আফ্রিকার সাহেল অঞ্চলে সক্রিয় আল-কায়েদা সংশ্লিষ্ট প্রতিরোধ যোদ্ধারা বুরকিনা ফাসোতে জান্তা বাহিনীর বিরুদ্ধে তাদের সামরিক অপারেশন অব্যাহত রেখেছেন। সেই ধারাবাহিকতায় সম্প্রতি মুজাহিদদের ৩টি অভিযানে অন্তত ১৪ জান্তা সেনা হতাহত হয় এবং অন্য একটি পাল্টা আক্রমণে অনির্দিষ্ট সংখ্যক সৈন্য হতাহত হয়।
আয-যাল্লাকার তথ্য অনুযায়ী, মুজাহিদিনরা গত ২৬ নভেম্বর, বুরকিনা ফাসোর ফাদানগোরমা, সেকৌ এবং তেনকাউদুগৌ রাজ্যে ৩টি অভিযান পরিচালনা করছেন। আর গত ২৮ নভেম্বর দেদুগু রাজ্যে শত্রু বাহিনীর বিরুদ্ধে একটি পাল্টা আক্রমণ চালিয়েছেন।
এসকল অভিযানের মধ্যে গত ২৬ নভেম্বর, ফাদানগোরমা রাজ্যের ক্রি এলাকায় বুরকিনান সেনাবাহিনীর একটি সদর দফতর লক্ষ্য করে আক্রমণ চালান মুজাহিদিনরা। এতে বুরকিনান জান্তা বাহিনীর কমপক্ষে ২ সেনা নিহত হয়।
আর সেকৌ রাজ্যের বুলবানা গ্রামে এদিন মুজাহিদদের একটি বিস্ফোরক ডিভাইস বিস্ফোরণে জান্তা বাহিনীর একটি গাড়ি ধ্বংস হয়ে যায়। এসময় সাঁজোয়া যানে থাকা জান্তা বাহিনীর ৬ সদস্য নিহত এবং ৩ সদস্য আহত হয়।
এমনিভাবে তেনকাউদুগৌ রাজ্যের কোনডুগৌ এলাকায় এদিন মুজাহিদিনরা তাদের তৃতীয় অপারেশনটি পরিচালনা করেন। জান্তা বাহিনীর একটি সামরিক ঘাঁটি লক্ষ্য করে মুজাহিদদের পরিচালিত এই অভিযানে অন্তত ৩ জান্তা সদস্য নিহত হয়।
এদিন মুজাহিদিনরা তাদের অভিযানগুলো শেষে জান্তা বাহিনী থেকে ১টি দুশকা, ১টি পিকা, ১২টি ক্লাশিনকোভ এবং ১১ট মোটরসাইকেল সহ অন্যান্য অনেক সামরিক সরঞ্জাম গনিমত লাভ করেন। সেই সাথে মুজাহিদিনরা শত্রু বাহিনীর ১টি সাঁজোয়া যান এবং ৯টি মোটরসাইকেল পুড়িয়ে ফেলেন।
আর গত ২৮ নভেম্বর মুজাহিদিনরা তাদের চতুর্থ অভিযানটি পরিচালনা করেন দেদুগু রাজ্যের কিসি এলাকায়। অভিযানটি বুরকিনান সেনাবাহিনীর আগ্রাসন ঠেকাতে পাল্টা আক্রমণ হিসাবে চালানো হয়। যার ফলস্বরূপ এলাকাটিতে উভয় বাহিনীর মধ্যে একটি তীব্র লড়াই সংঘটিত হয়। এতে শত্রু বাহিনীতে ব্যাপক হতাহতের ঘটনা ঘটে এবং অন্যরা পালিয়ে যায়। এসময় মুজাহিদিনরা শত্রু বাহিনী থেকে বাজেয়াপ্ত করেন ৪টি মোটরসাইকেল, ১টি ড্রোন এবং প্রচুর সংখ্যক বিভিন্ন সামরিক সরঞ্জাম।