ভারতে বারানসীর জ্ঞানভাপি মসজিদ। এই মসজিদে প্রায় ৩৫০ বছর ধরে নামাজ আদায় করছেন হিন্দের ভুমির প্রকৃত মালিক মুসলিমরা। আর বারানসির জেলা আদালত আজ মুসলিমদের নামাজ পড়া বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে এই ঐতিহ্যবাহী মসজিদটিতে।
উত্তরপ্রদেশের মুসলিম নেতারা বারাণসী জেলা আদালতের আদেশকে “সুপ্রিম কোর্ট এবং সংসদে পাশ হওয়া আইনের লঙ্ঘন” বলে অভিহিত করেছেন। কারণ তাদের বানানো আইনেও স্পষ্ট করে লেখা আছে যে, উপাসনার স্থান আইন অনুসারে ধর্মীয় স্থানগুলিতে আর কোনও পরিবর্তন করা যাবে না।”
অল ইন্ডিয়া মিলি কাউন্সিলের কার্যনির্বাহী সদস্য এবং বাবরি মসজিদ মামলার প্রাক্তন বাদী মাওলানা খালিক আহমদ খান বলেছেন, “জ্ঞানবাপি মামলায় মুসলিম পক্ষের আপত্তি ছিল উপাসনার স্থান আইনের উপর ভিত্তি করে, যা ধর্মীয় স্থানগুলোর কোনও পরিবর্তনকে বাতিল করে। এটি ভারতীয় সংসদ কর্তৃক গৃহীত একটি আইন, যা সুপ্রিম কোর্টের একটি সাংবিধানিক বেঞ্চ দ্বারা নিশ্চিত করা হয়েছে। এখন,কোন কিছুর তোয়াক্কা না করে একটি হিন্দুত্ববাদী জেলা আদালত মুসলিমদের নামাজ পড়া বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে।”
ইসলামিক সেন্টার অফ ইন্ডিয়ার মাওলানা খালিদ রশিদ ফিরাঙ্গি মাহালি বলেছেন, “গত ৩৫০ বছর ধরে, মুসলমানরা জ্ঞানভাপি মসজিদে নামাজ পড়ছেন এখন হঠাৎ করে নামাজ বন্ধ রাখতে নির্দেশ দিচ্ছে। যাতে পার্লামেন্ট কর্তৃক পাসকৃত এবং সুপ্রিম কোর্ট কর্তৃক গৃহীত উপাসনালয় আইনকেও উপেক্ষা করা হয়েছে।
আসলে হিন্দুবাদীরা আইনকে নিজের স্বার্থ অনুযায়ী ব্যবহার করে। প্রকৃতপক্ষে তাদের একমাত্র আইন হল ইসলাম ও মুসলিমবিদ্বেষ। মুসলিমদের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়ার জন্য তারা কোন কিছুর তোয়াক্কা করে না। যেমনটা তারা করেছে মুসলিমদের বাবরী মসজিদের ক্ষেত্রে। কোন ধরণের তথ্য প্রমাণের তোয়াক্কা না করে অন্ধ বিশ্বাসের উপর রায় দিয়েছে। এমনটাই করা হয়েছে বারাণসীর জ্ঞানভাপীসহ অন্যান্য ঐতিহাসিক অন্যান্য মসজিদগুলোর ক্ষেত্রে।
তবে বিশ্লেষকরা বলছেন, যে গোমূত্রপায়ী সম্প্রদায় মুসলিমবিদ্বেষ চরিতার্থ করতে নিজ ধর্মে পরিবর্তন এনে গোমাংস নিষিদ্ধ করে গরুর মূত্রপানের মতো নেক্কারজনক কাজে লিপ্ত হতে পারে, তাদের পক্ষে তাদের ‘ঠুনকো’ সংবিধানের আইন পরিবর্তন করা তো খুবই মামুলি।
তথ্যসূত্র:
——–
1. Muslim Leaders Say Varanasi Court Infringing on SC, Lok Sabha
– https://tinyurl.com/5n7s8hha