সোমালিয়ার রাজধানী মোগাদিশুতে অবস্থিত ক্রুসেডারদের বৃহত্তম ‘হালনি’ সামরিক ঘাঁটিতে বরকতময় হামলার একদিন পরেই বাদাউইন শহরে পরপর দুটি ইস্তেশহাদী হামলা পরিচালনা করেছেন আশ-শাবাব মুজাহিদিন। সরকারের দাবি অনুযায়ী এতে ১৫৬ এরও বেশি ধর্মবিদ্বেষী গাদ্দার হতাহত হয়েছে।
আঞ্চলিক সূত্র থেকে জানা যায়, গত ২৫ মার্চ বৃহস্পতিবার দুপুরের কিছুক্ষণ পর মধ্য সোমালিয়ার হিরান রাজ্যে ২টি শহীদি হামলা চালিয়েছেন আল-কায়েদা সংশ্লিষ্ট ইসলামি প্রতিরোধ বাহিনী হারাকাতুশ শাবাবের দুইজন জানবায মুজাহিদ। যা রাজ্যটির বাদাউইন শহরে দেশটির ধর্মত্যাগী সংসদ সদস্য, পশ্চিমাদের গোলাম রাজনীতিবিদ এবং সোমালি সামরিক বাহিনীগুলোর একডজনেরও বেশি উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাকে টার্গেট করে চালানো হয়।
আশ-শাবাবের সহযোগী সংবাদ মিডিয়া সূত্রে আরো জানা গেছে, ঐদিন হারাকাতুশ শাবাবের একজন জানবায মুজাহিদ প্রথমে গাড়ি ভর্তি বিস্ফোরক নিয়ে রাজ্যটির সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ “লামা গালাই” সামরিক ঘাঁটিতে ঢুকে পড়েন। পরে ঘাঁটির অভ্যন্তরে সোমালি গাদ্দারদের একটি সমাবেশস্থল লক্ষ্য করে প্রথম ইস্তেশহাদী হামলাটি চালানো হয়। আশ-শাবাবের প্রথম ইস্তেশহাদী হামলাতেই সোমালি গাদ্দার প্রশাসনের ৪৭ কর্মকর্তা নিহত এবং আরও ৯০ এরও বেশি কর্মকর্তা আহত হয়। যাদের মধ্যে সিনিয়র সরকারি কর্মকর্তা, নির্বাচনী প্রার্থী, সিনিয়র সেনা কমান্ডার এবং ধর্মত্যাগী সৈন্যরা রয়েছি।
সূত্র মতে হামলাটি এমন এক সময় চালানো হয়েছে, যখন গাদ্দার ও ধর্মত্যাগী সোমালি প্রশাসনের কর্মকর্তারা, প্রতিনিধি পরিষদের সদস্যদের নির্বাচন করছিলেন, যার লক্ষ্য ছিল কুফরি গণতন্ত্রের পাশ্চাত্য মূল্যবোধকে প্রচার করা। এবং সোমালিয়ার মত একটি ইসলামি ভূমিতে তা অনৈতিকতা ছড়িয়ে দেওয়া। সেই সাথে এই ভূমিতে এমন আইন প্রণয়ন করা যা মহান রবের আইনের সম্পূর্ণ পরিপন্থী।
এদিকে সোমালি প্রশাসনের সেনা সদস্যরা যখন প্রথম শহীদি হামলায় নিহত ও আহতদের উদ্ধার করছিল, ঠিক তখনই অন্য একজন মুজাহিদ ঘটনাস্থলে আরও একটি শক্তিশালী শহীদি হামলা চালান। ফলশ্রুতিতে সোমালি প্রশাসনের আরও অর্ধশতাধিক গাদ্দার নিহত ও আহত হয়।
এটি লক্ষণীয় যে, বরকতময় এই ২টি শহীদি হামলার পর রাজ্য প্রশাসনের প্রধান এক বিবৃতিতে নিশ্চিত করেছেন যে, বাদাউইন শহরে আশ-শাবাবের জোড়া বোমা বিস্ফোরণে সোমালি গাদ্দার প্রশাসনের কর্মকর্তা, ডেপুটি এবং রাজনীতিবিদ সহ ৪৮ জন নিহত এবং ১০৮ জন আহত হয়েছে।
বরকতময় এই হামলার বিষয়ে এক বিবৃতিতে প্রতিরোধ বাহিনী হারাকাতুশ শাবাবের মুখপাত্র বলেন: “আল্লাহ’র ইচ্ছায় এই উম্মাহ’র বীর মুজাহিদিনরা – ইসলাম বিরোধী প্রতিটি শক্তি এবং পশ্চিমা ক্রুসেডারদেরকে প্রতিটি স্থানেই প্রতিহত করতে থাকবেন। এমনকি তাদের সবচাইতে সুরক্ষিত সামরিক প্রতিষ্ঠান এবং ঘাঁটিগুলিতে অনুপ্রবেশ করে তাদেরকে হত্যা করতে থাকবেন। সেই সাথে ইসলামী ভূমি এবং এর মুসলিম জনগণকে সমস্ত স্থানীয় এবং বিদেশী শত্রুদের হাত থেকে রক্ষা করবে৷ আর একাজে আমাদেরকে কেউ প্রতিহত করতে সক্ষম হবে না ইনশাআল্লাহ।”
“এই ভূমিতে পশ্চিমা ক্রুসেডার, আফ্রিকান দখলদার বাহিনী এবং সোমালিয ধর্মত্যাগী (মুরতাদ) বিশ্বাসঘাতকদের জন্য কোন নিরাপদ আশ্রয়স্থল থাকবে না, ইনশাআল্লাহ্। কোন সুরক্ষা ব্যারিকেড বা দুর্গ তাদেরকে আমাদের হামলা থেকে রক্ষা করতে পারবে না।”
প্রতিরোধ বাহিনী হারাকাতুশ শাবাব আল-মুজাহিদিনের লক্ষ্য সম্পর্কে বিবৃতিতে বলা হয়েছে – “হারাকাতুশ শাবাবের লক্ষ্য হল মুসলিম জাতির মঙ্গল কমানা করা এবং আল্লাহর আইনের পূর্ণ বাস্তবায়ন করা। সেই সাথে মুসলিম দেশগুলোকে কাফির ও তাদের বিদ্বেষপূর্ণ এজেন্ডা থেকে মুক্ত করা।”
Alhamdulillah, very good news
আল্লাহু আকবার আল্লাহু আকবার; লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু আল্লাহু আকবার আল্লাহু আকবার।