বিরুদ্ধে বললেই কবরে কিংবা জেলে! বাংলাদেশ হিন্দুত্ববাদের আগ্রাসনের কবলে?

0
2080
বিরুদ্ধে বললেই কবরে কিংবা জেলে! বাংলাদেশ হিন্দুত্ববাদের আগ্রাসনের কবলে?

বাংলাদেশে হিন্দুত্ববাদের আগ্রাসন চলছে- এ কথাটি কেউ কেউ মানতে চান না। কিন্তু, বাস্তবে দেখা যায় এদেশের প্রশাসনিক থেকে সামাজিক কার্যক্রম, সকল ক্ষেত্রেই হিন্দুদের প্রভাব এত বেশি যে এদের অপকর্মের বিরুদ্ধে কথা বলা তো দূরে থাক নিয়মতান্ত্রিক সমালোচনা করাও এখন ভয়ের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে, অপরাধ বলে গণ্য করা হচ্ছে।  হিন্দুত্ববাদী আগ্রাসনের বিরুদ্ধে মুখ খুললেই হত্যা কিংবা জেলে বন্দী করা হচ্ছে।  সাম্প্রতিক বিভিন্ন ঘটনায় এ বিষয়টি অত্যন্ত সুস্পষ্ট হয়েছে যে, বাংলাদেশ হিন্দুত্ববাদের আগ্রাসনের শিকার, এদেশের মুসলিমরা হিন্দুত্ববাদীদের হাতে নিপীড়িত।

গত ২৮শে অক্টোবরের খবর। বাংলাদেশে নৈরাজ্য সৃষ্টিকারী রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর প্রধান শেখ হাসিনার অপকর্মের সমালোচনা ও শেখ মুজিবকে জাতির পিতা স্বীকার করতে না চাওয়ায় মাসুম বিল্লাহ নামে ২৪ বছর বয়সী একজন মুসলিম যুবককে গ্রেফতার করেছে রাষ্ট্রীয় ‘বৈধ’ সন্ত্রাসী বাহিনী পুলিশ। মুসলিম যুবককে গ্রেফতারের কারণ কেবল এটাই নয়, আরেকটি বিশেষ কারণ রয়েছে।  দাঁড়িওয়ালা, পাঞ্জাবী-টুপি পরিহিত ঐ মুসলিম যুবককে কোন সে বিশেষ কারণে, কোন বিশেষ অপরাধে (!?) গ্রেফতার করা হলো?!  সংবাদমাধ্যমসমূহে উঠে এসেছে, হাসিনার অপকর্মের সমালোচনা করার পাশাপাশি ঐ মুসলিম যুবক বাংলাদেশে ইসকনের মাধ্যমে হিন্দুত্ববাদের শাসন চলছে বলেও মত প্রকাশ করেন। আর, এটাই মুসলিম যুবকের গ্রেফতারীর পেছনে সেই বিশেষ কারণ বলে মনে হয়। আসলে, হাসিনা বাহিনীর সবকিছু সহ্য হলেও হিন্দুত্ববাদের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে কথা বললে সহ্য হয় না, এ নিয়ে কেউ কথা বললেই তাকে ঝাঁপটে ধরে হিন্দুত্ববাদের এদেশীয় দালালেরা। আমাদের মুসলিম ভাই মাসুম বিল্লাহও হিন্দুত্ববাদী আগ্রাসনের বিরুদ্ধে কথা বলায় তাদের রোষানলের শিকার। যে কারণে হত্যা করা হয়েছিল বুয়েটের মেধাবী ছাত্র আবরার ফাহাদকে, সে কারণেই গ্রেফতার করা হলো মাসুম বিল্লাহকে। এ থেকেই আসলে বুঝা যায়, দেশ কারা চালাচ্ছে!?

যাইহোক, মাসুম বিল্লাহর বিরুদ্ধে এসকল অপরাধের (!?) অভিযোগ এনে মামলা করেছে পুলিশেরই এক এসআই! অথচ, ভোলায় আমাদের প্রাণের প্রিয় রাসূল মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে নিয়ে কটুক্তিকারী হিন্দুকে তারা নানা ছলেবলে বাঁচিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছে। মুসলিমদের হৃদয়ের স্পন্দন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে নিয়ে হিন্দুরা কটুক্তি করলে, সেটা পুলিশ বাহিনীর নজরে পড়ে না, এমনকি সভা-সমাবেশ কিংবা বিচার দাবি করেও তাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করা যায় না। বরং, তাদের পক্ষ থেকে বুলেট এসে মুসলিমদের বুকে বিদ্ধ হয়, মুমিনের দেহের রক্ত ঝরে রাজপথ রঞ্জিত হয়। কিন্তু, মুসলিমরা হিন্দুত্ববাদের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে কিছু বললে পুলিশ নিজেই সেটার বিরুদ্ধে অভিযোগ করে, মামলা দায়ের করে।  মুসলিম অধ্যুষিত এ দেশে বিষয়টা আশ্চর্যজনক মনে হলেও খুবই দৃঢ়তার সাথে এ দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে হিন্দুত্ববাদের দালাল পুলিশ বাহিনী।    এখন কথা হলো- মুসলিম ভাই মাসুম বিল্লাহ বাংলাদেশে ইসকনের মাধ্যমে হিন্দুত্ববাদের শাসন চলছে বলে যে মন্তব্যটি করে গ্রেফতার হলেন সেটা সত্য নাকি মিথ্যা? হিন্দুত্ববাদের বিরুদ্ধে কথা বলার কারণে যে মাসুম বিল্লাহকে গ্রেফতার করা হলো, সেটাই এদেশে কাদের শাসন চলছে তার একটি বড় দলিল। তারপরও, আমাদের সামনের আলোচনায় তা আরো স্পষ্ট হবে আশা করা যায় ইনশাআল্লাহ।

বর্তমানে বহুল আলোচিত একটি নাম ইসকন। মুসলিমদের বিরুদ্ধে ইসকনের বিভিন্ন সন্ত্রাসী কার্যক্রমই তাদেরকে আলোচনায় নিয়ে এসেছে। এতদিন খুব একটা প্রকাশ্যে না এলেও সম্প্রতি বিভিন্ন ঘটনার প্রেক্ষিতে ইসকন নামক সন্ত্রাসী হিন্দু দলটি বাংলাদেশের মুসলিমদের জন্য আতংকের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। অবশ্য, ততদিনে ইসকনের কার্যক্রম বহুগুণে বৃদ্ধি পেয়েছে, বাংলাদেশের সর্বত্র ছড়িয়ে পড়েছে। সাউথ এশিয়ান মনিটরের তথ্যানুযায়ী, ২০০৪ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশে ইসকন প্রতিষ্ঠার ২৯ বছরে হিন্দুত্ববাদী সন্ত্রাসী সংগঠনটির মোট স্থায়ী বা আজীবন সদস্যের সংখ্যা ছিল মাত্র ১৯০০ জনের মতো। গত দেড় দশকে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৫ হাজারের ওপরে। সাধারণ ভক্ত-অনুসারির সংখ্যা এর কয়েকগুণ। ২০০৯ সালের দিকে এর মন্দিরের সংখ্যা ছিল ৩৫টি। বর্তমানে তা দ্বিগুণ বেড়ে ৭১টিতে দাঁড়িয়েছে।  আতংকের কথা হলো, ইসকনের কেন্দ্রীয় দপ্তর ভারতের মায়াপুরে এবং ইসকনের প্রতিষ্ঠাতা এসি ভক্তিভেদান্ত স্বামী প্রভুপাদ শেষ নিঃশ্বাসও ত্যাগ করেছে ওখানে। অথচ সেই গোটা ভারতেই এখন পর্যন্ত ইসকনের মন্দিরের সংখ্যা ৬৪টি! অর্থাৎ, ইসকনের মন্দির ভারতের চেয়েও বাংলাদেশে বেশি!

আবার, কেবল  সদস্য ও মন্দিরই যে বেড়েছে তা নয়। সদস্য এবং মন্দির বাড়ার সাথে সাথে বৃদ্ধি পেয়েছে ইসকনের প্রভাবও। বাংলাদেশ সরকারের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে ইসকনের উগ্র সদস্যরা নিয়োজিত রয়েছে, এমনকি বাংলাদেশের সাবেক প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহাও ছিলো ইসকন নেতা!  তার নির্দেশেই সিলেটের প্রায় ২ হাজার কোটি টাকা মূল্যের তারাপুর চা বাগানের প্রায় ৪২২ একর বা ১৩শ’ বিঘা জমির মালিকানা ইসকনের হাতে তুলে দিয়ে ৫০ হাজারের অধিক মুসলিমকে বিপদে ফেলা হয়। ৩ হাজার মুসলিম পরিবারকে নিঃস্ব করা হয়। এখনো ধীরে ধীরে সেখান থেকে মুসলিমদেরকে উচ্ছেদ করা হচ্ছে। কতটা ক্ষমতাবান এই ইসকন? মুসলিমদের দেশে মুসলিমদেরকেই বাড়িছাড়া করছে এই সন্ত্রাসী হিন্দু সংগঠনটি!

কেবল প্রশাসন নয়, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেও রয়েছে ইসকনের ভয়াবহ প্রভাব। ইসকনের প্রসার আর প্রভাবের ব্যাপারে ইসকনের কেন্দ্রীয় স্বামীবাগ আশ্রমের ব্রহ্মচারী ঈশ্বর গৌরহরিদাস গত মে মাসে বলে, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট), খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট), বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের প্রায় সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়েই শিক্ষকদের মধ্যে ৩/৪ জন করে ইসকনের ভক্ত-অনুসারি রয়েছে। আর নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়ার সব ক্ষেত্রেই ২/৩ জন করে থাকছে। এমনকি, ইসকনের সদস্যকে শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের উপর চাপও প্রয়োগ করছে এই হিন্দু সংগঠনটি! চিন্তা করেন তো, আমি-আপনি আমাদের সন্তানদেরকে এসকল বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ভর্তি করানোর জন্য যদি প্রশাসনের কাছে হাজার বারও কান্নাকাটি করে অনুরোধ করি, এর ফল কী হবে? তারা আপনার-আমার সন্তানকে ভর্তি করবে না। অথচ, সেই বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর শিক্ষক হিসেবে ইসকন সদস্যদেরকে নিয়োগ দেওয়া বাধ্যতামূলক এবং তাদেরকে নিয়োগ দিতেই প্রশাসনের উপর চাপ প্রয়োগ করছে হিন্দু সংগঠন ইসকন! কতটা প্রভাব, কতটা ক্ষমতা থাকলে এমনটা করতে পারে?! এমপি-মন্ত্রীদেরও এতটা ক্ষমতা আছে কি না, সন্দেহ হয়! আর, ভারতের বিরুদ্ধে পোস্ট দেওয়ায় বুয়েটের মেধাবী মুসলিম ছাত্র আবরার ফাহাদকে হত্যা করার মূল পরিকল্পনাকারী ইসকন সদস্য অমিত সাহাকে বাঁচানোর যে প্রচেষ্টা চলেছে, তার মাধ্যমে এসকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও প্রশাসনের উপর ইসকনের ক্ষমতারই বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে।

এখন আসেন বাংলাদেশের সামাজিক ক্ষেত্রে ইসকন কী করে চলেছে, তা নিয়ে চিন্তা করি। বাংলাদেশ একটি মুসলিম অধ্যুষিত দেশ। বাংলাদেশের সমাজব্যবস্থায় ইসলামী রীতিনীতির প্রতিফলন ঘটবে, এটাই ছিলো স্বাভাবিক। মুসলিমরা দিনে পাঁচবার সালাত আদায় করেন, আর এ সময়টাতে নিরবতা একান্তই জরুরি। কিন্তু, বাংলাদেশের মুসলিমদেরকে সালাতের সময়টাতেও শান্তি দিচ্ছে না সন্ত্রাসী ইসকনরা। তারা সালাতের সময় উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে উচ্চ আওয়াজে গান বাজিয়ে মুসল্লিদের বিরক্ত করে সংঘর্ষ বাধানোর চেষ্টা করে। আর, ইসকনের এরূপ কর্মকাণ্ডের কারণে বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায় মুসলিমদের সাথে সংঘর্ষও হয়েছে এবং সেখানে হিন্দুত্ববাদী পুলিশ গিয়ে আবার ইসকনের পক্ষ নিয়ে মুসলিমদের উপরই গুলি চালিয়েছে। এমনই এক ঘটনার প্রতিবাদ করায় ২০১৬ সালে সিলেটের এক মসজিদের ইমামকে নির্মমভাবে হত্যাও করা হয়।

চট্টগ্রামের বিভিন্ন স্কুলে গিয়ে গত জুলাই মাসে প্রকাশ্যে এক অপকর্ম করে হিন্দু সন্ত্রাসী সংগঠন ইসকন। তারা মুসলিম অধ্যুষিত এ দেশের বিভিন্ন স্কুলের অবুঝ শিশুদের মাঝে প্রসাদ বিতরণ করে, খাবার খাইয়ে ‘হরে কৃষ্ণ’ বলায়।

এভাবে এদেশের সামাজিক ক্ষেত্রেও মুসলিমদেরকে হিন্দুত্ববাদের দাসত্বের শৃঙ্খলে আবদ্ধ রাখার জন্য ইসকনের ক্ষমতা প্রদর্শন করা চলছে।

আসলে কেবল ইসকনই নয়, বরং ভারতের অন্যতম হিন্দুত্ববাদী সন্ত্রাসী সংগঠন আরএসএসও এদেশে সক্রিয়! একটি সূত্র জানিয়েছে, আরএসএস ত্রিপুরার একটি সীমান্তবর্তী অঞ্চলে এক ‘ডিপ কাভার’ এলাকা তৈরি করেছে, যে পথে তারা সংগঠনের কর্মী ও ক্যাডারদের বাংলাদেশে ঠেলে দিচ্ছে, যাতে তারা বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী জেলাগুলোতে বসবাসরত হিন্দুদের ‘শিক্ষিত’ করতে পারে। অন্যদিকে, বাংলাদেশী হিন্দুরাও এই আরএসএস ইউনিটের সাথে যোগাযোগ রাখছে।

হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের চেয়ারম্যান রানা দাসগুপ্তের বরাত দিয়ে সাউথ এশিয়ান মনিটর জানায়, ‘‘সঙ্ঘ (আরএসএস) হিন্দুত্ববাদী শ্লোগান নিয়ে বাংলাদেশের হিন্দু সংখ্যালঘুদের মধ্যে প্রবেশও করতে পেরেছে। গত দুই বছরে ইংরেজি, বাংলা ও হিন্দিতে লেখা হিন্দুত্ববাদী পোস্টার ছড়িয়ে পড়েছে বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী গ্রামগুলোতে”।

সাউথ এশিয়ান মনিটর সূত্রে আরো জানা যায়, ২০১৮সালের ২৪শে জুলাই ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির এক ঘনিষ্ঠ সহকারী দুই গোয়েন্দা কর্মকর্তাকে সাথে নিয়ে ঢাকা আসে। ধারণা করা যায়, কোন গোপন সফরেই তারা ঢাকা এসেছিল। যদিও তাদের সফরের প্রধান কারণ জানার উপায় নেই, তবে সফরকারীর সাথে মোদি ও ভারতের সন্ত্রাসী হিন্দুত্ববাদী সংগঠন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘ (আরএসএস) বিশেষ করে সংগঠনটির গুজরাট শাখার ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ থাকায় এটা বলা যায় যে, কোন সন্ত্রাসী চিন্তাধারা নিয়েই সে বাংলাদেশে আগমন করেছিল।

এভাবেই, বাংলাদেশে হিন্দুত্ববাদীরা তাদের লক্ষ্য বাস্তবায়নে প্রকাশ্য-অপ্রকাশ্যে সন্ত্রাসী কার্যক্রম তথা আগ্রাসন চালিয়ে যাচ্ছে।  আর, সে আগ্রাসনের বিরুদ্ধে কথা বলাতেই হত্যা করা হয়েছে আবরার ফাহাদকে, গ্রেফতার করা হয়েছে মাসুম বিল্লাহকে। অতএব, বাংলাদেশে হিন্দুত্ববাদের আগ্রাসন চলছে, এ কথা আমরা নির্দ্বিধায় বলতে পারি।

 

মন্তব্য করুন

দয়া করে আপনার মন্তব্য করুন!
দয়া করে এখানে আপনার নাম লিখুন

পূর্ববর্তী নিবন্ধআফগানিস্তানের কুন্দুজ ও বালখ প্রদেশে মুজাহিদগণের বিজয়, ৩৫ সন্ত্রাসী নিহত, বিপুল অস্ত্র গণিমত!
পরবর্তী নিবন্ধকি অদ্ভূত আনন্দ! প্রথম আলোর আনন্দের বলি আরেক আবরার!