ভারতের কেরালা রাজ্যে প্রভিডেন্স গার্লস হায়ার সেকেন্ডারি স্কুলে একাদশ শ্রেণির একজন মুসলিম শিক্ষার্থীকে হিজাব পরে আসার ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। এমনকি হিজাবের কারণে তাকে স্কুল ছেড়ে দিতে বাধ্য করেছে হিন্দুত্ববাদী স্কুল কর্তৃপক্ষ।
এদিকে স্কুলে হিজাব নিষিদ্ধের এ ঘটনার প্রতিবাদ করায় গত ২৬ সেপ্টেম্বর সোমবার কেরালার একটি স্থানীয় আদালত স্টুডেন্টস ইসলামিক অর্গানাইজেশন অফ ইন্ডিয়ার (এসআইও) কেরালা রাজ্য কমিটির সদস্যসহ ১২ জন ছাত্র নেতাকে আটক করেছে।
“গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে এসআইও জাতীয় কমিটির সদস্য মোহাম্মদ সাঈদ, রাজ্য ক্যাম্পাস সচিব থারিফ কেপি, রাজ্য কমিটির সদস্য অ্যাডভি রহমান ইরিককুর এবং অন্যান্যরাও রয়েছেন।”
ছাত্র নেতাদের বিরুদ্ধে ভারতীয় কথিত দণ্ডবিধির ১৪৩, ১৪৭, ১৪৮, ২৮৩, ৩৫৩, ৩৩২ এবং ১৪৯ ধারায় মামলা দিয়েছে হিন্দুত্ববাদী প্রশাসন।
১৬ বছরের মুসলিম ছাত্রী গত মঙ্গলবার ট্রান্সফার সার্টিফিকেট নিয়ে স্কুল ছেড়ে চলে যেতে বাধ্য হয়। কারণ স্কুল কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দিয়েছে যে, তাকে হিজাব পরতে দেওয়া হবে না। ট্রান্সফার সার্টিফিকেট নেওয়া ১৬ বছর বয়সী মেয়েটি কোঝিকোড়ের গভর্নমেন্ট মডেল হায়ার সেকেন্ডারি স্কুলে ভর্তি হয়। ওই মুসলিম ছাত্রী মিডিয়াকে জানিয়েছেন, হিজাব না পরে কোনও স্কুলেই তিনি পড়াশোনা করতে পারবেন না।
ওই ছাত্রীর বাবা জনাব মুস্তাফা সাংবাদিকদের বলেছেন, তারা বারবার স্কুল কর্তৃপক্ষের কাছে জানতে চেয়েছেন, ওই ছাত্রী তার ধর্মীয় বিধান হিসেবে তার মাথা ঢেকে রাখতে পারবে না কেন? কিন্তু স্কুল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এখানে আসতে হলে হিজাব ছাড়াই আসতে হবে।
এভাবে ক্রমেই ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে মুসলিমদের ধর্মীয় বিধান মানার ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে মুসলিমদের জীবনযাত্রাকে সংকোচিত করা হচ্ছে। মুসলিমদের স্বকীয় পরিচয় বজায় রেখে ভারতে বাস করা দিন দিন কঠিন হয়ে পড়েছে। গবেষকরা বলছেন, ধীরে ধীরে মুসলিমদের উপর গণহত্যার দিকে এগুচ্ছে ভারতীয় হিন্দুত্ববাদীরা। মুসলিমদের উপর এসব নির্যাতনের তেমন কোনো প্রতিবাদও পরিলক্ষিত হচ্ছে না।
তথ্যসূত্র;
——
1.Protest against Hijab ban in Kerala school: 12 student leaders sent to jail
–https://tinyurl.com/2sezxmm7