আ.লীগ সমর্থকদের নিজেদের মধ্যে সংঘর্ষে একজন নিহত

0
620
আ.লীগ সমর্থকদের নিজেদের মধ্যে সংঘর্ষে একজন নিহত

টাঙ্গাইলের গোপালপুর পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনীত ও ‘বিদ্রোহী’ মেয়র প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে একজন নিহত ও পাঁচজন আহত হয়েছেন।  সোমবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে উপজেলার সোমেশপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

নিহত ব্যক্তির নাম খলিল (৩৫)। তিনি উপজেলার ডুবাইল আটাপাড়া গ্রামের নাজিম উদ্দিনের ছেলে। খলিল ‘বিদ্রোহী’ প্রার্থী খন্দকার গিয়াস উদ্দিনের সমর্থক ছিলেন।

প্রত্যক্ষদর্শী ও দলীয় সূত্রে জানা গেছে, আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী বর্তমান মেয়র রকিবুল হক ছানার নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নিতে জেলা আওয়ামী লীগের একটি দল সন্ধ্যার দিকে গোপালপুরে পৌঁছায়। দলের সদস্যরা থানার মোড়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে অবস্থান করছিলেন। এ সময় ‘বিদ্রোহী’ প্রার্থী খন্দকার গিয়াস উদ্দিন ও তাঁর সমর্থকেরা ওই এলাকায় আসেন। একপর্যায়ে দুপক্ষের সমর্থকদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় ‘বিদ্রোহী’ প্রার্থী গিয়াস উদ্দিনের সমর্থকেরা ওই এলাকায় নৌকা প্রতীকের একটি নির্বাচনী কার্যালয় ভাঙচুর করেন। এরপর নৌকার সমর্থকেরা গিয়াস উদ্দিনের বাসায় হামলা করেন। তাঁরা গিয়াস উদ্দিনের ভাইয়ের দোকানও ভাঙচুর করেন।

গিয়াস উদ্দিনের গ্রাম ডুবাইল এলাকায় এ হামলার খবর পৌঁছার পর সেখানে উত্তেজনা দেখা দেয়। তাঁর সমর্থকেরা মিছিল নিয়ে উপজেলা সদরের দিকে রওনা হন। পথে সোমেশপুর এলাকায় তাঁদের ওপর নৌকা প্রতীকের সমর্থকেরা হামলা করেন। এ সময় খলিল নামের এক ব্যক্তি মাথায় আঘাত পেয়ে গুরুতর আহত হন।

গোপালপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মো. আলীম আল রাজি বলেন, রাত পৌনে আটটার দিকে খলিলকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনার পরই তাঁর মৃত্যু হয়। আহত লোকজনের মধ্যে হাসপাতালে আরেকজন প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে চলে যান।

বিদ্রোহী প্রার্থী খন্দকার গিয়াসউদ্দিনের ভাষ্য, নৌকা প্রতীকের প্রার্থী নির্বাচনে নিশ্চিত পরাজয় জেনে নিজেদের অফিস ভেঙে উত্তেজনা সৃষ্টি করে। পরে তাঁর বাসায় ভাঙচুর করে। তিনি দোষীদের গ্রেপ্তার ও শাস্তির দাবি জানান।

আওয়ামী লীগ প্রার্থী রকিবুল হকের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তাঁর মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া যায়।

তবে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর অনুসারী উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান সোহেল বলেন, বিএনপি ও বিদ্রোহী প্রার্থীর সমর্থকেরা নৌকার অফিস ভাঙচুর করলে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। বিদ্রোহী প্রার্থী গিয়াসউদ্দিন গোপালপুর বাজারের বাসায় অবস্থান করছিলেন। কিন্তু তাঁর গ্রাম এলাকায় গুজব রটিয়ে দেওয়া হয় গিয়াসউদ্দিনের বাড়িতে হামলা করে তাকে ঘেরাও করে রাখা হয়েছে। এই গুজবের গ্রামের লোকজন উপজেলা সদরে আসতে চাইলে এই ঘটনা ঘটেছে।

১৪ ফেব্রুয়ারি গোপালপুর পৌরসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এতে মেয়র পদে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক রকিবুল হক। দলের ‘বিদ্রোহী’ প্রার্থী হয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি খন্দকার গিয়াস উদ্দিন। এ ছাড়া বিএনপির প্রার্থী খন্দকার জাহাঙ্গীর আলম রুবেল এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. শাহজাহান মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

প্রথম আলো

মন্তব্য করুন

দয়া করে আপনার মন্তব্য করুন!
দয়া করে এখানে আপনার নাম লিখুন

পূর্ববর্তী নিবন্ধফটো রিপোর্ট | মালিতে সামরিক ঘাঁটি বিজয়ের পর মুজাহিদদের প্রাপ্ত গনিমত
পরবর্তী নিবন্ধপানিহীন করতোয়ায় নেই কোন উদ্যোগ