
পশ্চিম আফ্রিকার দেশ বুরকিনা ফাসোতে জোরদার সামরিক অপারেশন পরিচালনা করছেন আল-কায়দা সংশ্লিষ্ট জামা’আত নুসরাতুল ইসলাম ওয়াল মুসলিমিন (জেএনআইএম) মুজাহিদিনরা। সেই ধারাবাহিকতায় দলটির মুজাহিদিনরা বৃহস্পতিবার দেশের ৩টি রাজ্যে অর্ধডজন সামরিক অপারেশন পরিচালনা করেছেন।
আয-যাল্লাকার রিপোর্ট অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার ১৭ জুলাই, বুরকিনা ফাসোর কায়া, দেদুগু এবং উয়াহিগুয়া রাজ্যে ৫টি পৃথক অপারেশন পরিচালনা করেছেন মুজাহিদিনরা। এরমধ্যে প্রথম ৩টি অভিযান চালানো হয় উয়াহিগুয়া রাজ্যের ল্যাঙ্গুয়ে অঞ্চলে। অভিযানগুলো বৃহস্পতিবার বিকালে উক্ত অঞ্চলের ৩টি এলাকায় জান্তা বাহিনীর ৩টি সামরিক ঘাঁটি লক্ষ্য করে একযোগে চালানো হয়।
স্থানীয় গণমাধ্যম সূত্রে জানা যায়, ‘জেএনআইএম’ এর শতাধিক মুজাহিদ ভারী ও মাঝারি অস্ত্র নিয়ে এই যুদ্ধগুলোতে অংশ নেন। তারা মোটরসাইকেল ও কয়েকটি সাঁজোয়া গাড়ি নিয়ে সামরিক ঘাঁটিগুলোর দিকে অগ্রসর হন। এসময় লক্ষ্যবস্তু সামরিক ঘাঁটিগুলোতে থাকা জান্তা বাহিনী ও মুজাহিদদের মধ্যে ভারী লড়াইয়ের সূচনা হয় এবং তা সন্ধ্যার আগ পর্যন্ত চলতে থাকে। তীব্র এই লড়াইয়ে ৩টি শত্রু অবস্থানে মুজাহিদদের হামলায় অনেক জান্তা সদস্য হতাহত হয়, ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ বাড়তে থাকলে জান্তা বাহিনীর সামরিক ঘাঁটিগুলো ছেড়ে পালাতে শুরু করে।
বুরকিনান জান্তা বাহিনীর এই পলায়নের পর মুজাহিদিনরা লক্ষ্যবস্তু ৩টি সামরিক ঘাঁটির নিয়ন্ত্রণ নিতে সক্ষম হন। বিজিত এসকল সামরিক ঘাঁটি থেকে মুজাহিদিনরা অসংখ্য অস্ত্র ও সামরিক সরঞ্জাম গনিমত লাভ করেন।
এদিন সন্ধ্যায় মুজাহিদিনরা কিয়া রাজ্যের বাগাসালোগো এবং দেদুগু রাজ্যের টোয়েনিতে আরও দুটি সামরিক অপারেশন পরিচালনা করেন। অভিযানগুলো উপরোক্ত এলাকাগুলোতে অবস্থিত জান্তা বাহিনীর ২টি সামরিক ঘাঁটি লক্ষ্য করে চালানো হয়। এসময় মুজাহিদিনরা সংক্ষিপ্ত লড়াই শেষে সামরিক ঘাঁটিগুলোর নিয়ন্ত্রণ নেন এবং এসকল স্থান থেকে প্রচুর পরিমাণে গনিমত লাভ করেন।
তথ্যসূত্র:
– https://tinyurl.com/4juefp4w