২০২১ সালে ভারতের আসাম রাজ্যের মোট আসামীদের ৬১% আসামীই মুসলিম! একইভাবে বিচারাধীন থাকা লোকদের মধ্যে ৪৯% মুসলিম। অথচ, রাজ্যে মুসলিমরা জনসংখ্যার মাত্র ৩৪%। ভারতীয় কারাগার পরিসংখ্যান সূত্রে জানা গেছে এসব তথ্য।
আসামের হিন্দুত্ববাদী বিজেপি সরকার মুসলিমদের উপর নির্যাতন চালাচ্ছে। কথিত সাংবিধানিক সুরক্ষা পাওয়ার অধিকার থাকা সত্ত্বেও মুসলিমরা নিয়মতান্ত্রিক বৈষম্য, কুসংস্কার এবং সহিংসতার সম্মুখীন হচ্ছেন৷ আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে আছেন মুসলিমবিদ্বেষী বক্তা হিসেবে পরিচিত উগ্র হিন্দু নেতা হিমন্ত বিশ্ব শর্মা।
উগ্র হিন্দু নেতা শর্মা আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পরপরই ২০২১ সালের মে থেকে আসামজুড়ে ১৬১টি পুলিশি হামলার ঘটনা ঘটেছে। যার ফলে ৫১ জন খুন হয়েছেন, আর আহত হয়েছেন আরও ১৩৯ জন।
হতাহতদের অধিকাংশই সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের। নিহতদের মধ্যে কমপক্ষে ২২ জন মুসলিম।
ভারতের গুজরাট, উত্তরপ্রদেশ, হরিয়ানা এবং জম্মু ও কাশ্মীরেও মুসলিম বন্দীদের হার তুলনামূলক বেশি। এসব জায়গায় জনসংখ্যার হারের তুলনায় মুসলিম বন্দীদের হার অত্যন্ত অসামঞ্জস্যপূর্ণ।
২০১১ সালের হিসেবে দেশের জনসংখ্যায় মুসলিমদের হার মাত্র ১৪.২%। অথচ সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, ২০২১ সালে ভারতীয় কারাগারে থাকা বন্দীদের মধ্যে ৩০% এর বেশি ছিল মুসলিম!
ভারতে চার ধরনের বন্দী রয়েছে:
১) দোষী ব্যক্তি (একটি অপরাধের জন্য দোষী সাব্যস্ত ব্যক্তি এবং আদালত কর্তৃক দণ্ডিত)
২) বিচারাধীন (বর্তমানে আদালতে বিচার চলছে)
৩) আটক ব্যক্তি (আইনত হেফাজতে রাখা ব্যক্তি)
৪) এবং যারা এই তিনটি বিভাগের কোনোটির অন্তর্ভুক্ত নয়।
২০২১ সালে হরিয়ানার কারাগারে আটক ছিলেন ৪১ জন; যাদের সকলেই মুসলিম। এমনিভাবে, পশ্চিমবঙ্গের আটকদের মধ্যে ৭৮.৫% এবং উত্তর প্রদেশের ৫৬.৭% মুসলিম।
মোট জনসংখ্যার শতকরা হারের তুলনায় ভারতের কারাগারগুলোতে মুসলিমদের বন্দীত্বের হার বেশি। যেখানে গরুর গোশত বহন করা কিংবা খাওয়াকে অপরাধ হিসেবে বিবেচনা করে মুসলিমদের হত্যা করা হয়, সেখানে কারাগারে থাকা মুসলিমদের অপরাধ কী হতে পারে তা সহজেই অনুমেয়।
তথ্যসূত্র:
—–
1.61% of convicts, 49% of undertrials in Assam prisons are Muslims, double their share in population (Maktoob Media)
https://tinyurl.com/4556cbbb