নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে পাঁচ কোটি টাকা চাঁদা দাবি এবং ফ্যাক্টরি দখলের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় এক আওয়ামী লীগ নেতার বিরুদ্ধে।
ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করেছেন, অভিযুক্ত লিয়াকত আলীকে পুলিশ গ্রেফতার করেছিল, তবে জামিনে মুক্তি পাওয়ার পর সে ফ্যাক্টরি মালিক ও তার পরিবারকে হত্যার হুমকি দিচ্ছে এবং একাধিক মিথ্যা মামলা দায়ের করে হয়রানি করছে।
মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করে, ফ্যাক্টরির মালিক হেলাল, পেয়ার আলী, নুরুল ইসলাম, মেজবাহ ইসলাম আরিফ, ফখরুল ইসলাম মজুমদার, মহাসিনা আক্তার হ্যাপি, মাহমুদা আক্তার সুলতানা গংদের কাছে এ চাঁদা দাবি করে। কিন্তু তারা টাকা না দেয়ায় শুরু করে নানা ধরনের নির্যাতন।
ভুক্তভোগী ফ্যাক্টরি মালিক মো: হেলাল লিখিত বক্তব্যে জানায়, ১৯৭০ সাল থেকে তিনি ও তার অংশীদাররা সিদ্ধিরগঞ্জের সানারপাড়ের খর্দ্দঘোষপাড়া মৌজায় ১০৫ শতাংশ জমির মালিক। সিএস ১৮৪/৪০৪, আরএস ৪৭৪/৪৭৫, এসএ ১৩২ নং এবং সিএস খতিয়ান ১১৭ দাগে রেজিস্ট্রিকৃত এ জমিতে তারা পাইপ ফ্যাক্টরি ও কাঠের মিল স্থাপন করে দীর্ঘদিন ধরে ব্যবসা পরিচালনা করে আসছে। ২০২১ সালে লিয়াকত আলী জমিটি দখলের উদ্দেশ্যে তাদের কাছে পাঁচ কোটি টাকা চাঁদা দাবি করে। টাকা না দেয়ায় লিয়াকত ও তার সন্ত্রাসী বাহিনী নানাভাবে হুমকি-ধামকি ও হয়রানি শুরু করে। এক পর্যায়ে ভুয়া কাগজপত্র তৈরি করে ফ্যাক্টরি দখলের চেষ্টা করে। ভুক্তভোগীরা এ ঘটনায় স্থানীয় থানায় মামলা দায়ের করলে পুলিশ তাকে (লিয়াকত) গ্রেফতার করে। তবে কিছুদিন পরে সে জামিনে মুক্তি পেয়ে আবারো হুমকি-ধামকি শুরু করে। হেলাল আরো অভিযোগ করে, লিয়াকত আলী প্রভাবশালী হওয়ায় তার বিরুদ্ধে কোনো কার্যকর ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে না। উল্টা তারা একাধিক মিথ্যা মামলার শিকার হচ্ছে।
তথ্যসূত্র:
১.৫ কোটি টাকা চাঁদা না দেয়ায় ফ্যাক্টরি দখলের চেষ্টা
-https://tinyurl.com/yr8sfe4t