মালিতে আল-কায়েদার হামলায় দিশেহারা ভাড়াটে ওয়াগনার ও গাদ্দার সেনারা: হতাহত দুই ডজন

আলী হাসনাত

1
859
যুদ্ধরত জেএনআইএম মুজাহিদিন

পশ্চিম আফ্রিকার দেশ মালির মোপ্তি প্রদেশে কয়েকদিনের ব্যবধানে রাশিয়ান ওয়াগনার ও দেশটির গাদ্দার সরকারি বাহিনীর উপর পরপর ৩টি সফল হামলা পরিচালনা করেছেন আল-কায়েদা শাখা “জেএনআইএম” এর বীর মুজাহিদগণ। এতে বহু সংখ্যক কুফ্ফার ও গাদ্দার সৈন্য হতাহত হয়েছে।

জেএনআইএম এর মিডিয়া আউটলেট “আয-যাল্লাকা ফাউন্ডেশন”এর হামলাগুলোর ব্যাপারে প্রকাশিত রিপোর্ট থেকে জানা যায়, মুজাহিদগণ তাদের বীরত্বপূর্ণ অপারেশনগুলির একটি গত ১৫ নভেম্বর মোপ্তি প্রদেশের বোনি এবং দোনযা অঞ্চলের কাছে চালিয়েছেন। যা গাদ্দার মালিয়ান ও ওয়াগনার ভাড়াটে সেনাদের গাড়িবহর বা কনভয়কে লক্ষ্য করে নির্ভুলভাবে ইম্প্রোভাইজড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস (আইইডি) দিয়ে চালানো হয়েছে। হামলায় সেনাভর্তি একটি গাড়ি পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে যায় এবং এতে থাকা ইসলাম বিরুধী শক্তির সকল সৈন্য মারা যায়।

একই দিনে উক্ত অঞ্চলে আরও একটি হামলা চালান মুজাহিদগণ। যেখানে গাদ্দার মালিয়ান ও ওয়াগনার সেনাবাহীর গাড়ি যাবার রাস্তায় ল্যান্ডমাইন স্থাপন করে রাখেন মুজাহিদগণ। গাড়ি ল্যান্ডমাইনের রেঞ্জে আসতেই তা বিস্ফোরিত হয় এবং গাড়িটি ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়। যার ফলশ্রুতিতে গাড়িতে থাকা সকল শত্রু সেনা আরোহীর নিহত হয় বলে নিশ্চিত করেছেন মুজাহিদগণ।

এর আগে গত ৮ নভেম্বর, মোপ্তি রাজ্যের দোয়েন্তযা অঞ্চলের কাছে গাদ্দার মালিয়ান সেনা ও দখলদার ভাড়াটে ওয়াগনার যোদ্ধাদের গাড়িতে একই পদ্ধতিতে মাইন হামলা চালান জেএনআইএম এর মাইন মাস্টার মুজাহিদগণ। এতে গাড়িটি বিস্ফোরিত হয় এবং আরোহী সকল শত্রুর মৃত্যু নিশ্চিত হয়, আলহামদুলিল্লাহ।

উল্লেখ্য যে, হামলাগুলোতে কি পরিমান সেনা সদস্য নিহত এবং আহত হয়েছে, সে বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কোন পরিসংখ্যান প্রকাশ করেনি “আয-যাল্লাকা” মিডিয়া। তবে মিডিয়াটির প্রচারিত তথ্য হচ্ছে, ৩টি হামলাতেই টার্গেটের শিকার সমস্ত সৈন্য নিহত হয়েছে। তবে স্থানীয় সূত্র মতে, হতাহতের এই সংখ্যা ১৯ এর বেশি।

১টি মন্তব্য

Leave a Reply to আব্দিল্লাহ প্রতিউত্তর বাতিল করুন

দয়া করে আপনার মন্তব্য করুন!
দয়া করে এখানে আপনার নাম লিখুন

পূর্ববর্তী নিবন্ধআশ-শাবাবের ৩ জন উমারাকে ধরতে ‘বেপরোয়া’ আমেরিকার ৩০ মিলিয়ন ডলার পুরষ্কার ঘোষণা!
পরবর্তী নিবন্ধফটো রিপোর্ট || সিরিয়ায় ইসলাম বিরোধী শক্তির বিরুদ্ধে আবারো আনসার আল-ইসলামের দুর্দান্ত হামলা