শেখ পরিবারের সদস্য পরিচয়ে আওয়ামী লীগ সদস্যের দূর্নীতি ও লুটপাট; ভাঙারি ব্যবসায়ী থেকে কোটিপতি

0
64

তালতলীর ৩৫০ মেগাওয়াট তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রকে ঘিরে চলছে দুর্নীতি ও লুটপাটের মহোৎসব। উপজেলা আ.লীগ সদস্য ও ভাঙারি ব্যবসায়ী শেখ মশিউর রহমানের বিরুদ্ধে কোটি কোটি টাকার যন্ত্রাংশ লুটের অভিযোগ উঠেছে। ওই তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে অবৈধভাবে মূল্যবান ধাতবসামগ্রী লুট করে রাতারাতি অঢেল সম্পদের মালিক বনে গেছে সে।

সরকারি জমিতে তিনতলা বিলাসবহুল ভবন নির্মাণ করেছে। তার বিরুদ্ধে সোমবার (০৯ জুন) শাহদাত হোসেন নামের একজন দুদক সমন্বিত কার্যালয় পটুয়াখালীতে অভিযোগ দিয়েছেন। শেখ মশিউর রহমানের বাড়ি গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায়। সে শেখ পরিবারের সদস্য বলে তালতলীতে পরিচয় দিত।

স্থানীয়রা গণমাধ্যমকে জানিয়েছে, মশিউর তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে মূল্যবান ধাতবসামগ্রী চোরাই পথে লুটপাট শুরু করে। তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে তামার তার, লোহার পাইপ, অ্যালুমিনিয়াম শিটসহ মূল্যবান যন্ত্রাংশ রাতের আঁধারে চুরি করে। চোরাই সিন্ডিকেটের মাধ্যমে এসব মালামাল পাচার করে ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জসহ বিভিন্ন স্থানে বিক্রি করেছে। স্থানীয় ভাঙারি ব্যবসায়ী হিসাবে পরিচিত মশিউর বর্তমানে গোপালগঞ্জ, ঢাকাসহ একাধিক স্থানে জমি ও বাড়ির মালিক বনে গেছে।

তালতলীতে মশিউর রহমানের বিলাসবহুল তিনতলা বাড়ির নির্মাণসামগ্রী ইট, পাথর, সিমেন্ট, বালু, রড এমনকি টাইলসও তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের। সরকারি জমিতে অবৈধভাবে এ ভবন নির্মাণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে স্থানীয় শাহ আলম নামের একজন। ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার একজন এপিএস এর প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি রেজবি-উল কবির জোমাদ্দার এবং তানভীর সিকদার জয়ের প্রত্যক্ষ মদদে এসব কর্মকাণ্ড পরিচালিত করেছেন বলে অভিযোগ করেন স্থানীয় জব্বার, রাসেল ও আকবর আলী। তালতলী থানার তৎকালীন কিছু অসাধু পুলিশ কর্মকর্তারও মদদ ছিল এ সিন্ডিকেটের পক্ষে। তথ্য অনুসন্ধানে আরও জানা গেছে, আওয়ামী লীগ শাসনামলে একাধিকবার অভিযোগ উঠলেও মশিউরের বিরুদ্ধে কোনো মামলা বা শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়নি পুলিশ প্রশাসন। তার স্ত্রী মাহমুদা বেগম ও কন্যা সুমী, মীম ও স্বপ্নের নামে একাধিক ব্যাংক অ্যাকাউন্টে কোটি কোটি টাকার লেনদেনের তথ্য রয়েছে। দুদক অনুসন্ধান করলেই বেরিয়ে আসবে বলে জানান নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক তার এক নিকটাত্মীয়। ৫ আগস্টের পর তাকে একটু হিমশিম খেতে হয়। গত মার্চ মাসে উপজেলা নির্বাহী অফিসার উম্মে সালমা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের মালামালসহ মশিউর রহমানকে গ্রেফতার করে। একমাস হাজতবাসের পর সে ছাড়া পায়।

এ ব্যাপারে অভিযুক্ত আ.লীগ সদস্য শেখ মশিউর রহমান বলে, সাংবাদিকরা লেখলে কি হয় তা আমার জানা আছে? আপনারা লেখেন, যেখান থেকে থামানো দরকার সে স্থান আমি জানি ও চিনি। কত সাংবাদিকই তো আমার বিরুদ্ধে লেখল তাতে তো কিছুই হয়নি। আপনারাও লেখতে থাকেন। দেখি তাতে কী হয়? সে আরও বলে, আমি কীভাবে টাকা আয় করেছি, তা আপনাদের জানার দরকার নেই।


তথ্যসূত্র:
১. শেখ পরিবারের সদস্য পরিচয় দিয়ে ভাঙারি ব্যবসায়ী থেকে কোটিপতি মশিউর
– https://tinyurl.com/ym7z3xt4

মন্তব্য করুন

দয়া করে আপনার মন্তব্য করুন!
দয়া করে এখানে আপনার নাম লিখুন

পূর্ববর্তী নিবন্ধআল ফিরদাউস বুলেটিন || জুন ২য় সপ্তাহ, ২০২৫ ঈসায়ী ||
পরবর্তী নিবন্ধ৫ শতাংশ জমির মালিক থেকে কোটিপতি শেখ হাসিনার বাবুর্চি; এলাকায় কায়েম করেছিল ত্রাসের রাজত্ব