাবর্ষণ। শুধু বুধবারই সন্ত্রাসী ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় ৯৭ জন শহীদ ও ৪৪০ জন আহত হয়েছে। খাদ্য সংগ্রহ করতে আসা নিরস্ত্র ফিলিস্তিনিদের লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়েছে। ২৭ মে থেকে মার্কিন সমর্থিত ‘গাজা হিউম্যানিটেরিয়ান ফাউন্ডেশন’-এর সহায়তা কেন্দ্রগুলোর আশপাশে জমায়েত হওয়া শতাধিক মানুষকে শহীদ করেছে দখলদার ইসরায়েলি বাহিনী।
তথ্যসূত্র:
1. US vetoes UN Security Council demand for Gaza ceasefire
– https://tinyurl.com/6ek6xm35
2. US vetoes resolution for unconditional Gaza ceasefire at UN security council
– https://tinyurl.com/3mkby5aa
এই কারণেই আমেরিকাকে উসামা রহি. সম্বোধন করেছিলেন আইম্মাতুল কুফর হিসেবে। আজ যদি ইসরাইল বলে আমরা আর যুদ্ধ করতে পারবো না, তাহলে আমেরিকা নিজেই যাবে যুদ্ধ করতে। অবশ্য এখনো আমেরিকান সৈন্য ইসরাইলে আছে। তাই মূল শয়তান আমেরিকা। আমাদের সবচেয়ে বড় শত্রু আমেরিকা। আর ইসরাইল হলো তার রক্তের ভাই। আমেরিকা ইসরাইলকে বাঁচাতে প্রয়োজনে নিজেকে বিলিয়ে দিবে। এটাই বাস্তব।