
অবৈধ দখলদার রাষ্ট্র ইসরায়েলের বর্বর গণহত্যা ও মানবতা বিরোধী আগ্রাসনের বিরুদ্ধে ফিলিস্তিনের প্রতিরোধ যোদ্ধারা তাদের প্রতিরোধ অব্যহত রেখেছেন। এরই ধারাবাহিকতায় গাজাজুড়ে প্রতিরোধ যোদ্ধাদের সাহসী অভিযানে বেশকিছু দখলদার সেনা হতাহতের শিকার হয়েছে।
১২ জুলাই, শনিবার গাজা ভূখণ্ডে তিনটি পৃথক হামলায় অন্তত পাঁচ ইসরায়েলি সেনা আহত হয়েছে। দক্ষিণ গাজার খান ইউনিসে একটি হামলার পর আহত সেনাদের হেলিকপ্টারে সরিয়ে নেওয়া হয়।
এ ঘটনায় দখলদার বাহিনীর মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে, যার প্রেক্ষিতে তারা একাধিক এলাকায় আক্রমণ চালানোর নামে বেসামরিকদের ওপর নৃশংসতা বাড়িয়ে দেয়।
আল-কাসসাম ব্রিগেড জানায়, তাদের মুজাহিদিনরা গাজা সিটির পূর্বাঞ্চলীয় আল-তুফাহ এলাকায় অবস্থিত একটি ইসরায়েলি কমান্ড-এন্ড-কন্ট্রোল ঘাঁটিতে মর্টার হামলা চালায়। এছাড়াও খান ইউনিসের আবাসান আল-কাবিরা অঞ্চলে এক দখলদার ইসরায়েলি সেনাকে স্নাইপারের গুলিতে হত্যা করা হয়।
ফিলিস্তিনি আন্দোলনের সামরিক শাখা আল-কুদস ব্রিগেড জানায়, তাদের মুজাহিদিনরা পূর্ব আল-তুফাহ এলাকায় পূর্বে পুঁতে রাখা একটি অ্যান্টি-ট্যাংক বিস্ফোরক দিয়ে এক মারকাভা ট্যাংক ধ্বংস করে। একই কৌশলে আল-জাইতুন এলাকার পূর্বদিকে অপর একটি ট্যাংক ধ্বংস করা হয়।
এরপর খান ইউনিসের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে কিসসুফিম সাপ্লাই রুটে একটি সামরিক যানকে প্রি-প্ল্যানড আইইডি দিয়ে ধ্বংস করা হয়। একইভাবে শেখ নাসের এলাকায় ব্যারেল-শেইপড বোমা দিয়ে আরেকটি সামরিক যান উড়িয়ে দেওয়া হয়।
এছাড়া পূর্ব আল-তুফাহর জাবাল আল-সাওরানি এলাকায় অবস্থানরত দখলদার সেনাদের উপরও মর্টার হামলা চালানো হয়।
মধ্যপ্রাচ্যের চলমান সংঘাত যেন এক মনোবলের লড়াইয়ে রূপ নিয়েছে, যেখানে টিকে আছে সেই পক্ষই যার হৃদয়ে রয়েছে ন্যায়ের দাবিতে আত্মত্যাগের দৃঢ় সংকল্প। গাজার প্রতিরোধ যোদ্ধারা প্রতিনিয়ত প্রমাণ করে চলেছেন, সাহস, একতা ও কৌশলের মাধ্যমে কীভাবে আধুনিক সামরিক শক্তিকে পেছনে ফেলা যায়। বছরের পর বছর অবরুদ্ধ থেকেও তারা আজ সেই সেনাবাহিনীকে পিছু হটতে বাধ্য করছে, যারা এক সময় নিজেদের ‘অজেয়’ দাবি করত।
তথ্যসূত্র:
1.Resistance in Gaza: Command post struck, tanks destroyed
– https://tinyurl.com/2s4y6n5b


