সম্প্রতি সোমালিয়ার দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলিয় বে রাজ্যের নতুন আরও একটি শহরের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছেন ইসলামি প্রতিরোধ বাহিনী হারাকাতুশ শাবাব আল-মুজাহিদিন। গত ২১ নভেম্বর শাবাব যোদ্ধারা দেশজুড়ে অন্তত ১১টি হামলার নেতৃত্ব দিয়েছেন বলে জানা গেছে।
স্থানীয় সূত্র মতে, ২১ নভেম্বর ভোরে আশ-শাবাব প্রশাসনের ভারী সশস্ত্র বাহিনী রাজ্যটির দিনুনাই শহরে গাদ্দার সরকারি মিলিশিয়াদের একটি সামরিক ঘাঁটিতে অভিযান পরিচালনা করেন। এসময় দুই পক্ষের মধ্যে তীব্র লড়াই সংঘটিত হয়।
প্রাথমিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, এই হামলায় দিনুনাই শহরের ডেপুটি মেয়র ও এক গাদ্দার সৈন্য নিহত হয়েছে। এছাড়া আহত হয়েছে আরও অনেক সৈন্য। নিহত ডেপুটি মেয়রকে মাত্র এক সপ্তাহ আগে এই পদে নিযুক্ত করা হয়েছিল।
সকালের তীব্র লড়াইয়ের পর শহরটিতে বিকালে আরও বড় আকারে হামলা চালাতে প্রস্তুতি নিতে শুরু করেন মুজাহিদগণ। এই সংবাদ গাদ্দার সেনারা জানা মাত্রই ঘাঁটি ও শহর ছেড়ে পালিয়ে যায়। গাদ্দার বাহিনীর পলায়নের পর মুজাহিদগণ ঘাঁটিটির নিয়ন্ত্রণ নেন এবং সেখানে প্রচুর সংখ্যক অস্ত্র ও অন্যান্য সামরিক সরঞ্জাম গনিমত লাভ করেন।
এদিন দক্ষিণ-পশ্চিম আফজাউয়ে শহরের উপকণ্ঠে জাবিদ শহরের কাছে গাদ্দার মিলিশিয়াদের একটি সমাবেশ লক্ষ্য করেও তীব্র হামলা চালান হারাকাতুশ শাবাব মুজাহিদিন। এতে গাদ্দার সোমালি সামরিক বাহিনীর অন্তত ৭ সদস্য নিহত এবং আরও বহু সংখ্যক সৈন্য আহত হয়। বাকিরা পালিয়ে যায়। অভিযান শেষে মুজাহিদগণ ঘটনাস্থল থেকে প্রচুর সংখ্যক মেশিনগান এবং অন্যান্য সামরিক সরঞ্জাম গনিমত লাভ করেন।
একই দিন রাজধানী মোগাদিশুর দিনালি জেলায় ঘরবা জাওফ নামক এক উচ্চপদস্থ সোমালি পুলিশ অফিসারকে গুলি করে হত্যা করেন মুজাহিদগণ। নিহত এই গাদ্দার অফিসার মুসলমানদের উপর জুলুম করার জন্য কুখ্যাত ছিল। তার হাতে অন্যায়ভাবে নিহত হয়েছেন অনেক বেসামরিক নাগরিক।
একই ভাবে শাবেলি রাজ্যের জানালি শহরে আরও একটি টার্গেট কিলিং অপারেশন চালান মুজাহিদগণ। এতে এক অফিসার সহ আরও ২ সৈন্য হতাহত হয়।
উল্লেখ্য যে, বরকতময় এই অভিযানগুলি ছাড়া গত ২১ নভেম্বর, সোমালিয়ার রাজধানী মোগাদিশু, বানাদির, বাকুল ও যুবা রাজ্যেও অন্তত আরও ৯টি সফল হামলা চালিয়েছেন মুজাহিদগণ। এসকল হামলা গাদ্দার সোমালি বাহিনীর সামরিক ঘাঁটি এবং দখলদার ইথিওপিয়ান ও কেনিয়ান বাহিনীর একাধিক সামরিক ব্যারাকে চালানো হয়েছে। এতে কুফফার বাহিনী ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির শিকার হয়েছে, আলহামদুলিল্লাহ।