পাকিস্তানের সোয়াত, বাজুর ও মাহমান্দ এজেন্সিতে ৩টি পৃথক হামলা চালিয়েছে দেশটির জনপ্রিয় ইসলামি প্রতিরোধ বাহিনী তেহরিক-ই-তালিবান পাকিস্তান (টিটিপি)। এতে এক ডজনেরও বেশি গাদ্দার সৈন্য হতাহত হয়েছে।
বিবরণ অনুযায়ী, ইসলামি প্রতিরোধ যোদ্ধাদের অন্যতম ও গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র সোয়াত উপত্যকায় সম্প্রতি সংঘাত তীব্রতর হয়েছে। যেখানে প্রতিদিনই গাদ্দার পাকি সেনা ও পাক-তালিবান যোদ্ধাদের মাঝে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটছে। গত রাতেও উপত্যকার কাবাল গ্রামে একটি হামলার ঘটনা ঘটেছে। যেখানে পাক-তালিবান যোদ্ধাদের পথ আটকানোর চেষ্টা করে দেশটির সরকারি মিলিশিয়ারা।
ফলে সেখানে উভয় বাহিনীর মাঝে লড়াই ছড়িয়ে পড়ে, এবং পাক-তালিবান যোদ্ধাদের হামলায় ৮ মিলিশিয়া নিহত হয়। সূত্র মতে, নিহতদের মধ্যে স্থানীয় মিলিশিয়া বাহিনীর এক কমান্ডারও আছে। কিছুদিন পূর্বে সোয়াতে আরও এক গাদ্দার মিলিশিয়া নেতাকে হত্যা করেছিলেন মুজাহিদগণ, যে দীর্ঘ ১৩ বছর ধরে মুজাহিদদের কালো তালিকাভুক্ত ছিলো।
একই ঘটনা ঘটে গতকাল ১৮ সেপ্টেম্বর রাতে মাহমান্দ এজেন্সিতে। অঞ্চলটির দুইজাই এলাকায় একটি সামরিক চৌকি অতিক্রম করার সময় এখানেও মুজাহিদদের বাধা দেওয়া হয়। ফলে এখানেও সংঘর্ষ শুরু হয় এবং তা বেশ কিছুক্ষণ ধরে চলতে থাকে। এসময় মুজাহিদদের হামলায় ২ সেনা গুরুতর আহত হয়। এবং মুজাহিদরা নিরাপদে চৌকিটি পার হয়ে গন্তব্যে পৌঁছতে সক্ষম হন।
একইদিন বাজুর এজেন্সির নাভগাই সীমান্তে গাদ্দার পাকি সামরিক ক্যাম্পে শেল নিক্ষেপ করেন মুজাহিদগণ। যেগুলো দুর্গের ভিতরে আঘাত করে। ফলে গাদ্দার বাহিনীর জান-মালের মারাত্মক ক্ষতি হয়।
مرحبا اهلا مع السلامة يا أجواد المجاهدين