ইয়েমেনের হাদরামাউত ছাড়াও দেশের দক্ষিণাঞ্চলীয় আবয়ান ও শাবওয়াহ রাজ্যের বিস্তীর্ণ ভূমির নিয়ন্ত্রণ করছে আল-কায়েদা সংশ্লিষ্ট ইসলামি প্রতিরোধ বাহিনী আনসারুশ শরিয়াহ্। সম্প্রতি প্রতিরোধ বাহিনীর নিয়ন্ত্রিত দক্ষিণাঞ্চলের দখল নিতে মরিয়া হয়ে উঠেছে আমেরিকার গোলাম গাদ্দার আরব-আমিরাত ও তাদের সমর্থিত মিলিশিয়ারা।
এমন পরিস্থিতিতে বসে নেই আনসারুশ শরিয়াহ্’র বীর যোদ্ধারা। তাঁরাও দীর্ঘদিন ধরে দক্ষিণাঞ্চলের শরিয়াহ্ শাসিত অঞ্চলগুলির নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পাল্টা আক্রমণ চালাচ্ছেন। যাতে প্রতিদিন বহু সংখ্যক গাদ্দার সৈন্য নিহত এবং আহত হচ্ছে।
স্থানীয় সূত্র মতে, গতকাল ১৯ সেপ্টেম্বর সোমবার ভোরেও মুজাহিদদের নিয়ন্ত্রিত মুদিয়া জেলার ‘ওমরান’ উপত্যকা ও জাঞ্জিবার শহরে অগ্রসর হওয়ার চেষ্টা করে শত্রু বাহিনী। এতে মুজাহিদগণ তীব্র প্রতিরোধের মুখে পড়ে সংযুক্ত আরব-আমিরাতের জোট বাহিনী। যেখানে আনসারুশ শরিয়াহ্’র বীর যোদ্ধারা আমিরাতের গাদ্দার বাহিনীগুলোর সামরিক কনভয় ও কাফেলাগুলি লক্ষ্য করে ভারী রকেট, মর্টার শেল ও বোমা বিস্ফোরণ সহ অতর্কিত সব হামলা চালান।
উপত্যকা ও শহরটিতে মুজাহিদদের প্রথম পর্বের অভিযানে গাদ্দার আরব-আমিরাত সংশ্লিষ্ট জোট বাহিনীর অন্তত ২৫ সৈন্য নিহত হয়েছে। যাদের মাঝে গাদ্দার বাহিনীর অষ্টম ব্রিগেডের কমান্ডার কর্নেল আল-খাদের হোমসানও রয়েছে বলে জানা গেছে। এই হামলায় আহত হয় আরও ১০ এর বেশি গাদ্দার সৈন্য। ধ্বংস করা হয় গাদ্দার বাহিনীর ৪টিরও বেশি সাঁজোয়া যান ও গাড়ি।
আঞ্চলিক সূত্র জানায়, এই অভিযানে হতাহত গাদ্দার আরব জোটের সদস্যদের চিকিৎসার জন্য ইডেন এবং লুধার শহরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। যেখানে আহতদের অধিকাংশের অবস্থাই আশংকাজনক।
এদিকে আনসারুশ শরিয়াহ্’র মিডিয়া সূত্র নিশ্চিত করেছে যে, মুজাহিদদের হামলায় শত্রুবাহিনী ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির শিকার হওয়ার পর উভয় এলাকা থেকে সাময়িক সময়ের জন্য পালাতে বাধ্য হয়। এর মাধ্যমে তারা উপত্যকায় প্রবেশ করতে ব্যর্থ হয়েছে। আলহামদুলিল্লাহ্।
এদিন বিকেলে ফের মুদিয়াহ উপত্যকার দিকে সামরিক আগ্রাসন চালানোর চেষ্টা করে আরব-আমিরাত জোট। এবারো উপত্যকায় মুজাহিদদের কঠিন প্রতিরোধ যুদ্ধের মুখে পড়ে গাদ্দার বাহিনী। তাই মুজাহিদদের বুলেট বোমাগুলি গাদ্দার বাহিনীর সাথে ফের মোলাকাত করে নেয়। এসময় মুজাহিদদের এক ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতেই লণ্ডভণ্ড হয়ে যায় জোটের সামরিক ইউনিট। ফলে আবারও উপত্যকা ছেড়ে পালায় গাদ্দার আরব-আমিরাত জোট। নিহত ও আহত হয় আরও একডজনেরও বেশি সৈন্য।
স্থানীয়দের মতে, এই হামলার পর হতাহত আরব জোটের সদস্যদের উদ্ধার করতে ঘটনাস্থলে পৌঁছে ‘আবিয়ান গ্র্যাড’ বাহিনী, তিনটি অ্যাম্বুলেন্স ও ২টি গাড়ি।