
আফগানিস্তানে সামরিক যুদ্ধে পশ্চিমাদের লজ্জাজনক পরাজয়ের পর, তারা নতুনভাবে দেশটির বিরুদ্ধে মিডিয়ায় প্রোপাগান্ডা ও কূটনৈতিক যুদ্ধ শুরু করেছে। ইমারতে ইসলামিয়া সরকার যেন আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি না পায়, তার জন্য পশ্চিমা দেশগুলো চাপ সৃষ্টি করছে।
সম্প্রতি, রাশিয়া তালিবান সরকারকে স্বীকৃতি দিয়েছে এবং আরও কিছু দেশও ইমারতে ইসলামিয়াকে স্বীকৃতি দেবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ঠিক এসময় কথিত আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি) তালিবানের শীর্ষ দুই নেতার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে। এই পদক্ষেপকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মন্তব্য করেছে জাতিসংঘের আফগান বিষয়ক বিশেষ দূত রিচার্ড বেনেট।
গত ৯ জুলাই আমু টিভির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, রিচার্ড বেনেট বলেছে, আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত কর্তৃক তালিবানের দুই শীর্ষ নেতার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি সেসব সরকারের জন্য একটি শক্তিশালী বার্তা, যারা তাদের সরকারের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার কথা ভাবছে।
এক এক্স বার্তায় একে গুরুত্বপূর্ণ উল্লেখ করে সে লিখেছে, ‘এটি গুরুত্বপূর্ণ বার্তা দেয় যে, দায়মুক্তি চিরকাল থাকবে না। একই সঙ্গে এটি রাষ্ট্রগুলোকেও স্পষ্ট বার্তা দেয় যে, এমন একটি সরকার ও শাসনব্যবস্থাকে স্বীকৃতি দিও না, যারা আফগান জনগণের অর্ধেক অংশের মৌলিক অধিকার ও মর্যাদা অস্বীকার করে।’
আমীরুল মু’মিনীন শাইখ হিবাতুল্লাহ আখুন্দজাদা হাফিযাহুল্লাহ ও প্রধান বিচারপতি শায়েখ আব্দুল হাকিম হক্কানী হাফিযাহুল্লাহকে আইসিসি কতৃক মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত করার সিদ্ধান্তকে স্বাগতও জানিয়েছে সে।
উল্লেখ্য যে, গত ৮ জুলাই আইসিসি আফগানিস্তানের সর্বোচ্চ নেতা বা আমীরুল মু’মিনীন শাইখ হিবাতুল্লাহ আখুন্দজাদা হাফিযাহুল্লাহ ও প্রধান বিচারপতি শায়েখ আব্দুল হাকিম হাক্কানি হাফিযাহুল্লাহ-এর বিরুদ্ধে কথিত মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে। আইসিসি-এর দাবি, ইমারতে ইসলামিয়ার নীতিমালার আওতায় আফগান নারী ও মেয়েদের ওপর ধারাবাহিক নিপীড়ন চালানো হয়েছে। বিশেষ করে মেয়েদের শিক্ষায় নিষেধাজ্ঞা, নারীদের কর্মসংস্থানে বাধা এবং পুরুষ অভিভাবক ছাড়া চলাচলে কড়াকড়িকে আইসিসি প্রাতিষ্ঠানিক লিঙ্গ-ভিত্তিক নিপীড়নের উদাহরণ হিসেবে তুলে ধরেছে।
প্রতিক্রিয়ায় ইমারতে ইসলামিয়া সরকার আইসিসির অভিযোগ এবং এর বৈধতাকে প্রত্যাখ্যান করে বার্তা দেয়। যেখানে তারা বলেছেন, তারা এই আদালতের অস্তিত্ব ও কর্তৃত্ব স্বীকার করে না।
এই ধরণের রায় ভিত্তিহীন এবং কোনো গুরুত্ব বহন করে না। এসব পরোয়ানা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। তাই একে কঠোরভাবে প্রত্যাখ্যান করা হচ্ছে।
তথ্যসূত্র:
1. ریچارډ بېنټ: د طالبانو د مشرانو د نیولو حکم هغو هېوادونو ته روښانه پیغام دی چې له دې رژیم سره اړیکې عادي کوي
– https://tinyurl.com/36b626r6
2. I welcome the arrest warrants
– https://tinyurl.com/22r9k3va