সৌদি আরবের প্রখ্যাত শায়খ ড. নাসের আল-ওমরকে ১০ বছর থেকে বাড়িয়ে ৩০ বছরের কারাদন্ড দিয়েছে সৌদি শাসকগোষ্ঠী। তিনি একাধারে একজন দ্বায়ী ও সুনামধন্য শরিয়াহ শিক্ষক। সৌদি আরবের বিখ্যাত বিশ্ববিদ্যালয় ‘ইমাম মুহাম্মদ ইবনে সৌদ বিশ্ববিদ্যালয়ের’ শরিয়াহ শিক্ষক ছিলেন তিনি।
শায়খ নাসের আল-ওমর সৌদি আরবে নতুন শিক্ষা ব্যবস্থার বিরুদ্ধে কথা বলতেন। সেই সাথে সৌদি আরবে ক্রুসেডার আমেরিকান সেনাবাহিনী উপস্থিতির বিরুদ্ধেও সরব ছিলেন তিনি। ১৯৯০ সালে আরবের ভূমিতে আমেরিকান সেনা আগমনের বিষয়টি আরব ভূমির জন্য সবচেয়ে বড় ভুল বলে উল্লেখ করতেন তিনি। একইভাবে ইরাকে আমেরিকান সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে ফতওয়াদানকারী প্রখ্যাত ২৬ আলেমদের মধ্যে তিনি একজন।
এসব কারণে গত ২০১৮ সালে সম্মানিত এই আলেমকে গ্রেফতার করে দালাল সৌদি প্রশাসন। এরপর বয়োজ্যেষ্ঠ সম্মানিত এ আলেমকে ১০ বছরের কারাদন্ড দিয়ে ক্রুসেডারদের বিরুদ্ধে কথা বলার পথ বন্ধ করে দেয় তারা। তবে ১০ বছরের কারাদন্ড সৌদি শাসকগোষ্ঠীর মনপুত না হওয়ায় আরও ২০ বছর বাড়িয়ে ৩০ বছর করলো দালাল শাসকগোষ্ঠী।
উল্লেখ যে, বর্তমানে সৌদি আরবে যারাই ইসলাম ও মুসলিমদের পক্ষে কথা বলে বা সৌদির জালেম প্রিন্স মুহাম্মদ বিন সালমানের দ্বীন বিধ্বংসী কার্যকলাপের বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলছেন, তাদেরকেই কারাগারে নিক্ষেপ করছে ইহুদি মায়ের সন্তান মুহাম্মদ বিন সালমান। আর যারাই মুহাম্মদ বিন সালমানের পক্ষে কথা বলছে এবং তার কুকর্মের পক্ষে সাফাই গাইছে, সেইসব আলেম নামধারী দালালদেরকে মুহাম্মদ বিন সালমান উচ্চ পদমর্যাদার আসনে সমাসীন করছে। পবিত্র হজের খুৎবা দিতে কিংবা কাবার ঈমাম হিসেবে নিয়োগ দিচ্ছে।
তথ্যসূত্র:
——–
1. The Saudi Specialised Criminal Court have increased the prison sentence of Sheikh Dr. Nasser al-Omar from 10 to 30 years
– https://tinyurl.com/38dnuknv