সম্প্রতি পাক-আফগান সীমান্তে গাদ্দার পাকিস্তান ও ইমারতে ইসলামিয়া আফগানিস্তানের সীমান্তরক্ষীদের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়েছে। এতে গাদ্দার পাকিস্তান সামরিক বাহিনীর অর্ধশতাধিক সৈন্য হতাহতের খবর পাওয়া গেছে।
স্থানীয় গণমাধ্যম সূত্রে জানা যায়, গত ২০ নভেম্বর দুপুর থেকে ২১ নভেম্বর বিকাল পর্যন্ত, পাকিস্তানের কুররাম এজেন্সি এবং ইমারাতে ইসলামিয়া আফগানিস্তানের পাকতিয়া প্রদেশের ডান্ড-পাটান জেলার সীমান্তে উভয় দেশের সীমান্তরক্ষীদের মধ্যে তীব্র লড়াই হয়েছে। উভয় বাহিনী একে অপরের উপর ভারী অস্ত্র ও কামান ব্যবহার করেছে। এতে উভয় পক্ষই ক্ষয়ক্ষতির শিকার হয়েছে।
ইমারাতে ইসলামিয়া আফগানিস্তানের বীর যোদ্ধাদের তীব্র হামলার মুখে ৬টি চেকপোস্ট ছেড়ে পালিয়েছে পাকিস্তান সেনারা। পরে সেগুলো গুড়িয়ে দেন মুজাহিদগণ। সেই সাথে গাদ্দার বাহিনীর অন্তত ২১ সদস্য নিহত এবং আরও কমক্ষে ২৯ সৈন্য আহত হয়েছে। বিপরীতে, নাপাক বাহিনীর সাথে লড়াইয়ে মানসুর নামে একজন তালিবান মুজাহিদ শহিদ হয়েছেন এবং অন্য ২ জন মুজাহিদ আহত হয়েছেন।
সংঘর্ষের কারণ সম্পর্কে স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ইমারাতে ইসলামিয়া প্রশাসন পাকতিয়া থেকে গার্দিজ পর্যন্ত সীমান্ত হয়ে একটি সড়ক নির্মাণ কাজ করছিলেন। এসময় পাকিস্তান সামরিক বাহিনীর এক শিয়া কমান্ডার সড়ক নির্মাণ কর্মীদের দিকে গুলি চালায়। এতে ২জন সড়ক নির্মাণ কর্মী আহত হন।
এতে সীমান্তে দায়িত্বরত ইমারাতে ইসলামিয়ার সীমান্তরক্ষীরাও পাল্টা হামলা চালিয়ে পাকিস্তানের ঐ শিয়া কমান্ডারকে হত্যা করেন। এরপর গাদ্দার পাকিস্তান সামরিক বাহিনী একযুগে ইমারাতে ইসলামিয়ার দিকে হামলা চালাতে শুরু করে। বিপরীতে তালিবান মুজাহিদরাও পাল্টা আক্রমণ শুরু করেন। এভাবেই সংঘর্ষ তীব্র আকার ধারণ করে।
ইমারাতে ইসলামিয়া আফগানিস্তান প্রশাসনের একটি সরকারী সূত্র মতে, পাকিস্তানের পক্ষ থেকে প্রথমে গুলি চালানো হয়েছিল, ফলে আফগান বাহিনী তার জোরালো জবাব দিয়েছে। এর মাধ্যমে শত্রুদেরকে নীরব করা হয়েছে। এসময় শত্রুদের অনেকে হতাহত হয়েছে এবং একজন আফগান সীমান্তরক্ষীও শহিদ হয়েছেন।
এই সংঘর্ষের বেশ কিছু ভিডিও এবং ছবি ইতিমধ্যে সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচারিত হয়েছে। ভিডিওতে দেখা গেছে, ইমারাতে ইসলামিয়া আফগানিস্তানের সীমান্তরক্ষীরা সীমান্তের বিশাল জায়গা থেকে কাঁটাতারের বেড়া উঠিয়ে ফেলছেন। পাশাপাশি, ডুরান্ড লাইনে পাকিস্তানের বসানো খুঁটিগুলি গুড়িয়ে দিচ্ছেন। পরিস্থিতি নিজেদের নিয়ন্ত্রণে রাখতে মুজাহিদগণ সীমান্ত কয়েক হাজার যোদ্ধাকে নিয়োগ দিয়েছেন।
আফগান সাধারণ জনগণকেও মুজাহিদদের সাথে মিলে পাকিস্তান গাদ্দার বাহিনীর উপর হামলার অনুমতি চাইতে দেখা গেছে ভিডিওতে। কিন্তু তালিবান কমান্ডাররা তাদেরকে বিরত রাখছেন এবং নিজেরাই এটি সমাধান করবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন।
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত, পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ও সীমান্ত উত্তেজনা বন্ধে ২১ নভেম্বর বিকালে উভয় দেশের প্রতিনিধীরা একটি জরুরি বৈঠকে বসেন।
এছাড়া, পাকিস্তানের বহু সংখ্যক গাদ্দার সৈন্যের মৃত দেহ এবং আহত সৈন্যদের ছবিও দেখা গেছে এসব ভিডিওতে। ইমারাতে ইসলামিয়ার সীমান্তরক্ষীদের হামলায় পাকিস্তান সামরিক বাহিনীর ক্ষয়ক্ষতির কিছু চিত্র-
alhamdulillah