আফগানিস্তানের ইসলামি ইমারাত প্রশাসন দেশটির চারটি প্রধান বিমানবন্দর পরিচালনার জন্য সংযুক্ত আরব আমিরাত ভিত্তিক একটি কোম্পানির সাথে চুক্তিতে পৌঁছেছে।
আজ ২৪ মে ইমারাতে ইসলামিয়া আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলে দুই পক্ষের মধ্যে এক অনুষ্ঠান শেষে এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। উক্ত অনুষ্ঠানে আফগান প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন অনেক ব্যক্তিরাও উপস্থিত ছিলেন।
চুক্তির অনুযায়ী, সংযুক্ত আরব আমিরাত ভিত্তিক কোম্পানি ‘GAAC’ আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুল বিমানবন্দর, হেরাত, কান্দাহার এবং মাজার-ই-শরীফ বিমানবন্দর পরিচালনা করবে।
বিমানবন্দরগুলিতে মেরামত, রক্ষণাবেক্ষণ এবং গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং পরিষেবাগুলির মতো কাজগুলিও ‘GAAC’ দ্বারা পরিচালিত হবে৷
‘GAAC’ কোম্পানিটি ইথিওপিয়া, তিউনিসিয়া এবং মরক্কোর মতো দেশের এয়ারলাইনগুলির পাশাপাশি উঁচু উঁচু ভবন নির্মাণ এবং এয়ারফ্রান্সের মতো অনেক গুরুত্বপূর্ণ পরিষেবা প্রদান করে থাকে।
উল্লেখ্য যে, ইতিপূর্বে আফগানিস্তানের বিমানবন্দরগুলো পরিচালনার জন্য তুরস্ক এবং কাতারের মতো দেশগুলির সাথেও কয়েক দফা আলোচনা হয় তালিবান সরকারের। কিন্তু এই দেশগুলোর শর্তাবলী মেনে চুক্তিতে রাজি হয়নি আফগান সরকার। কারণ এসব শর্তের ফলে নব প্রতিষ্ঠিত ইসলামি ইমারাতের অর্থনীতি ও নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়ার সম্ভাবনাই ছিলো বেশি।
নিউজ দ্রুত দিলে ভালো হতো,
ঘটনার ১/২দিন পর দিলে অনেক পাঠকের কাছে গুরুত্বহীন হয়ে পড়ে।
শুরু এবং শেষে সকল প্রশংসা একমাত্র আল্লাহর- আলহামদুলিল্লাহ। আমরা এই চুক্তির কল্যাণ কামনা করি এবং সকল প্রকার অকল্যাণ থেকে আল্লাহ রাব্বুল আলামীন ইমারাতে ইসলামিয়াকে নিরাপদে ও নিরাপত্তার সাথে রাখুন, এই দু‘আই করি।
কিন্তু কেন জানি বারবার মনে উদয় হচ্ছে- এই চুক্তিবদ্ধ হওয়া ইমারাতের প্রথম ভুল নয়তো! কারণ, আমিরাত প্রশাসনকে এ যাবত আমরা কেবল হঠকারিতার মধ্যেই দেখে এসেছি। ইহুদীবাদী ইসরাইলের সাথে তাদের দহরম-মহরমের কথাও কারো অজানা নয়। …
যাই হোক, ইমারাহ প্রশাসন দূরদর্শীতার সাথে সবকিছু আঞ্জাম দিবেন বলেই আমাদের প্রত্যাশা।