গুজরাটে ভগবত গীতা পাঠ্যসূচিতে অন্তর্ভুক্ত করার ঘোষণা করেছে রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী জিতু ভাঘানি। ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষেই এই নীতি কার্যকর হবে বলে জানিয়েছে গুজরাট সরকার। গুজরাটে ষষ্ঠ থেকে দ্বাদশ শ্রেণির স্কুলে পাঠ্যসূচিতে শ্রীমদভগবত গীতা চালু করার কথা ঘোষণা করার পর পরই কর্ণাটকও স্কুলের সিলেবাসে গীতা অন্তর্ভুক্ত করার কথা বলেছে৷ গুজরাটের মতোই কর্ণাটকেও ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) সরকার রয়েছে।
কর্ণাটকের শিক্ষামন্ত্রী বিসি নাগেশ বলেছে, শ্রীমদভগবত গীতা শিক্ষার্থীদের পাঠ্য হিসাবে সিলেবাসে অন্তর্ভুক্ত হবে৷ শুধু হিন্দুদের জন্য নয়।হিন্দুত্বাদীদের এই ভগবদ্গীতা মুসলিমদের জন্যও আবশ্যক করা হবে বলে জানায় সে।
শিক্ষামন্ত্রী আরও বলেছে শুধু শ্রীমদভগবত গীতা নয় যা কিছু শিশুদের উপর প্রভাব ফেলবে তা প্রবর্তন করা হবে, যেমন ভগবত গীতা, রামায়ণ বা মহাভারতের মত সব কিছু।
এদিকে, সম্প্রতি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের হিজাব সহ ধর্মীয় পোশাক পরতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে কর্ণাটকের হাই কোর্ট। মুসলিম বিদ্বেষী এই রায়ের পরেই আবার পাঠ্যবইয়ে গীতা নিয়ে আসার বিষয়টি নতুন বিতর্কের জন্ম দিয়েছে।
বিশ্লেষকগণ প্রশ্ন তুলেছেন, ভারত যদি কথিত বৃহত গণতন্ত্রের দেশেই হয় তাহলে মুসলিমদের হিজাবসহ বিভিন্ন বিধি বিধানে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে কেন? আবার সিলেবাসে হিন্দুদের ধর্মীয় বই অন্তর্ভুক্ত করে তা মুসলিমদের পড়তে বাধ্য করা হবে কেন? এটা যদি হিন্দুদের ধর্মীয় বই না হয়ে মুসলিমদের ধর্মীয় গ্রন্থ আল কোরআন হত তাহলে কি হিন্দুত্ববাদীরা তা মেনে নিত ?
তথ্যসূত্র:
——
1|Gujarat: English mandatory from Class 1, and Gita for Classes 6-12
https://tinyurl.com/yz3yjvep