
পশ্চিম আফ্রিকার দেশ মালি। দেশটিতে ২০১৩ সাল থেকে ইসলাম ও মুসলিমদের বিরুদ্ধে সামরিক আগ্রাসন চালাচ্ছে কুফ্ফার বিশ্ব। আর এই আগ্রাসনকে দীর্ঘায়িত করতে ভূমিকা রাখছে “জাতিসংঘ” নামক বিশ্ব কুফ্ফার সংঘটি।
ফান্সের দখলদারিত্বের বিরুদ্ধে মালিতে ২০১০-১১ সালে আন্দোলন শুরু করেন মুসলিমরা। পরবর্তীতে তা সশস্ত্র প্রতিরোধ আন্দোলনে রূপ নেয়। এসময় দেশটির ইসলামি প্রতিরোধ যোদ্ধারা ২০১২ সাল নাগাদ মালির উত্তরাঞ্চলের সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নেন। আর ২০১৩ সাল নাগাদ ইসলামি প্রতিরোধ যোদ্ধারা মালির কেন্দ্রীয় শহর দিয়াবালির নিয়ন্ত্রণ নেন। সেই সাথে রাজধানী বামাকো অবরোধ করে সামনের দিকে অগ্রসর হতে থাকেন।
ক্রুসেডার ফ্রান্স তখন তার স্বার্থ রক্ষায় দেশটিতে সরাসরি সামরিক আগ্রাসন চালায়। কিন্তু এতে তারা ব্যর্থ হয় এবং বিভিন্ন ময়দানে ইসলামি প্রতিরোধ যোদ্ধাদের হাতে শোচনীয় পরাজয় বরণ করে। তখন ফ্রান্সের পররাষ্ট্রমন্ত্রী লরা ফ্রাবিয়াস বিশ্বের কুফ্ফার শক্তিগুলোর কাছে সাহায্য চেয়ে জানায় যে, ফ্রান্স একাই মালিতে জিহাদিদের (মুজাহিদদের) বিরুদ্ধে লড়তে এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারবে না। সেসময় সে আন্তর্জাতিক কুফ্ফার শক্তিকে আহবান জানায় মালির ইসলামী “জঙ্গি গোষ্ঠীর” বিরুদ্ধে তাদের চলমান সামরিক অভিযানে অংশ নেওয়ার জন্য।
একই সময় মালির পররাষ্ট্রমন্ত্রী তিয়েসান হুবার্ট কাউলিবালি জানায়, এই সামরিক অভিযানের উদ্দেশ্য শুধুমাত্র ইসলামী “জঙ্গিদের” (প্রতিরোধ যোদ্ধাদের) থামানো নয়, বরং তাদেরকে এখান থেকে উৎখাত করা।
ইসলামি প্রতিরোধ যোদ্ধাদের হাতে ক্রুসেডার ফ্রান্স ও তাদের ক্রীড়নক মালির গোলাম সরকারের এমন শোচনীয় পরাজয় আর কান্নাকাটি দেখে জরুরি বৈঠকে বসে জাতিসংঘের কথিত নিরাপত্তা পরিষদ। এরপর ২০১৩ সালের নভেম্বরে মালিতে ফ্রান্সের সামরিক আগ্রাসনকে দীর্ঘায়িত করতে এই যুদ্ধে অবতীর্ণ হয় কুফ্ফার জাতিসংঘ, যা আজও চলমান আছে।
এই দীর্ঘ যুদ্ধে ক্লান্তশ্রান্ত হয়ে ইতিমধ্যেই ফ্রান্স ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন সহ অধিকাংশ দেশ মালি ছেড়েছে। বাকিরাও অপেক্ষায় আছে মালি থেকে পালানোর। এপরেও বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তান সহ জাতিসংঘের সদস্যভুক্ত বেশ কিছু দেশ সামরিক আগ্রাসন অব্যাহত রেখেছে।
সম্প্রতি জাতিসংঘের উপ-মুখপাত্র ফারহান হক নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সদর দফতর থেকে একটি বিবৃতিতে জানিয়েছে যে, সংস্থাটি মালিতে নতুন করে সামরিক হেলিকপ্টার পাঠাবে। ইতিমধ্যে দেশটিতে হেলিকপ্টার দেওয়ার কথা জানিয়েছে পাকিস্তান ও ভারত। আগামী ২০২৩ সালের মার্চের মধ্যে এসব হেলিকপ্টার মালিতে পৌঁছাবে। আশা করা হচ্ছে, পাকিস্তানের পাশাপাশি বাংলাদেশও এ সময়ের মধ্যে হেলিকপ্টার পাঠাবে।
পাকিস্তান টুডে এর খবর অনুযায়ী, মালিতে দীর্ঘ যুদ্ধে ক্লান্তশ্রান্ত হয়ে পড়েছে দখলদার দেশগুলো। ফলে রাশিয়ার ওয়াগনার বাহিনীর উপস্থিতির অযুহাত দেখিয়ে ইউরোপীয় ও পশ্চিমা বিশ্ব মালি ছাড়ছে। এমন পরিস্থিতিতে দেশটির বিস্তৃত অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ নিতে শুরু করেছে আল-কায়েদা সংশ্লিষ্ট জামা’আত নুসরাতুল ইসলাম ওয়াল মুসলিমিন (জেএনআইএম) মুজাহিদগণ। এই প্রেক্ষাপটে বংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তান মালিতে সামরিক হেলিকপ্টার পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিচ্ছে।
জাতিসংঘের মুখপাত্রের মতে, মালিতে চলমান সংকট কাটিয়ে উঠতে, নতুন করে দেশটিতে সামরিক শক্তি ও সেনা সদস্য বাড়ানোর জন্য সদস্য দেশগুলোর সাথে আলোচনা অব্যাহত আছে।
জাতিসংঘের এমন বক্তব্য এটাই স্পষ্ট করে যে, মালিতে ক্রুসেডার ফ্রান্স সহ ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও পশ্চিমা বিশ্ব মুজাহিদদের হাতে শোচনীয় পরাজয় বরণ করেছে। এখন টালমাটাল অবস্থায় রয়েছে কুফ্ফার জাতিসংঘ ও রাশিয়ার ওয়াগনার ভাড়াটিয়া বাহিনী। এদের বিরুদ্ধে প্রতিনিয়ত হামলা চালাচ্ছেন জেএনআইএম এর মুজাহিদগণ।
প্রতিবেদক : ত্বহা আলী আদনান
আহা! আমাদের জন্য কি লজ্জা! একাত্তরের চেতনাবাজরা কি করে অন্য একটা দেশের মজলুম মানুষের স্বাধীনতার বিরুদ্ধে দাঁড়াতে পারে?