ইয়েমেনে আল-কায়েদার একদিনের অভিযানে ১২৩ এর বেশি গাদ্দার হতাহত

সম্প্রতি ইয়ামানে সংযুক্ত আরব-আমিরাত ও তাদের মিত্র মিলিশিয়ারা শরিয়াহ্ শাসিত অঞ্চলগুলিতে হামলা শুরু করেছে। এর প্রতিক্রিয়াস্বরূপ ইসলামি প্রতিরোধ বাহিনী আনসারুশ শরিয়াহ্’ও পাল্টা আক্রমণ চালাচ্ছে। যার ফলে প্রতিদিন কয়েক ডজন গাদ্দার সৈন্য নিহত এবং আহত হচ্ছে।

তবে গতকাল হাতাহত সেনাদের সর্বোচ্চ সংখ্যা দেখেছে আবয়ান বাসি।

স্থানীয় সূত্র ও আল-কায়েদা সংশ্লিষ্ট মিডিয়া সূত্রগুলি থেকে জানা যায়, গত ২০ সেপ্টেম্বর আবয়ানে শরিয়াহ্ শাসিত ওমরান উপত্যকায় ৭ বার আগ্রাসন চালিয়েছে আরব-আমিরাত ও তাদের জোট বাহিনী। যার প্রতিটি অভিযানই নিপুণ দক্ষতায় প্রতিহত করেছে আরবের উপদ্বীপের ‘কালো পতাকাবাহী দল’ খ্যাত আনসারুশ শরিয়াহ্। সূত্র মতে দিনের প্রথমভাগের হামলাতেই আল-কায়েদার কাছে নাকানিচুবানি খায় আরব জোট। যেখানে হোমসান ব্রিগেডের ২ কমান্ডার সহ ৫ সৈন্য নিহত হয়। আহত হয় আরও ১ জেনারেল সহ ১০ এর বেশি সৈন্য।

লজ্জাজনক এই পরাজয়ের পর আরও শক্তি নিয়ে উপত্যকায় হামলা চালায় আরব জোট। কিন্তু এবার তারা আরও করুণভাবে পরাজিত হয় আল্লাহ্‌র দ্বীনের রক্ষকদের কাছে। যেখানে আনসারুশ শরিয়াহ্’ পরপর মর্টার শেল, ক্ষেপণাস্ত্র আর বিস্ফোরক ডিভাইস বিস্ফোরণে ধরাশায়ী হয় আরব-আমিরাতের জোট বাহিনী। উপত্যকার প্রতিটি পদে পদে তারা আল-কায়েদার এসব হামলার শিকারে পরিণত হয়।

স্থানীয় একটি সূত্রমতে, এদিন আনসারুশ শরিয়াহ্’র বীর যোদ্ধাদের দুর্দান্ত সব হামলায় ব্যাপক হতাহতের শিকার হয় আরব-আমিরাত ও তাদের সমর্থিত মিলিশিয়ারা। এসব হামলায় আরব জোটের বেশ কয়েকজন উচ্চপদস্থ অফিসার সহ অন্তত ৪০ সৈন্য নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে আরও ৭০ এরও বেশি।

আল-কায়েদার হাতে আরব-আমিরাতের এমন পরাজয়ের পর অনেক বিশ্লেষকরা মন্তব্য করছেন, আল-কায়েদা এখন আর আগের মতো যুদ্ধ কৌশলে দূর্বল নয়। তাই আরব আমিরাতের উচিৎ হচ্ছে ওরমানে ব্যবহৃত যুদ্ধ কৌশলগুলি অবশ্যই পুনর্বিবেচনা করা। এবং যুদ্ধের ঐতিহ্যগত পদ্ধতি থেকে দূরে থাকা। কেননা আল-কায়েদা দীর্ঘ যুদ্ধের অভিজ্ঞতা থেকে এসব কৌশল এবং তা প্রতিহত করার পদ্ধতি রপ্ত করে নিয়েছে। আলহামদুলিল্লাহ্‌।