
সোমালিয়ার উপসাগরীয় বে রাজ্যের প্রাদেশিক রাজধানী বাইদোয়া শহরের উপকণ্ঠে মোগাদিশু বাহিনীর বেশ কয়েকটি কৌশলগত সামরিক ঘাঁটিতে সমন্বিত আক্রমণ চালিয়েছেন হারাকাতুশ শাবাব মুজাহিদিন। এতে অসংখ্য শত্রু সৈন্য হতাহত হয়েছে বলে জানা গেছে।
আঞ্চলিক সংবাদ মাধ্যম থেকে জানা যায়, হারাকাতুশ শাবাব মুজাহিদিনরা ২৩ জুন সোমবার ফজরের পরপর, সোমালিয়ার বে রাজ্যের প্রাদেশিক রাজধানীর উপকন্ঠে একাধিক শত্রু ঘাঁটিতে বৃহৎ পরিসরে সমন্বিত আক্রমণ চালিয়েছেন। মুজাহিদদের এই অভিযানের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয় বাইদোয়া শহরের উপকণ্ঠে বারি-উয়াজিদ এলাকায় অবস্থিত মোগাদিশু বাহিনীর ২টি সামরিক ঘাঁটিও। শত্রু ঘাঁটিগুলোর বিরুদ্ধে মুজাহিদদের সমন্বিত ও অতর্কিত আক্রমণের ফলে মোগাদিশু বাহিনীর বহু সংখ্যক সৈন্য হতাহত হয় এবং কতক সৈন্য বন্দী হয়। অন্য শত্রু সৈন্যরা জীবন বাঁচাতে সামরিক ঘাঁটি ছেড়ে পালিয়ে যায়।
এসময় বারি-উয়াজিদ যুদ্ধে মুজাহিদদের হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত মোগাদিশু বাহিনীর সহায়তায় ও শক্তিবৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রাদেশিক রাজধানী থেকে একটি সামরিক কনভয় প্রেরণ করা হয়। কনভয়টি যুদ্ধক্ষেত্রে আসার আগেই শাবাব মুজাহিদিনের অন্য ইউনিটের অতর্কিত আক্রমণের শিকারে পরিণত হয়। এতে মোগাদিশু বাহিনীর অন্তত ১২ সৈন্য নিহত এবং ২৮ সৈন্য আহত হয়৷ অন্য সৈন্যরা জীবন বাঁচাতে সামরিক কনভয় নিয়ে পিছু হটতে বাধ্য হয়।
মোগাদিশু বাহিনীর এই পলায়নের মধ্য দিয়ে মুজাহিদিনরা ২টি সামরিক ঘাঁটির পাশাপাশি বারি-উয়াজিদ এলাকার নিয়ন্ত্রণ গ্রহণ করেন। সেই সাথে মুজাহিদিনরা বিজিত সামরিক ঘাঁটিগুলো থেকে বিপুল পরিমাণে অস্ত্র, গোলাবারুদ এবং সামরিক সরঞ্জাম গনিমত লাভ করেন।
তথ্যসূত্র:
– https://tinyurl.com/ye77hnun