বেলুচিস্তান ভিত্তিক ইসলামি প্রতিরোধ বাহিনী জাইশুল-আদল, ইরানের কুখ্যাত রাফেজি শিয়া সরকারবিরোধী সশস্ত্র সুন্নি গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে সবচেয়ে কার্যকর হিসাবে পরিচিত। প্রতিরোধ বাহিনীটি সম্প্রতি নতুন এক বিবৃতি উল্লেখ করেছে যে, কুখ্যাত শিয়া শাসনের বিরুদ্ধে সশস্ত্র লড়াই মুক্তির একমাত্র উপায়।
প্রতিরোধ বাহিনীটির অফিসিয়াল মিডিয়া সাইটে প্রকাশিত বিবৃতিতে, বেলুচিস্তানে ইরানি শাসকদের দ্বারা পরিচালিত গণহত্যার কথা উল্লেখ করে এমন মন্তব্য করা হয়। যেখানে গত শুক্রবারও রাজ্যটির হাশ শহরে বিক্ষোভকারীদের উপর হামলা চালিয়ে ৩ শিশুসহ ১৬ জনকে হত্যা করে ইসলাম ও মুসলিমের শত্রু শিয়া ইরান। এর আগে গত মাস জুড়ে শিস্তান ও বেলুচিস্তানে ১১৮ জন মুসলিমকে শহীদ করে কুখ্যাত ইরানের কট্টরপন্থী শিয়া শাসকগোষ্ঠী।
বিবৃতিতে, জাইশুল-আদল জোর দিয়ে বলেছে যে, ইরানি শাসক বাহিনী গত শুক্রবার সুন্নি সংখ্যাগরিষ্ঠ বেলুচিস্তানের হাশ শহরে গণহত্যা চালিয়েছে। সেখানে মুসলিমরা তাদের অধিকার আদায় ও নির্বিচারে মুসলিমদের হত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভ করেছিলো। এসময় বিক্ষোভকারীদের দমন করতে সেখানে গণহত্যা চালায় ইরানের কট্টরপন্থী কুখ্যাত শিয়া শাসক বাহিনী। এসময় প্রতিরোধ বাহিনীটি খাশ শহরের রক্তক্ষয়ী গণহত্যায় শহীদদের সকল শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানায়। এবং আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করে।
এরপর বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “বেলুচিস্তান এখন সুন্নি মুসলিমদের জন্য অরক্ষিত হয়ে পড়েছে। যেখানে অধিকার চাওয়ার জন্য খোমেনির অপরাধী বাহিনী কর্তৃক দিন দিন সহিংসতা শিকার হচ্ছেন মুসলিমরা। আজ এখানে প্রতিবাদ জানানো, নিজেদের দাবি আদায়ের জন্য আওয়াজ তুলা এবং নিজেদের অনুভূতি প্রকাশ করার স্বাধীনতা নেই; বরং এগুলো এখন খোমেনি সরকারের কাছে হত্যাযোগ্য অপরাধ হয়ে উঠেছে। যার ফলে সাম্প্রতিক মাসগুলোতে বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে গণহত্যা চালাতেও কুণ্ঠাবোধ করছে না সরকার।
তাই এমন পরিস্থিতিতে জনগণের অধিকার আদায়ের পদ্ধতিতে মৌলিক সংশোধন আনা যুক্তিসঙ্গত হয়ে পড়েছে। এক্ষেত্রে আমরা বিশ্বাস করি যে, এই পরিস্থিতিতে চলমান বিক্ষোভ একটি সশস্ত্র প্রতিরক্ষায় পরিণত হওয়া উচিত। যেই সশস্ত্র প্রতিরোধ মুসলিমদের মুক্তির জন্য এই ভূমিতে আবশ্যকিয় প্রয়োজন হয়ে পড়েছে।