উত্তরপ্রদেশের গুজার টোলা গ্রামে একটি দ্বীনি মাদ্রাসা পুলিশের বিশাল বাহিনীর উপস্থিতিতে ভেঙে দিয়েছে হিন্দুত্ববাদী প্রশাসন। এ মাদ্রাসাটি ২০০৯ সাল থেকে চালু ছিল।
উত্তরপ্রদেশের আমেঠি জেলা ম্যাজিস্ট্রেট রাকেশ কুমার মিশ্র বলেছে, “আদালতের নির্দেশের পরে মাদ্রাসাটি ভেঙে দেওয়া হয়েছে।”
মাদ্রাসা ভাঙ্গচুরকে বৈধতা দিতে সে বলেছে এটি নাকি অবৈধভাবে তৈরি করা হয়েছিল। হিন্দুত্ববাদী প্রশাসন শুধু মাদ্রাসাটি ভেঙ্গেই ক্ষান্ত হয়নি, মাদ্রাসার মালিককে ২ লক্ষ ২৪ হাজার রুপি জরিমানাও করেছে।
মাদ্রাসাগুলোতে নজরদারী ও চাপ প্রয়োগের জন্য উত্তরপ্রদেশের হিন্দুত্ববাদী সরকার মাদ্রাসাগুলোর একটি সমীক্ষার নির্দেশ দিয়েছে। এই সমীক্ষার কার্যক্রম এখনও চলছে। মাদ্রাসাগুলোতে শিক্ষকের সংখ্যা, পাঠ্যক্রম, মৌলিক সুযোগ-সুবিধা এবং কোনও বেসরকারী সংস্থার সাথে তাদের সংশ্লিষ্টতার তথ্য আছে কি না যাচাই বাছাই করা হচ্ছে। এসব মাদ্রাসার আর্থিক উৎসকেও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, হিন্দুত্ববাদী ভারত সরকার তাদের অখণ্ড ভারত প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যকে সামনে রেখে অনেক আগে থেকেই মসজিদ, মাদ্রাসাগুলো বন্ধের চক্রান্ত করে যাচ্ছে। এখন বিভিন্ন ঠুনকো অযুহাত দেখিয়ে সেগুলো ভেঙ্গে দিচ্ছে। বুলডোজারকে তারা এখন মুসলিমদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে নতুন অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছে।
তথ্যসূত্র:
—–
1.Uttar Pradesh: Illegally built madrasa in Amethi demolished ( The Siasat Daily)
–https://tinyurl.com/2ftb9cny
2.Uttar Pradesh: Illegally built madrasa in Amethi demolished
–https://tinyurl.com/ywdz6rt6