বিএনপির আমলে দূর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ আজ আওয়ামিলীগের হাতে মহা চ্যাম্পিয়নের অবস্থানে। এমন কোন খাত নেই যেখানে দূর্নীতি হচ্ছেনা। সকল সেক্টরে যেন চলছে দূর্নীতির মহোৎসব।
দেশের ৭০ দশমিক ৯ শতাংশ পরিবার বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি খাত বা প্রতিষ্ঠানের সেবা নিতে গিয়ে দুর্নীতির শিকার হয়েছেন। আর ২০২১ সালে দেশের সর্বোচ্চ দুর্নীতিগ্রস্ত সেবা খাত হলো আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থা। এর পরের তালিকায় রয়েছে-পাসপোর্ট, বিআরটিএ, বিচারিক সেবা, সরকারি স্বাস্থ্য সেবা, স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান, ভুমি সেবা।
এছাড়া ঘুস নেওয়ার দিক থেকে তালিকার প্রথমে আছে পাসপোর্ট অধিদপ্তর। এর পরেই রয়েছে-আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থা, বিআরটিএ, স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান, ভূমি সেবা ও বিচারিক সেবা।
গত ৩১ আগস্ট ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য তুলে ধরা হয়। দেশের অসংখ্য খাতের মধ্যে মাত্র ১৭টি সেবা খাত ধরে এ গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘সার্বিকভাবে সেবা খাতে দুর্নীতি বেড়েছে। সেবা খাতের দুর্নীতির এই চিত্র উদ্বেগজনক। শুধু সেবা খাতের ‘পেটি করাপশনের (ছোট দুর্নীতি)’ মাত্রাই এত ব্যাপক। বড় প্রকল্প, বড় কেনাকাটায় দুর্নীতির মাত্রা আরও বেশি বলেই ধারণা করা যায়।’
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের ৭০ দশমিক ৯ শতাংশ পরিবার বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি খাত বা প্রতিষ্ঠানের সেবা নিতে গিয়ে কোনো না কোনো খাতে দুর্নীতির শিকার হয়েছে। সেগুলোর মধ্যে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থা ৭৪ দশমিক ৪ শতাংশ সর্বাধিক দুর্নীতিগ্রস্ত খাত হিসাবে চিহ্নিত হয়েছে। এর পরেই রয়েছে পাসপোর্ট ৭০ দশমিক ৫ শতাংশ, বিআরটিএ ৬৮ দশমিক ৩ শতাংশ, বিচারিক সেবা ৫৬ দশমিক ৮ শতাংশ, সরকারি স্বাস্থ্য সেবা প্রতিষ্ঠানে ৪৮ দশমিক ৭ শতাংশ, স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানে ৪৬ দশমিক ৬ শতাংশ এবং ভূমি সেবায় ৪৬ দশমিক ৩ শতাংশ। আর ঘুস গ্রহণের জরিপে উঠে এসেছে, ৪০ দশমিক ১ ভাগ সেবাগ্রহীতাকে ঘুস দিতে হয়েছে। এরমধ্যে পাসপোর্টে ৫৫ দশমিক ৮ ভাগ, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থা ৫৫ দশমিক ৭ ভাগ, বিআরটিএ ৫০ দশমিক ২ ভাগ, স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান ৩৩ দশমিক ৫ ভাগ, ভূমি সেবা ৩১ দশমিক ৫ ভাগ।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, ২০১৭ সালের তুলনায় ২০২১ সালে সেবা খাতে দুর্নীতির শিকার খানার হার বৃদ্ধি পেয়েছে। যেখানে ২০১৭ সালে ছিল ৬৬ দশমিক ৫ শতাংশ এবং ২০২১ সালে এসে দাঁড়িয়েছে ৭০ দশমিক ৮ শতাংশ।
পরিবার প্রতি ঘুস ৬ হাজার ৬৩৬ টাকা : বিভিন্ন সেবা পেতে প্রতিটি পরিবারকে গড়ে ৬ হাজার ৬৩৬ টাকা ঘুস দিতে হয়েছে। ২০২০ সালের ডিসেম্বর থেকে গত বছরের নভেম্বর পর্যন্ত ১২ মাসে দেশে ঘুস দেওয়া টাকার পরিমাণ ছিল ১০ হাজার ৮৩০ কোটি। মোট ১৭টি সেবা খাতে এই ঘুষের টাকা দিয়েছেন সাধারণ মানুষ। এই হিসাবে দেশে মাথাপিছু ঘুস দেওয়ার পরিমাণ ৬৭১ টাকা। এর আগে ২০১৭ সালে টিআইবির জরিপে প্রতিটি পরিবারকে গড়ে ঘুস দিতে হয়েছিল ৫ হাজার ৯৩০ টাকা; ২০২১ সালে তার পরিমাণ বেড়েছে।
আসলে এসব কিছুই হচ্ছে পশ্চিমা এলিট গণতান্ত্রিক সিস্টেমের ফসল। ইসলামি শরিয়াতের অনুপস্থিতে দূর্নীতিবাজ শাসকগোষ্ঠী ও নেতা-কর্মীরা একদিকে পশ্চিমা ও স্থানীয় প্রভুদের সন্তুষ্টকরতে দেশ ও জাতির স্বার্থ বিকিয়ে দিচ্ছে; আর অপরদিকে দুর্নীতির সাগর বানিয়ে নিজেরা আঙুল ফুলে কলাগাছ হচ্ছে। বিপরীতে এর জের টানতে হয় দেশের সাধারণ মানুষকে। মানুষ দিনভর মাথার ঘাম পায়ে ফেলে খাটুনির পরও পরিবারে শান্তিতে জীবনযাপন করতে পারছেনা। আর প্রচলিত গণতান্ত্রিক এলিট শাসকরা প্রত্যেকেই নিজেদের জাতির কর্ণধার হিসেবে উপস্থাপন করে জাতিকে ধোঁকা দিলেও, ক্ষমতা শেষ হলেই বেড়িয়ে আসে তাদের দূর্নীতির ফিরিস্তি। দেখা যায় কোটি কোটি ডলার আত্মসাৎ করে পাচার করেছে বিদেশে।
দেশের এই ক্রান্তিকাল আমাদের এই বার্তাই দিচ্ছে যে, ইসলামি শরিয়াতের আইন ব্যতীত মানব রচিত আইন দিয়ে দূর্নীতি ও দুঃশাসন থেকে মুক্তি পাওয়া কখনোই সম্ভব না। তাই দূর্নীতি ও দুঃশাসনমুক্ত সমাজ গড়তে কথিত এইসব পশ্চিমা তন্ত্র-মন্ত্রের পথ পরিহার করে ইসলামি শরিয়াত প্রতিষ্ঠায় আমাদেরকে প্রতিরোধ সংগ্রাম শুরু করতে হবে বলে জানিয়েছেন হকপন্থী আলেমগণ৷
তথ্যসূত্র:
——–
১। দেশের ৭১ ভাগ মানুষ দুর্নীতির শিকার-
– https://tinyurl.com/2fm4r2vz
🔥🔥
the believer bangla
এই চ্যানেল টা যার আমার মনে হয় উনি ধর্মীয় জ্ঞান সম্পর্কে অজ্ঞ। শুধু বাংলা পড়ে বা ইংরেজি অনুবাদ করে ভিডিও বানায়। সে মনে করতেছে অনেক ভালো করছে অথচ সে যে,ইসলামের ক্ষতি করছে এটাই তার অজ্ঞতার প্রমাণ।
যেমন আল্লাহ তায়ালা বলেন…
قُلۡ هَلۡ نُنَبِّئُكُم بِٱلۡأَخۡسَرِينَ أَعۡمَٰلًا
বলুন, ‘আমরা কি তোমাদেরকে এমন লোকদের কথা জানাব, যারা আমলের দিক দিয়ে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত ?’
Surah Al-Kahf, Ayah 103
ٱلَّذِينَ ضَلَّ سَعۡيُهُمۡ فِي ٱلۡحَيَوٰةِ ٱلدُّنۡيَا وَهُمۡ يَحۡسَبُونَ أَنَّهُمۡ يُحۡسِنُونَ صُنۡعًا
এরাই তারা, ‘পার্থিব জীবনে যাদের প্রচেষ্টা পণ্ড হয়, যদিও তারা মনে করে যে, তারা সৎকাজই করছে,
Surah Al-Kahf, Ayah 104
ইদানীং কয়েকটি ভিডিও বানিয়েছে সেগুলোতে“ উম্মা নেটওয়ার্ক ` সম্পর্কে উল্টো -পাল্টা বলতেছে। আশা করি এগুলো আপনাদের চোখেও পড়েছে, তাই এগুলোর খন্ডন আপনাদের পক্ষ থেকে অচিরেই দেখবো এমনটাই আশা করছি।ইনশাআল্লাহ
জী ইনশাআল্লাহ্ মুহতারাম।
বিষয়টি আমাদেরকে স্মরণ করিয়ে দেওয়ার জন্য জাযাকাল্লাহ্।