অন্যায়ভাবে বোরকা ও নিকাব নিষিদ্ধ করলো কাজাখস্তান

2
163

কাজাখস্তানে নিষিদ্ধ হয়েছে বোরকা ও নিকাব। কাজাখস্তানের প্রেসিডেন্ট কাসিম-জোমার্ট তোকায়েভ ৩০ জুন, সোমবার একটি নতুন আইন স্বাক্ষর করেছে। এ আইনে প্রকাশ্য স্থানে মুখ ঢেকে রাখা পোশাক পরা নিষিদ্ধ করা হয়েছে। যদিও আইনে সরাসরি ‘নিকাব’ বা ‘বোরকা’ শব্দ ব্যবহৃত হয়নি, কিন্তু নতুন এই বিধান যে সরাসরি ইসলামি পর্দা-বিধানের বিরুদ্ধেই প্রণীত, তা আর গোপন থাকেনি।

এই আইন অনুযায়ী, এমন কোনো পোশাক পরা যাবে না যা “মুখ শনাক্তকরণে বাধা সৃষ্টি করে।” এর মধ্য দিয়ে মূলত মুসলিম নারীদের নিকাব ও বোরকার মতো ইসলামী পোশাক নিষিদ্ধ করে দেওয়া হয়েছে। অথচ ইসলামে পর্দা শুধু ঐচ্ছিক সাজসজ্জা নয়, বরং এটি একটি ঈমানের অংশ, এক গুরুত্বপূর্ণ ফরজ বিধান।

কাজাখ প্রেসিডেন্ট এর আগে একাধিকবার মুখ ঢাকার পোশাকের সমালোচনা করে বলেছিলেন, “এমন কালো পোশাক আমাদের ঐতিহ্য নয়। জাতীয় পোশাক পরিধানই আমাদের সংস্কৃতি।” অথচ ইসলামি বিধানকে তুচ্ছ করে জাতীয় পোশাকের কথা বলা একজন মুসলিম দেশের শাসকের পক্ষে কতটা গ্রহণযোগ্য—তা নিয়ে গোটা উম্মাহ আজ প্রশ্ন তুলছে।

কাজাখস্তান সরকার নিজেদের ধর্মনিরপেক্ষ হিসেবে পরিচয় দিলেও বাস্তবতা হলো, তারা আজ ইসলামের মৌলিক বিধানগুলোকেই নির্মমভাবে অবজ্ঞা করছে। এই প্রথম নয়—২০২৩ সালেই কাজাখ সরকার স্কুলে হিজাব নিষিদ্ধ করে। এর ফলে অন্তত ১৫০ জন মেয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ত্যাগে বাধ্য হয়, যারা বিশ্বাস করত যে হিজাব শুধু ঐচ্ছিক সাজসজ্জা নয়, বরং তা তাদের ইসলামী আত্মপরিচয়ের অংশ।

ইসলামে নারীদের পর্দা একটি ফরজ (আবশ্যিক) বিধান, যা কুরআন ও হাদিসে সুস্পষ্টভাবে নির্ধারিত। কিন্তু দুঃখজনকভাবে মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশগুলো আজ সেই ইসলামী বিধানকে পদদলিত করে পশ্চিমা সংস্কৃতির পদানত হয়ে পড়ছে। তারই এক নজির স্থাপন করল কাজাখস্তান।

এই পদক্ষেপগুলোকে কেবল সামাজিক সংস্কার বা নিরাপত্তার অজুহাতে জায়েজ করার চেষ্টাই নয়, বরং এটি ইসলামি আদর্শ ও মুসলিম নারীর আত্মমর্যাদাকে নিষ্ক্রিয় করে তোলার একটি গভীর ষড়যন্ত্র। মুসলিম নারীর পর্দা কেবল পোশাক নয়—এটি তার আত্মপরিচয়, তার ঈমানের বহিঃপ্রকাশ। একে নিষিদ্ধ করা মানে আল্লাহর বিধানের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়া।


তথ্যসূত্র:
1. 70% Population Is Muslim, Yet This Country Just Banned Burqa And Hijab In Public
– https://tinyurl.com/52349yk3
2. Kazakhstan bans niqab – Find out which other Muslim majority nations have said no to Islamic veils
– https://tinyurl.com/mrebwar6

2 মন্তব্যসমূহ

  1. আল ফিরদাউস কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি —আমি শাজারাতুন মিন তারিখিল কায়েদার অনুবাদ করছি। আনসারুশ শারিয়ার আল মালাহিম মিডিয়ার ওয়েবসাইট লিংক জরুরি প্রয়োজন। অথবা ঐ কিতাবের প্রকাশনি বাইতুল মাকদিসের ওয়েব সাইট লিঙ্ক দিন।

মন্তব্য করুন

দয়া করে আপনার মন্তব্য করুন!
দয়া করে এখানে আপনার নাম লিখুন

পূর্ববর্তী নিবন্ধহাসিনার শাসন আমলে রাষ্ট্রীয় মদদে করা হতো গুম; গুম কমিশনের প্রতিবেদনে র‍্যাব ও ডিজিএফআইয়ের নিষ্ঠুরতা
পরবর্তী নিবন্ধগাজায় দখলদার ইসরায়েলের গণহত্যায় সহায়তা করছে মাইক্রোসফটসহ বহু প্রতিষ্ঠান