সম্প্রতি, পশ্চিম আফ্রিকায় ইসলামি প্রতিরোধ যোদ্ধাদের হাতে অন্তত ৫ পশ্চিমা দখলদারকে বন্দী হয়েছে। আঞ্চলিক সূত্রে বলা হয়েছে, গত দুই মাসে পাঁচ পশ্চিমা নাগরিককে বন্দী করেছেন আল-কায়েদা সংশ্লিষ্ট ইসলামি প্রতিরোধ যোদ্ধারা। যাদের মধ্যে তিনজন ইতালীয়, একজন পোলিশ এবং একজন আমেরিকান। সূত্রটি জানায় যে, ইতালীয় নাগরিকদের সাথে এক টোগোলিজ নাগরিককেও এই অঞ্চলে বন্দী করা হয়েছে।
– গত এপ্রিলের শুরুতে বুরকিনা ফাঁসোতে আমেরিকান ধর্মপ্রচারক সুয়েলেন টেনিসন’কে বন্দী করে হয়। তাঁর অপরাধ হচ্ছে ধর্ম প্রচারের আড়ালে পশ্চিমাদের হয়ে তথ্য পাচার করা এবং সাধারণ মানুষকে ভুল ও মিথ্যা বলে ধর্মান্তরিত করা।
– একই মাসের (এপ্রিল) শেষের দিকে বুরকিনা ফাঁসোতে এক পোলিশ নাগরিককেও বন্দী করা হয়। সে সেবা সংস্থার আড়ালে তথ্য পাচার করত। এছাড়াও সেবার সুযোগ নিয়ে মানুষের অন্তরে ইসলাম বিদ্বেষ তৈরি করত।
– এমনিভাবে গত ২০ মে দক্ষিণ মালির সিকাসো অঞ্চলে ৩ ইতালীয় এবং এক টোগোলিজকে আটক করা হয়। তবে তাদের বন্দী করার কারণ সম্পর্কে এখনো স্পষ্ট কিছু জানা যায় নি। ধারণা করা হচ্ছে, তারাও এধরণের শাস্তিযোগ্য অপরাধের সাথে জড়িত।
এদিকে গত এপ্রিলের শুরুতে এক ভারতীয় চিকিৎসককেও এই এলাকায় আটক করেন মুজাহিদগণ। তবে বন্দী করার কিছুদিন পরেই কোন বিনিময় ছাড়াই তাকে সুস্থ অবস্থায় ছেড়ে দেওয়া হয়।
আঞ্চলিক সূত্রগুলো উল্লেখ করেছে যে, আল-কায়েদা পশ্চিম আফ্রিকার সহযোগী জামা’আত নুসরাতুল-ইসলাম ওয়াল মুসলিম দ্বারা আটককৃত পশ্চিমাদের সংখ্যা বর্তমানে দেড় শতাধিক। যাদের মধ্যে কয়েকজন হচ্ছে- রোমানিয়ান ইউলিয়ান ঘেরগুট, অস্ট্রেলিয়ান কেন এলিয়ট, আমেরিকান জেফরি উডকে, জার্মান জর্গ ল্যাঞ্জ।
উল্লেখ্য যে, আল-কায়েদার সাথে সম্পৃক্ত প্রতিরোধ যোদ্ধারা এই অঞ্চলে পশ্চিমাদের দালাল বন্দীদের বিনিময়ে নিজ সহযোদ্ধাদের মুক্ত করে থাকেন। সেই সাথে প্রচুর পরিমানে মুক্তিপণও আদায় করেন তাঁরা।