শিক্ষা ব্যবস্থায় একের পর এক নগ্ন-হস্তক্ষেপ করছে সেক্যুলার গনতান্ত্রিক শাসকগোষ্ঠী। নিজেদের মনপুত শিক্ষা কারিকুলাম প্রনয়ণ করে এ দেশের কোটি কোটি শিক্ষার্থীর উপর চাপিয়ে দিয়েছে সেক্যুলার শিক্ষা। এর মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের মূল্যবোধকে পশ্চিমা বস্তুবাদী দর্শনের আলোকে সাজিয়ে জীবনকে ধ্বংসের দারপ্রান্তে নিয়ে গেছে তারা।
শিক্ষামন্ত্রী দিপু মনি ছায়ানট আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে জানিয়েছে, ‘আমারা শিক্ষা ব্যবস্থায় পরীক্ষানির্ভরতা কমিয়ে আনবো। শিক্ষার্থীরা ইতিহাস ঐতিহ্য থেকে শিখবে। পুরো শিক্ষা কার্যক্রমে পরিবর্তন আনার চেষ্টা করছি। যেখানে মুখস্ত বিদ্যা থাকবে না। শিক্ষার্থীরা শিক্ষাকে ধারণ করে তা প্রয়োগও করবে। শিক্ষাক্রমের মাধ্যমে তারা দেশকে ভালোবাসবে।’
রোববার (১১ সেপ্টেম্বর) কেরানীগঞ্জের তারানগরে ছায়ানটের সংস্কৃতি সমন্বিত সাধারণ শিক্ষা কার্যক্রম নিয়ে পরিচালিত নালন্দা উচ্চ বিদ্যালয়ের একটি ভবন উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেছে শিক্ষা মন্ত্রী।
উল্লেখ যে, ছায়ানট একটি কুখ্যাত উগ্র সেক্যুলার সংগঠন। তাদের মিশন হচ্ছে এ দেশে ভারতীয় হিন্দুত্ববাদী সংস্কৃতি চালু করে ইসলামী আদর্শের বিরোধিতা করা। সারা দেশেই তারা বাঙালি সংস্কৃতির নামে হিন্দুত্ববাদী সংস্কৃতি চালুর পাশাপাশি নালন্দা বিদ্যালয়ে একাডেমি পর্যায়ে হিন্দুত্ববাদী সংস্কৃতি চালু করে রেখেছে।
আর এই হিন্দুত্ববাদী সংস্কৃতির প্রশংসা করে উক্ত অনুষ্ঠানে বক্তব্য দিয়েছে আরও এক দালাল আওয়ামী লীগের নেতা এডভোকেট কামরুল ইসলাম। সে বলেছে, ‘সরকার চেষ্টা করছে এমন শিক্ষা কার্যক্রম প্রণয়ন করতে, যেখানে শিশুরা গড় উঠবে অসাম্প্রদায়িক চেতনাকে ধারণ করে। দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। এ ধারা অব্যাহত রাখতে সাংস্কৃতিক বিকাশ ঘটাতে হবে।’
এডভোকেট কামরুল ইসলাম ও দিপু মনির স্পষ্ট বক্তব্য হলো, এ দেশ থেকে ধর্মীয় শিক্ষা উঠিয়ে শিক্ষার্থীদের সেক্যুলার হিসেবে গড়ে তোলাই তাদের লক্ষ্য৷ এজন্য ছায়ানটের আদলে গতানুগতিক শিক্ষার গণ্ডি থেকে বাইরে এসে সংস্কৃতিমনা তথা হিন্দুত্ববাদী শিক্ষা ব্যবস্থা চালু করায় নালন্দা বিদ্যালয়ের ভূয়সী প্রশংসা করেছে তারা। আর ছাত্র তাদের চাপিয়ে দেওয়া ‘হিন্দুয়ানী ঐতিহ্য’ থেকে সিখবে বলে মন্তব্য করেছে তারা।
বলাই বাহুল্য, ৯০ ভাগ মুসলিম জনসংখ্যা অধ্যুষিত এই দেশের সংস্কৃতি ভুলিয়ে দিয়ে তারা আমদানি করা হিন্দুয়ানী সংস্কৃতিকেই তারা বাঙালি সংস্কৃতি বলে চাপিয়ে দিচ্ছে সবার উপরে। আর সেই সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য থেকেই ছাত্ররা নাকি শিখবে। আবার কিছুদিন আগেই তারা ‘ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষা’ বিষয়ের পরীক্ষা উঠিয়ে দিয়েছে, যাতে ছাত্ররা পরীক্ষা পাশের জন্যেও ইসলামি শিক্ষা গ্রহণ না করে।
জ্ঞান অর্জন মানব জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। সুশিক্ষা বয়ে আনে উন্নত চরিত্র, সভ্য ও কল্যাণময় সমাজ ব্যাবস্থা। পক্ষান্তরে কুশিক্ষা সমাজে বয়ে আনে অন্ধকার ও বর্বর পশুভিত্তিক সমাজ ব্যাবস্থা।
ভারতের দালাল শাসকগোষ্ঠী চাইছে এ দেশ থেকে শিক্ষার্থীরা যেন ইসলামী শিক্ষা-সংস্কৃতি ভুলে গিয়ে ভারতীয় হিন্দুত্ববাদী সংস্কৃতির সাথে একাকার হয়ে যায়। এজন্য মুসলিমদের উচিত নিজ সন্তানদের ইসলামী শিক্ষায় গড়ে তোলা। এবং পাশাপাশি দালালদের চাপিয়ে দেওয়া সিস্টেমকে উতখাত করে নববী চেতনা ও আদর্শ সমাজে বাস্তবায়নের সর্বাত্মক প্রচেস্তায় ব্রত হওয়া।- এমনটাই মতামত ইসলামী চিন্তাবিদের।
তথ্যসূত্র:
——–
১। ‘শিক্ষা কার্যক্রম পরিবর্তনের চেষ্টা করছি, মুখস্ত বিদ্যা থাকবে না’
– https://tinyurl.com/3939u435
আমাদের জেনারেল শিক্ষা ব্যাবস্থা পুরাই নাস্তিকতা 🙂
পড়ালেখা করতে একটুও ভাল্লাগে না,,,