দালাল হাসিনা ভারতে থাকাকালীন ৮ সেপ্টেম্বর দিনাজপুরের দাইনুর সীমান্তে বাংলাদেশি স্কুলছাত্র মিনারুলকে গুলি করে খুন ও অপর দুই যুবককে গুম করে সন্ত্রাসী বিএসএফ।
তবে বর্বরতা আর আমানবিকতা সবকিছুকে হার মানিয়েছে এ কিশোরের লাশ হস্তান্তরের ঘটনাকে কেন্দ্র করে। গত ৮ তারিখ থেকে ১২ সেপ্টেম্বর ৪ দিন পার হলেও এখন পর্যন্ত লাশ হস্তান্তর করছে না ভারত। সীমান্তে নিহতের পিতা-মাতা আত্বীয়স্বজনসহ প্রতিবেশীরা খোলা আকাশের নীচে দাঁড়িয়ে ঘন্টার পর ঘন্টা অপেক্ষা করছে লাশের জন্য। তবে কোন এক অজানা কারণে লাশ হস্তান্তর করছে না মুসলিম বিদ্বেষী ভারত সরকার।
২০১৮ সালে কুমিল্লায় বাংলাদেশ-ভারতের সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর মধ্যে বৈঠক চলাকালীনও সীমান্তে এক বাংলাদেশিকে হত্যা করেছিল সন্ত্রাসী বিএসএফ।
এবার হাসিনার ভারত সফরে থাকাকালীন দিনাজপুরের দাইনুর সীমান্তে স্কুলছাত্রকে হত্যা করা হল৷ তাঁরা বলছেন হাসিনার ভারত সফরের মাঝে বাংলাদেশি ছাত্রকে হত্যা হাসিনার জন্য চরম লজ্জা ও ভারত সরকারের নিকট নতজানু পররাষ্ট্রনীতিরই বহিঃপ্রকাশ৷ এ দালাল সরকার সীমান্তে গুলি করে হত্যা করার মতো স্পর্শকাতর বিষয়ে সামান্যতম প্রতিবাদ করার ক্ষমতা রাখে না। আর এ সবকিছু গোপন করতেই হাসিনার নির্দেশেই লাশ হস্তান্তরে কালক্ষেপণ করছে ভারত সরকার। হাসিনা সরকার চেয়েছিল মানুষকে ধোকা দিয়ে বোকা বানাতে। কিন্তু বাংলাদেশের মানুষ বুঝতে শুরু করেছে ভারত কখনোই বাংলাদেশের বন্ধু না, বরং শত্রু রাষ্ট্র।
এদিকে মিনারুলের হত্যার ঘটনায় অজানা ভয়ে আতংকিত হয়ে আছে সীমান্তবাসী। বিজিবি ক্যাম্পের আশে-পাশেও যেতে সাহস করছেনা ছেলে-বুড়ো কেউ।
মিনারুল হত্যা ঘটনার পর তার বাবাকে ক্যাম্পে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদকালে জ্ঞান হারিয়ে ফেলন তিনি। এছাড়া শোকে কাতর মিনারুলের মাকে চিকিৎসার কথা বলে ধোকা দিয়ে থানায় নিয়ে বিএসএফের কাছে গুম হওয়া কিশোরদের বিরুদ্ধে দায়ের করা হয়েছে একটি অভিযোগ, এটিকে কেন্দ্র করেও সৃষ্টি হয়েছে আতংক।
কোতয়ালী থানার অফিসার ইনচার্জ গণমাধ্যম কর্মীদের কাছে অভিযোগ দায়েরের কথা স্বীকার করেছে। লাশ হস্তান্তরের পর এ ব্যাপারে পদক্ষেপ নেয়া হবে বলে জানিয়েছে সে। তবে দালাল পুলিশ কাদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিবে এটাই এখন জানার বিষয়। লাশ খুন করেছে সন্ত্রাসী বিএসএফ অথচ এর মাসুল গুনতে হবে এখন মাজলুম বাংলাদেশি সীমান্তবাসী মানুষকে। সীমান্তবাসীরা যেন এই কিশোরের লাশ নিয়ে কোন প্রকার প্রাচার চালাতে না পারে এজন্যই হাসিনার এ সিদ্ধান্ত কিনা এমন প্রশ্ন এখন সাধারণ মানুষের।
এদিকে হত্যার ৯৬ ঘণ্টা পর লাশ ফেরত না পেলেও ভারতীয় গণমাধ্যমে নিহত মিনারুলের লাশ নিয়ে বিএসএফ সদস্যদের ফটোসেশান বাংলাদেশীদের কাছে কাটা ঘায়ে এ নুনের ছিটার মত। খানপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীর ছাত্র মিনারুল এর বিরুদ্ধে কোন সময় চোরাচালান এমনকি কোন দুষ্কর্মের অভিযোগ পাওয়া যায়নি। বিজিবি এমনকি পুলিশের কাছেও কোন তথ্য নেই। গুলি করে হত্যার ঘটনাটি কেউ মেনে নিতে পারছে না। নিখোঁজ অন্যান্যের ব্যাপারেও কোন সঠিক তথ্য পাওয়া যাচ্ছে না।
তথ্যসূত্র:
——
১। বর্বরোচিত নিষ্ঠুরতাকে হার মানিয়েছে বিএসএফ-
https://tinyurl.com/rh2x3r5d
২। দিনাজপুর সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি স্কুলছাত্র নিহত-
https://tinyurl.com/2jcmepez