
ভোলার চরফ্যাশনের বিভিন্ন ইউনিয়নে লঘুচাপের প্রভাবে সৃষ্ট জোয়ার ও টানা বৃষ্টিতে লোকালয়ে পানি প্রবেশ করেছে। পাশাপাশি নষ্ট হয়েছে মাছের ঘের, পুকুর ও মাঠের ফসল। এছাড়াও হাজারীগঞ্জ ও জাহানপুর ইউনিয়নের খেজুরগাছিয়া গ্রামে বেড়েছে মেঘনা ও তেঁতুলিয়া নদীর পানি। এতে হাজারীগঞ্জ ও জাহানপুর ইউনিয়নের খেজুরগাছিয়া বেড়িবাঁধে ভাঙন ধরেছে।
এদিকে বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপের প্রভাবে উপকূলের নদীগুলোতে স্বাভাবিক জোয়ারের তুলনায় পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। যার ফলে খেজুরগাছিয়া বাঁধটির প্রায় ৩০০ ফুট রাস্তা ভেঙে লোকালয়ে পানি প্রবেশের ঝুঁকিতে রয়েছে। শুক্র ও শনিবার দুইদিনের বৃষ্টি ও মেঘনায় জোয়ারের চাপে পাউবোর বেড়িবাঁধে প্রায় ৩০০ ফুট এলাকায় ফাটল দেখা দিয়েছে। এতে আতঙ্কে রয়েছে দুইটি ইউনিয়নের লক্ষাধিক গ্রামবাসী।
জানা গেছে, ঘূর্ণিঝড় শক্তির আঘাতে ভাঙ্গণ দেখা দিলেও জরুরি মেরামতের বরাদ্দ হয়। স্থানীয় এলাকাবাসীর অভিযোগ তাৎক্ষণিক জিও ব্যাগ ফেলে ব্যবস্থা নেয়া হলে বাঁধটি এতো দ্রুত ভেঙে যেতো না। এখন পর্যন্ত বাঁধ ভেঙে গ্রামে পানি না ঢুকলেও আগামী দু একদিনে এ বাঁধটি ভেঙে যাওয়র আশংকা করা হচ্ছে। এতে আতঙ্ক বিরাজ করছে ওই এলাকায়।
তথ্যসূত্র:
১. ভোলার খেজুর গাছিয়া বেড়িবাঁধে ভাঙন, উপকূলে আতঙ্ক
– https://tinyurl.com/kt365ufx


