প্রতিরোধ বাহিনী আশ-শাবাবের হয়ে যুদ্ধরত একজন মার্কিন নাগরিককে ধরতে মরিয়া পেন্টাগন

ত্বহা আলী আদনান

1
1411
প্রতিরোধ বাহিনী আশ-শাবাবের হয়ে যুদ্ধরত একজন মার্কিন নাগরিককে ধরতে মরিয়া পেন্টাগন

সন্ত্রাসী রাষ্ট্র মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সম্প্রতি পূর্ব আফ্রিকা ভিত্তিক সবচাইতে জনপ্রিয় ইসলামি প্রতিরোধ বাহিনী আশ-শাবাবের একজন সক্রিয় কমান্ডারকে ধরতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। এই লক্ষ্যে মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরে উক্ত কমান্ডারের মাথার মূল্য নির্ধারণ করেছে $৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিবৃতি অনুযায়ী, আশ-শাবাবের উক্ত কমান্ডারের নাম ‘জিহাদ সেরওয়ান মুস্তাফা’। যিনি একাধারে একজন মার্কিন নাগরিকও। কমান্ডার মুস্তাফাকে ধরতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যে পুরস্কারের ঘোষণা দিয়েছে, তা মার্কিন নাগরিকদের মধ্যে সর্বোচ্চ স্তরের একজন বিদেশী যোদ্ধার মাথার মূল্য।

মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের টুইটার পোস্টে, কমান্ডার মোস্তফাকে “সোমালিয়া এবং পূর্ব আফ্রিকায় পশ্চিমাদের বিরুদ্ধে বরকতময় হামলা পরিচালনার জন্য দায়ী বলা হয়েছে। সেই সাথে তাকে প্রতিরোধ বাহিনী হারাকাতুশ শাবাবের একজন উর্ধতন নেতা” হিসাবে বর্ণনা করা হয়েছে।

জানা যায় যে, কমান্ডার সেরওয়ান মোস্তফা- আহমেদ গুর, আবু আনোয়ার আল মুহাজির এবং আবু আবদুল্লাহ আল মুহাজির নামেও পরিচিত।

মার্কিন অ্যাটর্নি রবার্ট ব্রুয়ার এই বিষয়ে একটি বিবৃতিতে বলেছে, “আমরা বিবাদীকে বিদেশী “সন্ত্রাসী” সংগঠনের হয়ে লড়াই করার জন্য সর্বোচ্চ স্তরের মার্কিন নাগরিক বলে মনে করি।”


কমান্ডার সেরওয়ান মোস্তফার সংক্ষিপ্ত পরিচয়:

কমান্ডার মুস্তাফার বাবা, যিনি ১৯৮১ সালের ডিসেম্বরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের উইসকনসিন রাজ্যে জন্মগ্রহণ করেছিলেন, তিনি একজন কুর্দি বংশোদ্ভূত। আর এভাবেই মুস্তফা হয়ে উঠেন একজন মার্কিন নাগরিক। মুস্তফা ‘সান দিয়েগোতে’ অর্থনীতি নিয়ে পড়াশোনা করেন। জানা যায় যে, তিনি কিশোর বয়স থেকেই যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক বিভিন্ন ইসলামী নাগরিক সংগঠনের সাথে সক্রিয় ছিলেন।

কমান্ডার মুস্তফা ২০০৫ সালে ইয়েমেনের রাজধানী সানায় যান। আর সেখানেই আল-কায়েদার সাথে ঘনিষ্ঠ হয়ে উঠেন মুস্তফা। এরপর আল-কায়েদার অনুগত পূর্ব আফ্রিকা শাখা হারাকাতুশ শাবাবের সাথে যোগ দিতে তিনি সোমালিয়ায় হিজরত করেন।

কমান্ডার মুস্তফা ২০০৬ সাল থেকে আল-শাবাবের একজন সক্রিয় সদস্য হয়ে উঠেন বলে জানা যায়। বর্তমানে তিনি হারাকাতুশ শাবাবের বিদেশী যোদ্ধাদের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন। তাঁর নেতৃত্বে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় দেশগুলির যোদ্ধারা প্রশিক্ষণ থেকে শুরু করে প্রতিরোধ বাহিনীর সমস্ত কলাকৌশল রপ্ত করছেন। একই সাথে কমান্ডার মুস্তফা আশ-শাবাবের মিডিয়া এবং সামরিক প্রশিক্ষকের মতো অনেক গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে কাজ করে যাচ্ছেন।

২০১৩ সালে প্রথমবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র মোস্তফার মাথার জন্য $৫ মিলিয়ন ডলার পুরস্কার ঘোষণা করে। নতুন করে; সেটি আবারো ঘোষণা করল সন্ত্রাসী এই দেশটির পররাষ্ট্র দফতর।

সেখানে দাবি করা হয় যে, কমান্ডার সেরওয়ান মুস্তাফা এখনও প্রতিরোধ বাহিনী হারাকাতুশ শাবাবের গুরুত্বপূর্ণ পদে আছেন বলে জানা গেছে।

১টি মন্তব্য

Leave a Reply to giash প্রতিউত্তর বাতিল করুন

দয়া করে আপনার মন্তব্য করুন!
দয়া করে এখানে আপনার নাম লিখুন

পূর্ববর্তী নিবন্ধহিজাবের নীচে খারাপ মানুষ থাকে, নেকাব পরলে ভূতের মত লাগে:হিন্দুত্ববাদী অধ্যক্ষ সুনীল চন্দ্র দাস
পরবর্তী নিবন্ধশত্রুসেনার গাড়িবহরে আল-কায়েদার হামলা: ১৬ বুরকিনিয়ান সেনা নিহত