করোনা ভাইরাসের মধ্যেও কাশ্মীরে ফোন ও ইন্টারনেট সেবা বন্ধ, বিপর্যস্ত চিকিৎসাব্যবস্থা

0
1221
করোনা ভাইরাসের মধ্যেও কাশ্মীরে ফোন ও ইন্টারনেট সেবা বন্ধ, বিপর্যস্ত চিকিৎসাব্যবস্থা

করোনাভাইরাস মহামারীর মধ্যে কাশ্মীর আবারও ফোন লাইন ও মোবাইল ইন্টারনেট বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। ৬ মে ভারতীয় মালাউন বাহিনী যখন স্বাধীনতাকামী হিজবুল মুজাহিদিন কমাণ্ডার রিয়াজ নাইকুকে ধরার জন্য অভিযানে নামে, তখন পুরো কাশ্মীরে মোবাইল ইন্টারনেট বন্ধ করে দেয়া হয়। দিনের শেষ দিকে, বিএনএনএল ছাড়া সকল প্রি-পেইড ও পোস্ট-পেইড সংযোগ বন্ধ করে দেয়া হয়।

উপত্যকা যখন ৫ আগস্টের যোগাযোগ লকডাউন থেকে মাত্র বেরিয়ে আসতে শুরু করেছিল, তখন আবার এই বিধিনিষেধ আরোপ করা হলো। গত ৫ আগস্ট কেন্দ্রীয় সরকার জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বাতিল করে এবং এ অঞ্চলকে দুটো কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে বিভক্ত করে। ওই পদক্ষেপের নয় মাস পরে এসেও প্রশাসন এখনও ৪জি মোবাইল সংযোগ পুনর্বহাল করেনি।
৭ মে’র হিসেবে জম্মু ও কাশ্মীরে মোট ৭৯৩ জন আক্রান্ত হয়েছে এবং নয়জন মারা গেছে। কিছু দিন আগে, পুরো উপত্যকা এবং জম্মুর তিনটি জেলাকে ‘রেড জোন’ ঘোষণা করা হয়।

বর্তমানে উপত্যকার হাতেগোনা কিছু অধিবাসী – যাদের ল্যান্ডফোন, পোস্টপেইড বিএসএনএল সংযোগ ও ব্রডব্যান্ড সংযোগ রয়েছে, তারাই কেবল ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারছেন। তাদের অনেকেই – বিশেষ করে যাদের শারীরিক অসুস্থতা রয়েছে – তারা সোশাল মিডিয়ায় নিজেদের ক্ষোভ এবং হতাশা জানিয়েছেন।

মেডিকেল জরুরি পরিস্থিতি

এক ডাক্তার টুইট করে বলেছেন যে, যারা জরুরি সার্জারির জন্য আসছেন, তাদের সবাইকে ফিরিয়ে দিতে হচ্ছে। ফোনলাইন না থাকার কারণে তারা অপারেশান থিয়েটারের স্টাফদের সাথে যোগাযোগ করতে পারছেন না। তিনি জোর দাবি জানান, যাতে এ রকম একটা সঙ্কটে জরুরি সেবার সাথে সংশ্লিষ্টদের বিকল্প যোগাযোগের ব্যবস্থা করা হয়।

পেশায় সাংবাদিক আরেক ব্যক্তি তার বাবাকে নিয়ে চরম দুশ্চিন্তার মধ্যে আছেন। তার বাবার হৃদযন্ত্রের ভালভে সমস্যা রয়েছে এবং সেটাতে সমস্যা হলে রক্ত দুই দিকে প্রবাহিত হয়। ওই সাংবাদিক জানান, তার বাবা অস্বস্তির কথা জানিয়েছেন এবং তিনি বেশ কয়েকজন হৃদরোগ বিশেষজ্ঞকে ফোন করেছেন কিন্তু কারো সাথে যোগাযোগ করতে পারেননি, কারণ তাদের কারোরই বিএসএনএল সংযোগ নেই।

পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন

উপত্যকার বাইরে যারা বাস করছেন, তারা তাদের পরিবারের সাথে যোগাযোগের ব্যাপারে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন।

সোশ্যাল মিডিয়ায় একজন লিখেছেন মহামারীর কারণে মানুষ এমনিতেই ‘উধাও হয়ে যাচ্ছে’। এখন পরিবারের সদস্যদের সাথে কথা বলতে না পেরে মনে হচ্ছে তারা একেবারে উধাও হয়ে গেছে।

কিছু মানুষ উল্লেখ করেছেন যে, যাদের মানসিক সমস্যা রয়েছে, লকডাউন এরই মধ্যে তাদের অবস্থার অবনতি করেছে। যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করার কারণে এখন সেই পরিস্থিতির আরও অবনতি হবে।

সূত্র: স্ক্রল.ইন

মন্তব্য করুন

দয়া করে আপনার মন্তব্য করুন!
দয়া করে এখানে আপনার নাম লিখুন

পূর্ববর্তী নিবন্ধখোরাসান | দরিদ্ররা পাচ্ছেননা ত্রাণ কার্ড, প্রতিবাদ করায় ৬ জনকে হত্যা করেছে কাবুলের তাগুত প্রশাসন
পরবর্তী নিবন্ধবাংলাদেশের ‘কারা দ্বীপে’ পাঠানো হলো আরো রোহিঙ্গাদের