দখলদার ইসরাইল লবিং করে গাজায় ধ্বংস হওয়া বাড়িঘর পুনঃর্নির্মাণে জাতিসংঘের কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়ার দাবি জানায়। এরপর থেকেই গাজায় জাতিসংঘের ত্রাণ সংস্থা (ইউএনআরডাব্লিউএ) ইসরাইলের আগ্রাসনে ধ্বংস হওয়া ঘরবাড়ি পুনঃনির্মাণ প্রক্রিয়া বাস্তবায়নে অনিহা প্রকাশ করেছে।
ফলশ্রুতিতে, ফিলিস্তিনিরা ত্রাণ ও পুনর্বাসনের জন্য সংস্থাটির প্রধান কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ শুরু করে। এদিকে গত ১৯ সেপটেম্বর একদল বিক্ষুদ্ধ ফিলিস্তিনি ইউএনআরডব্লিউএ এর গেইটের সামনে আগুন ধরিয়ে দেয়।
বিক্ষোভকারীরা জানিয়েছেন, অবরুদ্ধ গাজায় দখলদার ইসরাইলি হামলায় ২০১৪, ২০২১ ও চলতি বছর ২০২২ সালে ধ্বংস হয়া বাড়িঘর পুনঃর্নির্মাণে টালবাহানা করছে জাতিসংঘ। সংস্থাটির দাবি, আন্তর্জাতিক দাতারা নাকি ২০১৪ সালে ধ্বংস হওয়া বাড়িগুলির জন্য অর্থ প্রদান করবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে। কারণ এটি নাকি পুরোনো সমস্যা। সেসময় কমপক্ষে ১২ হাজার বাড়ি সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস ও ১লাখ ৬০ হাজার বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছিল।
ফিলিস্তিনি শরণার্থী কমিটি জানিয়েছে, ‘দখলদারদের দ্বারা ধ্বংস হওয়া বাড়িগুলির পুনঃর্নির্মাণে বিলম্বের অর্থ হল জাতিসংঘ ইসরাইলি দখলদারিত্বের এজেন্ডাকেই বাস্তবায়ন করছে। এর মাধ্যমে ফলিস্তিনিদের দুর্ভোগকে আরও বাড়িয়ে তুলছে জাতিসংঘ। কমিটি জোর দিয়ে বলেছে যে, ধ্বংস হয়ে যাওয়া বাড়িগুলির পুনঃর্নির্মাণে জাতিসংঘ বিলম্ব করার কোনো কারণ নেই।
জাতিসংঘ সব সময়ই ফিলিস্তিনে সমস্যা জিইয়ে রেখেছে এবং গোপনে ইসরাইলের পক্ষে কাজ করেছে। এবার ফিলিস্তিনের বাড়িঘর পুনঃর্নির্মাণের বিষয়টিকে পুরোনো সমস্যার অযুহাত দেখিয়ে বন্ধ রেখেছে। এর মাধ্যমে জাতিসংঘ ইসরাইলকে বৈধ রাষ্ট্র হিসেবেই স্বীকৃতি দিচ্ছে বলে মত ইসলামি চিন্তাবিদদের।
তথ্যসূত্র:
——
1. UNRWA: protesters set fire to gate of Gaza office –
https://tinyurl.com/522nvs4h