গাজায় দখলদার ইসরায়েলের দুই সেনা গুরুতর আহত

0
52

২১ মাস পেরিয়ে গেলেও গাজায় ইহুদিবাদী দখলদার ইসরায়েলের অব্যাহত আগ্রাসন চলছেই। নারী ও শিশুদের রক্তে রঞ্জিত ফিলিস্তিনের ভূমিতে আজও দখলদার বাহিনী আন্তর্জাতিক চাপ উপেক্ষা করে ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু মুজাহিদদের পরিকল্পিত হামলায় বারবার মুখ থুবড়ে পড়ছে তাদের দম্ভ। আর তারই ধারাবাহিকতায় গাজার দক্ষিণাঞ্চলে প্রতিরোধী আক্রমণে গুরুতর আহত হয়েছে দখলদার ইসরায়েলের দুই সেনা।

১৯ জুলাই, শনিবার গাজার দক্ষিণাঞ্চলে দখলদার ইহুদিবাদী সন্ত্রাসী রাষ্ট্র ইসরায়েলের সেনাদের বিরুদ্ধে পরিচালিত এক প্রতিরোধী আক্রমণে দুজন সেনা গুরুতর আহত হয়েছে বলে স্বীকার করেছে দখলদার বাহিনী।

ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর এক বিবৃতিতে বলা হয়, আহতদের মধ্যে একজন হল ৭১০তম কমব্যাট ইঞ্জিনিয়ারিং ব্যাটালিয়নের এক রিজার্ভ অফিসার এবং অপরজন ৭৪৯তম ব্যাটালিয়নের এক রিজার্ভ সৈনিক।

প্রতিরোধ যোদ্ধাদের ধৈর্য্য, পরিকল্পনা ও ঈমানি সাহসের ফলেই বারবার এই দখলদার বাহিনীর দুর্বলতা প্রকাশ পাচ্ছে। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া এই গণহত্যা ও নিপীড়নের যুদ্ধ ২১ মাস পেরিয়ে গেলেও, এখনো গাজার প্রতিরোধ যোদ্ধারা তাঁদের ঈমানি দৃঢ়তা নিয়ে সম্মুখ সারিতে লড়াই করে যাচ্ছেন।

ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর দেওয়া তথ্যমতে, যুদ্ধ শুরুর পর থেকে এখন পর্যন্ত তাদের ৮৯৩ জন সেনা নিহত এবং অন্তত ৬,১০৮ জন আহত হয়েছে। যদিও হতাহতের প্রকৃত সংখ্যা এর চেয়ে বহুগুণ বেশি। কিন্তু নিজেদের ব্যর্থতা ঢাকতে ইহুদিবাদী দখলদার পক্ষ বরাবরের মত এ সংক্রান্ত তথ্য গোপন করে আসছে।

অন্যদিকে, দখলদার ইহুদি রাষ্ট্র ইসরায়েলের পরিচালিত নির্বিচার গণহত্যায় এখন পর্যন্ত শহিদ হয়েছেন প্রায় ৫৯ হাজার নিরপরাধ ফিলিস্তিনি, যাদের অধিকাংশই শিশু ও নারী। প্রায় ধ্বংসপ্রাপ্ত গাজা উপত্যকায় ছড়িয়ে পড়েছে দুর্ভিক্ষ ও প্রাণঘাতী রোগ। মানবিক সহায়তা পৌঁছানো বন্ধ করে দিয়ে ফিলিস্তিনিদের ধ্বংসের গভীর ষড়যন্ত্রে মেতে উঠেছে ইসরায়েল ও তার মিত্র পশ্চিমা শক্তিগুলো।


তথ্যসূত্র:
1. Israeli army says 2 soldiers seriously injured in southern Gaza fighting
– https://tinyurl.com/4c9zvy4f

মন্তব্য করুন

দয়া করে আপনার মন্তব্য করুন!
দয়া করে এখানে আপনার নাম লিখুন

পূর্ববর্তী নিবন্ধবর্বর ইসরায়েলি অবরোধে অনাহারে মৃত্যু ৩৫ দিনের শিশুর, গাজায় নিহত আরও ১১৬
পরবর্তী নিবন্ধনারী উদ্যোক্তাদের জন্য এক বছরে ৫০ হাজারের অধিক লাইসেন্স ইস্যু করেছে ইমারতে ইসলামিয়া